জাহানারা আরজু জনতার রাজপথেএকটা কাক্সিক্ষত রাজপথে সুদৃঢ় পদক্ষেপ রেখে চলে যাব, এই স্বপ্ন ছিল আজীবনÑ তাইত সময়ের এলোমেলো বল্গাহীন ইঙ্গিতে সমর্পিত হইনি কখনোÑ শ্রমকান্ত দুঃসময়ের সোপানে পা রেখে ক্লান্তিহীন আমি এক পথিকÑ হাঁটছি আর হাঁটছি।পেয়েছি অতঃপর এক সুনির্দিষ্ট রাজপথের ঠিকানাÑ যে...
রবার্ট ফ্রস্টের ২টি কবিতাচারণভূমি বসন্তে যে পাতারা ঝরে যায় মহাকালের ঠিকানায় আমি তাদের পরিষ্কার করতে যাচ্ছিচারণ ভূমিতে ঝরাপাতার কান্না বন্ধ করতে আমার এই চলে যাওয়া তুমি জানোঅপেক্ষা করলেই দেখতে পাবে জলের স্বচ্ছতা তোমার জন্যই রেখেছি আনন্তকাল আমি জানি তুমি আসবে কেননা...
মতিয়ার রহমানঘাগট পাড়ের মেয়ে মাঝে মাঝে ঘুমহীন সারারাত কেটে যায়, তন্দ্রায়-দুরাশায়।স্বপ্নে আসে ঘাগট পাড়ের মেয়েচঞ্চলা চপলা নামটি বলছি না। মেয়েটির ডাগর চোখে নদী ছিল সে নদীর ঘাটে নিরব কোলাহল-আকুলি-বিকুলি অষ্টাদশী যুবতিনুড়ি বালি স্মৃতি সাদা কাশবন । আজ পরবাসে যায় স্মৃতিআঁধার নামে ঘাগট পাড়েসুখের...
মিজানুর রহমান তোতাশরৎ উল্লাসের নাচন ওগো শরৎ, তোমার উল্লাসের নাচন দেখতে বসে আছি পথ চেয়ে, তুমি বাহারী শাড়িতেখোপায় হলুদরাঙা ফুল গুজে নাচবে আরআমি দিগন্ত বিস্তৃত পখে বিবেকী গানগুনগুনিয়ে গাইবো হাটবো দুলবোচুপিসারে সঙ্গে থাকবে না কেউ।এটাই তো চেয়েছি, মনে মনে ভেবেছি করেছি...
আল মাহমুদ একেলা একটি কবিতা এনেছে আমায় ঘরের বাইরেচেয়ে দেখি আমি দিকবিদিকে কিছুই নাইরেনাইয়ের মধ্যে যদি আমি থাকি পাবনা কিছুইসাহস আমাকে দিচ্ছে সাহস, হাতটি বাড়াও ছোও তাকে ছোও ছুতে গিয়ে দেখি তুমি কেহ নওনও তুমি কেউ, চারদিকে বয় ইথারের খেলাকেউ যদি হও আমাকেই...
শ্রাবণ এলেই ভিজে ওঠে মনের উঠোনঅশ্রæ ঝরে দু’চোখ গলে শাহীন রেজাবৃষ্টিতে কাছাকাছি তোমার জন্য কোনদিন একটাও কবিতা লিখিনি ধার করা শব্দে আর যা-ই হোক প্রেম সম্ভাষণ হয় না এবং সে কারণেই আজ আমার এই বৃষ্টি আয়োজন অথচ তুমি ভিজতে ভালবাস না মোটেই ভেজার...
বৃষ্টি বিরহের পদাবলি সাকিব জামালবৃষ্টি ঐ কৈশরে নদীর জলে দিয়ে ডুব, পেতে কানভালো লাগে শুনতে বৃষ্টির গান।ছোট্ট ছোট্ট ডুব আর অল্প অল্প গানমাততো কৈশরে আনন্দে এই প্রাণ ।হাডুডু,ফুটবল খেলে কতো কাদা মাখামাখিবন্ধুদের হৈ হুলোর হৃদয়ে দিয়েছি রাখি ।এ তো গেল দিনের কথা, রাতের...
আ ল মা হ মু দ নদীর ভিতরে নদী তোমার গোসল আমি দেখেনি কি একদা তিতাসে?মনে পড়ে? শ্মশানঘাটের সেই সিঁড়ি ছুঁয়ে নেমে যাওয়া জলডোবায় সে পাদপদ্ম। সফরী পুঁটির ঝাঁক আসেআঙুল ঠুকরে খেতে। নদী যেন নদীতে পাগল।নদীর ভিতরে যেন উষ্ণ এক নদী স্নান...
নীরব কোনো ঘরেসাদিক আল আমিন অতি বেশি নীরব কালো রাতে শহরের চোখে কালি ছুঁড়ে দিয়ে জেগে থাকো নিশ্চুপ।চোখ টানটান কাজলে আঁটা ঠিকঠাকভাবে।শুধু বেঠিকে গা মেলে দিয়েছে শূন্যে ভাসানো ওড়না।বেলকনির গ্রিল বেয়ে উঠে আসা অপত্য জোনাকির পুচ্ছ ছুঁয়ে দেখে নিয়েছো জোনাক পৃথিবীর...
ঋতুরাজ বসন্তনাফছি জাহানঋতুরাজ আজ জানিয়ে দিয়েছে মন হতে মনান্তরে,কুয়াশা ঘেরা শীতের প্রহর যাচ্ছে তারা ঝরে।প্রকৃতি তার রূপের বাহারে বাসন্তী রঙে সাজে,হৃদয়ে হৃদয়ে ফাগুনের ছোঁয়ায় মুখ লুকিয়ে সব লাজে।ঋতুরাজ আজ সঙ্গে এনেছে গাছে গাছে কচি পাতা,উপমার জাল দিয়েছো বুনে ওহে বাসন্তী...
