শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
শিরোনামহীন
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন
আপনার মানা না মানায়
কি বা আসে যায়?
শিয়ালের মত দিনে বা রাতে
কেন এমন অশ্রাব্য গর্জন?
শকুনের লোলুপ দৃষ্টি নিষ্পাপ হৃদয়ে
তখন কিসের এতো উপলব্ধি?
জ্ঞানের বিছানায় আজ ছারপোকা
কি-ই বা ক্ষতি তখন উঁইপোকার?
ধ্বংস-লীলার রঙ্গমঞ্চে নিত্যনতুন খেলা
কার চেয়ে কে তখন ছোট হবে?
হাজারো যন্ত্রণার এক পেয়ালা দুধে
একটুখানি পানি থাকলেই ক্ষতি কি?
জরাজীর্ণ মাথার চারণভূমিতে পঙ্গপালের দৌড়
তখন কিসের অহঙ্কার, কিসের মানবিকতা?
ধ্বংস হও তুমি, তুমি হও নিরাকার।
প্রিয় শত্রু
নাজমুন নাহার
কে বলে তুমি আমার ভীষণ প্রিয়!
বলিনি তো প্রীতি ভালোবাসা নিও-
চিরদিনের চরম শত্রু পরম পূজনীয়।
‘খ’ এর বদলে হলে ‘ক্ষ’ যখন
দেখালে ক্ষমতা ক্ষয় ক্ষতদুষ্ট মন-
ক্ষুধা আর অক্ষমতা আসলো কুক্ষণ।
হতে যদি ‘খ’ খাদ্য খেলা খশম
খোশখবর খোরমুজ খুশি খোদার কসম-
থাকত না ক্ষুব্ধতা, হত ক্ষমা তাও কি কম!
তবু মিত্রতার আশায় লিখি পত্র
এলোমেলো হয় সব মেলে না ছত্র
বদলালো কত কিছু তুমিই রইলে প্রিয় শত্রু ।
আমার মৃত্যুরা অন্য রকম
দ্বীপ সরকার
আমার মৃত্যুরা অন্য রকম...
ক্ষত থেকে ক্যান্সার না হয়ে
হয় কবিতার পা-ুলিপি,
হয় শীতকালীন অ্যালোভেরার ঘ্রাণ,
ওরা যখনই এসে ঘাড়ে বসে
প্রশ্ন তোলে ঈশ্বরের,
তখন আমার চোখে জন্ম নেয় আয়নার বীজ;
সে আয়নায় আমার মৃত্যুরা ভাসে আর ভাসে।
আমার মৃত্যুরা অন্য রকম...
শকুনের পায়ে যখন কিংবদন্তির মহাকাশ
জড়োসড়ো হয়ে আসে
তখন মনে হয় আমি মৃত মানুষ
অথবা মৃত মানুষের মতই;
তাই মৃত্যুকে এঁটে রাখি নিঃশ্বাসের কুলুপে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।