শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
শীতের কান্না
নূর মোহাম্মদ দীন
মাঘের শুভ্র কুয়াশা চুরি করে সূর্যটাকে
সারাদিন সূর্যকে খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত শীত
রাতের আঁধারে নীরবে কাঁদে।
গাছের পাতার গাল বেয়ে বেয়ে
টপটপ করে অশ্রু ঝরে শীতের বুকে -
শীতের কুয়াশাজলে ভিজে যায় বিশুদ্ধ মাটি।
কেঁপে ওঠে উদোম মাটি
শীতের আলিঙ্গনে ;
কুয়াশাভেজা মাটির বুকে শীতের ছাপ
রাত শেষে শীতের কান্না
মিশে যায় কুয়াশার ভিড়ে।
ভালোবাসা
ফাতিমা আলী
সেইসব দিনে পাখিরা মেঘ থেকে খুঁটে খেত জল,
আমার একগোছা ফুলে ছুড়ে দিতে আদিম বাতাস
নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসে ঝলসে দিতে
অন্ধকার আয়ুর সুষমা।
বহুদিন কেটে গেছে- বহু যুগ হেঁটে গেছে নির্মম পায়ে
বহুদূর উড়ে গেছে সুখ্যাতির সুতো
আমি শুধু জেনেছি-
অপেক্ষার কষ্টের চেয়ে ভারী কিছু নেই পৃথিবীতে।
ভুলিনি, বেঁচে থাকার প্রতিজ্ঞা করেছি শুধুমাত্র।
অবশেষে ফিরে এসেছো; নিথর শরীর,
সুরার ক্ষত খেয়ে ফেলেছে পরমায়ু।
বসন্তে মৃত্যু চেয়েছিলে বলেই কী
বসন্তেই ফিরে এলে?
তোমার হিমশীতল শরীর ছুঁয়ে মনে হল
চোখ মেলে তাকিয়ে আছ;
ফাটল থেকে চুঁয়ে পড়া জলের মতো
ঝরে পড়ছে এক বিবক্ষু কাতরতা।
আমার চোখের বাগানে এখন স্তূপীকৃত পুষ্প
এই ভালোবাসার পুষ্পে ভরে দেব তোমার কফিন।
তুমি কি বোঝনি এমনই হয়?
ইদ্রিস আলী মেহেদী
বর্ণহীন বিষণœতা ভাসে ইথারের কোলে
পুষ্প পাপড়িরা দল বেঁধে গিয়েছে ভ্রমণে
এমন বৈরাগ্য চায় মেঘের মিনার
উম্ফয়নমুখী তবু অজানাভিমুখী. . .
শেষ লগ্নে মিনারের পাদদেশে
গড়ে যাযাবরাবাস
একি আত্মঘাতী কল্পনাবিলাস নয়!
সম্বিত ফিরে না তবু . . .
বৈরাগ্যের পাট চুকতেই ফের গেরুয়াবসন
পত্ পত্ ওড়ে অসীম দিগন্তে. . .
অনুযোগহীন আলম্ব খুঁটিতে বাঁধা
রজ্জু যায় খসে - হায় যোগী!
তুমি কি বোঝনি এমনই হয়!
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।