এডিট করা যাবে পাঠানো মেসেজ! অতি প্রয়োজনীয় ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ
অ্যাপেল কিংবা টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলিতে মেসেজ পাঠিয়ে দেয়ার পরও তাতে কোনও ভুল থাকলে এডিট করা
রাইড শেয়ারিং এবং ফুড শেয়ারিং অ্যাপসগুলোর পাশাপাশি এবার আসছে বিজনেস শেয়ারিং অ্যাপস; ডিমা বা ডিজিটাল মা। তরুণদের উদ্যোক্তা হয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার বিষয়ে উৎসাহিত করার লক্ষ্যেই এই অ্যাপসটি। সেইসাথে এই অ্যাপসের মাধ্যমে একদিকে যেমন দেশে ব্যাপক শিল্পায়ন হবে অপরদিকে সেখানে তৈরী হবে হাজার হাজার তরুণদের কর্মসংস্থানও। এভাবেই দেশের বেকারত্ব ঘোচাবে এই মোবাইল অ্যাপস ডি’মা; এমনটাই বলছিলেন এই অ্যাপসটির উদ্ভাবক ইমতিয়াজ উদ্দীন আজাদ। পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার আজাদ প্রায় ২ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এর উদ্ভাবনে। বলছিলেন, দেশে লাখ লাখ তরুনদের কাজের সামর্থ থাকলেও সুযোগের অভাব থাকায় বাড়ছে বেকারত্ব। তবে, এই অ্যাপসটি এই তরুনদের আশার প্রদীপ হয়ে ওঠবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রকৌশলী আজাদ।
এ মোবাইল এ্যাপটি দিবে বহুমুখী সেবা ও নানা সমস্যার সমাধান। আর ঠিক নাম করণও হয়েছে একারনেই ডিমা বা ডিজিটাল মা। যার ভূমিকাও হবে মায়ের মতোই। অন্যান্য অ্যাপস মতই সহজেই ব্যবহার করা যাবে এই এপস্টি। ডি-মার উদ্দেশ্য ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে সম্মিলিত উদ্যোগে ব্যাপক শিল্প, কল-কারখানা গড়ে তোলার ব্যবস্থা করা এবং বেকারত্ব দূরীকরণে কাজ করা।এমনকী বেকারদের বেকার ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা। ব্যবসায়িক লেনদেন ও ধার-দেনা নেওয়া বা দেওয়ার ব্যবস্থাকে ঝুঁকি মুক্ত করা।
যেভাবে কাজ করবে ডি-মা: ডি-মা অ্যাপসটিতে ব্যবহারকারীদের যে কেউ তাদের ভাল একটি বিজনেস আইডিয়া শেয়ার করতে পারবে। যেমন: আপনার এলাকায় একটি কারখানা দিলে খুব ভালো চলবে, এর জন্য খরচ হতে পারে ৫০ লাখ টাকা। অথচ আপনার পকেটে আছে মাত্র ১০ হাজার টাকা। আপনার এলাকা এবং এর আশেপাশের সবার কাছে অ্যাপস’র মাধ্যমে বিষয়টির একটি নোটিফিকেশন মোবাইলে যাবে। যাদের এই কারখানা তৈরিতে আগ্রহ থাকবে তারা অ্যাপস এর মাধ্যমে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করবে এবং কত টাকা বিনিয়োগ করতে পারবে তা উল্লেখ করবে। যেমন কেউ ১০,০০০/- কেউ ৫০,০০০/- কেউ ১ লক্ষ বা ২ লক্ষ টাকা, এভাবে ৫০ লক্ষ টাকা হয়ে গেলে ডি-মা কর্তৃপক্ষ সবাইকে ডেকে অর্থ সংগ্রহ করে কারখানাটি তৈরি করে দিবে এবং সবাইকে সাথে নিয়ে কারখানাটি পরিচালনা করবে ডিমা কর্তৃপক্ষ। এতে করে যে কেউ সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে একটি কারখানার মালিক হয়ে যেতে পারে! সেইসাথে সুযোগ পাবে নিজের কারখানায় কর্মসংস্থানেরও।
কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ডি-মা: ডি-মা অ্যাপস’র মাধ্যমে একদিকে প্রচুর পরিমাণে বিজনেস আইডিয়া আসতে থাকবে আর অন্যদিকে সেগুলো তৈরি হতে থাকবে। এখানে বিজনেস আইডিয়া হিসেবে ক্ষুদ্র মুদির দোকান থেকে শুরু করে বৃহৎ কল-কারখানা ইন্ডাস্ট্রি পর্যন্ত হতে পারে। এভাবে ব্যাপক কলকারখানা প্রতিষ্ঠিত হতে থাকলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি হবে। আর উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রেও থাকবে বিনিয়োগকারীদের প্রায়োরিটি। এখানে একদিকে একজন বেকারও সামান্য টাকার বিনিময়ে যেমন একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক হচ্ছেন অন্যদিকে সেখানে তার একটি ভালো কর্মসংস্থানও হচ্ছে।এভাবেই একদিকে বেকারদের একটা অংশ হয়ে ওঠবে শিল্পোদ্যোক্তা আবার আরেকটা অংশ পেয়ে যাবে কর্মসংস্থানও।
দেশে সাধারণত যৌথভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে গেলে অংশীদারদের মধ্যে মতানৈক্য এবং ভুল বুঝাবুঝির কারণে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্থায়ী হয় না, এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলো ডিজিটাল প্লাটফর্ম ডি-মা এর নেতৃত্বে পরিচালিত হবে। মানুষের মধ্যে আস্থা বিশ্বাস ও একতাবদ্ধতা তৈরি হবে এবং ব্যবসা দীর্ঘস্থায়ী হবে বলেও মনে করেন ডি’মা কতৃপক্ষ। এক পর্যায়ে বিদেশি বিনিয়োগের উপর নির্ভর না করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে বৃহৎ বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি হবে বাংলাদেশে।
আস্থা ও বিশ্বাস তৈরিতে ব্যবসায়িক লেনদেনের এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে এই ডি-মার মাধ্যমেই।পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে ডিমার মাধ্যমে লেনদেন হওয়ায় ব্যবসায়িক বাকী উঠানো নিয়েও ব্যবসায়ীদেরর কোন রকম ঝামেলা পোহাতে হবেনা বলেও উল্লেখ করা হয়। এতে করে কোনো ব্যবসায়ী টাকার জন্য কাস্টমারের পিছনে পিছনে ঘুরতে হবে না, নির্ধারিত সময়ের ভিতর টাকা পেয়ে যাবে। দেশে ব্যবসা’র ক্ষেত্রে সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সময় মত পাওনা আদায় করা।
এক্ষেত্রে একজন ছোট মুদির দোকানিও বাকিতে পণ্য দিতে গেলে ডি-মায়ের সহায়তা নিবে এবং কোন খাতা-কলম ব্যবহার করা ছাড়াই সয় মতন টাকা পেয়ে যাবে। এমন নানা ফিচারাইজড সমৃদ্ধ অ্যাপটি ব্যবসায়িক পরমন্ডলে বড়একটি পরিবর্তন আনবে বলেমনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই সাথে বলছেন, এভাবে তরুণরা উদ্ভাবনে এগিয়ে আসলে আগামীর বাংলাদেশ হবে আরো সমৃদ্ধ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।