শিরোনামহীনমোহাম্মদ জসিম উদ্দিনআপনার মানা না মানায় কি বা আসে যায়?শিয়ালের মত দিনে বা রাতে কেন এমন অশ্রাব্য গর্জন?শকুনের লোলুপ দৃষ্টি নিষ্পাপ হৃদয়ে তখন কিসের এতো উপলব্ধি?জ্ঞানের বিছানায় আজ ছারপোকা কি-ই বা ক্ষতি তখন উঁইপোকার?ধ্বংস-লীলার রঙ্গমঞ্চে নিত্যনতুন খেলা কার চেয়ে কে...
শীতের কান্নানূর মোহাম্মদ দীন মাঘের শুভ্র কুয়াশা চুরি করে সূর্যটাকেসারাদিন সূর্যকে খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত শীতরাতের আঁধারে নীরবে কাঁদে।গাছের পাতার গাল বেয়ে বেয়েটপটপ করে অশ্রু ঝরে শীতের বুকে -শীতের কুয়াশাজলে ভিজে যায় বিশুদ্ধ মাটি।কেঁপে ওঠে উদোম মাটিশীতের আলিঙ্গনে ;কুয়াশাভেজা মাটির বুকে শীতের...
এখন ঘুরে দাঁড়াবার সময় হাসি ইকবাল এখন ঘুরে দাঁড়াবার সময়নিজের পায়ে নিজে অনেক কুড়াল মেরেছিআর কত?শিশিরেভেজা কান্নার প্রলাপ রৌদ্দুওে রৈরী আভার অস্তিত্ব ছটপট করেঅবরুদ্ধ সময়ের কালো ধোঁয়ায়। জীবিতের ভান করে আমরা আসলে একেকটি মৃত লাশ মেঘবিলাসী মন বিশুদ্ধ হবার আশায়...
পথচলামোহাম্মদ নূর আলম গন্ধী দিনান্তের শেষ বিকেল বিদায় জানায়ভোরের কুয়াশা ভেদ করে নব উদিত রক্তিম সূর্য আভাকে,ধরণীতে নামে-গোধূলি বেলার আধো আলো আধো ছায়া,যেন ক্ষণিক পরেই নামবে সন্ধ্যারাতের আঁধার কালো।এমনিভাবে প্রতিটি নতুন দিনের শুরু হয়নিত্য আশায় ভালোবাসায়!কতো না মায়াময় স্বপ্নেঘেরা...
বেসুরো রাগিণীবাদল বিহারী চক্রবর্তীএক টুকরো জমিন ছিল উর্বর।দিনকে দিন পড়ে থাকা ইট, কাঁকর আর বালির স্তূপসরিয়ে নেয়ার এক ধরনের উন্নাসিকতায়বীতশ্রদ্ধ মৌসুমী বায়ুরা বারবার ব্যর্থতার একেকটিসনদপত্র ধরিয়ে দিয়ে গেছে তার হাতে।এখন চৈত্রের দাবদাহ।মৌসুমীরা কবে আসবে, জানা নেই তার ভাল।জীবন-চৈত্রের এই কাটখোট্টা...
একটি পতাকার জন্যআবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেককত ঘাস দিয়েছে প্রাণ কত নদী ডেকেছে বানমিলন মোহনার ঢেউভেঙেছে কত পাখির নীড় কত শত মেহেদী রাঙা হাতমেখেছে লাল রক্তমিশে গেছে কত ফুলের বাগান পথের ধূলায়ধর্ষিতা নারীর বুকফাটা আহাজারীছেলেহারা মার করুণ আর্তনাদবোনের পরনে বিধবার শাড়িরাজপথে রক্তের বন্যাশুধুই...
ফাহিম ফিরোজস্মার্টফোনে রোহিঙ্গা স্মার্টফোনে আজ রাত ঢোকে পড়ে মরিচের গুঁড়ো ছড়াতে ছড়াতে দেখলাম, নাফনদের কাদায় কেমন উপুর হয়ে আছে রোহিঙ্গা গৌরব আণবিক চক্র একটুও দেয় না ধমক নানুমণি, দ্যাখ্যে দ্যাখো...শুধু মুখের ভেতরটিস্যু পেপার ঢুকিয়ে বসে আছে তারা গা-জ্বলে আমারওই...
ফিরে চাই হেমন্তকেনূর মোহাম্মদ দীনহেমন্তে চৈত্রের আবহাওয়া!ভোরের শিশির তপ্ত রোদে শুকোয়বিষণœ সকালে।ঝরঝর করে বোঁটা খসে পড়ে সবুজের কুঁড়ি;বাতাসে জলীয়কণার অভাব;চোখ মেলে তাকানো যায় না হেমন্তের চোখে Ñবিষণœ মন হেমন্তের।পালিয়ে গেছে ঘাসফড়িং, প্রজাপতিরাহেমন্তের দেশ ছেড়ে!দখল করেছে চৈত্রের আবহাওয়া।উদোম গায়ে তবু দরদর...
অনিচ্ছুক ট্যাক্সিস ম তুহিনঅলিগলি ভেঙে ঝাপসা ফিঁকে রং ছুঁয়ে দিতে দিতেচৌকস কিছু উৎসের দরজায় কড়া নাড়ে সীমানার দেয়ালআমিও জানি সীমান্তের দেয়ালে রং লেগেছে দূরত্বের!অনিচ্ছুক ট্যাক্সি তুমিই তো বলেছিলে, সুসময়ের মুখে আলো ফেলবে। তাই আমি আলোয় আলোময় দেখি সব দেখি একঝাঁক...