শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
মিজানুর রহমান তোতা
শরৎ উল্লাসের নাচন
ওগো শরৎ, তোমার উল্লাসের নাচন দেখতে
বসে আছি পথ চেয়ে, তুমি বাহারী শাড়িতে
খোপায় হলুদরাঙা ফুল গুজে নাচবে আর
আমি দিগন্ত বিস্তৃত পখে বিবেকী গান
গুনগুনিয়ে গাইবো হাটবো দুলবো
চুপিসারে সঙ্গে থাকবে না কেউ।
এটাই তো চেয়েছি, মনে মনে ভেবেছি
করেছি কল্পনা খোলামনে প্রকৃতির
সঙ্গে কথা বলা, মন দিয়ে শুনবে
নেই কোন কৃত্রিমতা মেকি ভালোবাসা
আছে শরতের ভালোবাসার বিষ
তাই তো কষ্টব্যাথার সুখানুভুতির নাচন।
আহাদ আলী মোল্লা
শরৎ ঋতুর বানে
শরৎ আমার হাতে দিল দুবলো ভেজা শিশির
আলগোছে দেয় মুক্ত দানা জোছনামাখা নিশির
তার উপহার যায় না মোটে ভোলা
হিম কুয়াশায় ভরিয়ে দিল শূন্য মনের গোলা।
বালিহাঁসের পাখায় পাখায় বাজনা দিল কত
শাপলা ফোটা বাঁওড় বিলের স্বপ্ন অবারিত
দিলো ক্ষেতে ধান
চাষির মুখে মধুর মধুর হাসি অফুরান।
নদীর চরে কাশের ফুলে ভরিয়ে দিল বুক
ভোরের মৃদু হাওয়ায় দিল শিউলিঝরা সুখ
ঝিঁঝির মুখের সুরেলা গান
সাঁঝের মায়ার মিতালি তান
আকাশজুড়ে তারা দিল; দিল তারার হাসি
ঝিলিমিলি আলোর মিহি রাশি।
শরৎ এসে জাগিয়ে দিল নদীর বুকে চর
মধুর মোহন যামিনীতে জাগায় সরোবর
দিঘি পুকুর জোল হাসালো
ফিনকি দিয়ে চাঁদের আলো
চোখ ইশারায় আনে
সবুজ জমিন যায় ভরে তাই শরৎ ঋতুর বানে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।