Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সায়েম-নিহাদের ঘূর্ণী জাদু

রনি-সাইফ-আমানুলের সেঞ্চুরি

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

১৯তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় দিনে রাজশাহী ও চট্টগ্রামে দেখা গেলো বোলারদের দাপট। কক্সবাজার ও খুলনায় ঠিক এর উল্টো চিত্র। সেখানে বোলারদের শাসন করছে ব্যাটসম্যানরা।
অতি নাটকীয় কিছু না ঘটলে কক্সবাজার শেখ কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিভাগ ও বরিশাল বিভাগের মধ্যকার ম্যাচটি যে ড্রয়ের দিকেই এগুচ্ছে তা বলাই যায়। বাজে আউটফিল্ডের কারণে প্রথম দিন সেখানে টসই হয়নি। দ্বিতীয় দিনে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পুরো দিন ব্যাট করে ৩০৯ রান তুলে নিয়েছে ঢাকা, বিনিময়ে হারিয়েছে মাত্র দুটি উইকেট। সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন রনি তালুকদার ও সাইফ হাসান। রনি ১৯৫ বলে ৮ চার ও ৬ ছক্কায় ১২১ রান করে ফিরলেও ১৯৩ বলে ৯ চার ও ৫ ছক্কায় ১০৬ রান করে অপরাজিত আছেন সাইফ। দু’জনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ১৪১ রানের জুটি গড়ার পর তৃতীয় উইকেটে রাকিবুল হাসানকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের জুটি গড়েন সাইফ।
খূলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামেও ছড়ি ঘোরাচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা। অধিনায়ক নাঈম ইসলাম ও উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ধীমান ঘোষের শতকের পর সোহরাওয়ার্দি শুভোর ৮৯ রানের উপর ভর করে স্বাগতিক খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ৪৭১ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছে রংপুর বিভাগ। আগের দিন ১২০ রানে অপরাজিত থাকা নাঈম এদিন আর মাত্র ১৫ রান যোগ করে অনিয়মিত বোলার তুষার ইমরানের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। ২৪৯ বলে ১৩৫ রানের ইনিংসটি ১২ চার ও ১ ছক্কায় সাজান নাঈম। খুলনার হয়ে আল-আমিন হোসেন নেন ১০২ রানে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। তিন বছর পর জাতীয় লিগে ফেরা মাশরাফি বিন মর্তুজা ১৪.৩ ওভার বল করে ২ মেডেনসহ নেন ১ উইকেট।
জবাবে ৫৭ ওভার হাত ঘুরিয়েও খুলনার একটি উইকেটও নিতে পারেনি রংপুর। বিনা উইকেটে ১৮৫ রানে দিন শেষ করে আব্দুর রাজ্জাকের দল। ১০৫ রানে ব্যাট করছেন আনামুল হক, তার উদ্বোধন সঙ্গী রবিউল ইসলাম রবি ব্যাট করছেন ৬৭ রান নিয়ে। তবে প্রথম ইনিংসে লিড নিতে এখনো তাদের করতে হবে ২৮৬ রান।
চট্টগ্রামে ঠিক এর উল্টো চিত্র। প্রথম দিন ঢাকা মেট্রোর ব্যাটসম্যানরা ছড়ি ঘোরানোর পর দ্বিতীয় দিনে দলকে এগিয়ে রাখলেন বোলাররা। ২৫৭ রান ও হাতে ৫ উইকেট নিয়ে দিন শুরু করা মেট্রোর প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩৪৪ রানে। জবাবে স্বাগতিক চট্টগ্রামকে মাত্র ১৩০ রানে গুটিয়ে দিয়েছে মেট্রো। বাঁ-হাতি স্পিনার নিহাদুজ্জামান ৪৫ রানে নেন ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে তারা। হাতে আট উইকেট নিয়ে ২২৬ রানে এগিয়ে জয়ের আশা করতেই পারে মার্শাল আয়ুবের দল।
ওদিকে রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামের ২২ গজ রিতিমত আতঙ্ক হয়ে উঠেছে ব্যাটসম্যানদের জন্যে। সিলেট বিভাগকে মাত্র ১২৮ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর স্বাগতিক রাজশাহী বিভাগের ইনিংস শেষ হয় মাত্র ৭৯ রানে। ডানহাতি অফস্পিনার সায়েম আলম ৩২ রানের খরচায় তুলে নেন ৬ উইকেট। জবাবে ব্যাটিং ধ্বসে পড়ে সিলেটও। ২২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ৫ উইকেটে ৯০ রান নিয়ে দিন শেষ করে তারা। হাতে ৫ উইকেট রেখে ১৩৯ রানের লিড নিয়েছে সিলেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর (২য় দিন শেষে)
রংপুর-খুলনা (১ম স্তর)
রংপুর : ১২০.৩ ওভারে ৪৭১ (নাঈম ১৩৫, ধীমান ১০৫, সোহরাওয়ার্দি ৮৯; আল-আমিন ১০২/৪, রাজ্জাক ১২৬/৩)
খুলনা : ৫৭ ওভারে ১৮৫ (আনামুল ১০৫, রবি ৬৭)।
খুলনা ২৮৬ রানে পিছিয়ে।
ঢাকা মেট্রো-চট্টগ্রাম (২য় স্তর)
ঢাকা মেট্রো : ১১৮.৫ ওভারে ৩৪৪ (আশরাফুল ১০৪, মেহরব জুনি. ৬৬; নাঈম হাসান ৮৪/৪, মেহেদী রানা ৫৯/২, বেলাল ৬৮/২) ও ৩ ওভারে ১২/২।
চট্টগ্রাম : ৫০.৫ ওভারে ১৩০ (পিনাক ২৮; নিহাদুজ্জামান ৪৫/৫, শরিফ উল্লাহ ৩৭/২)।
ঢাকা মেট্রো ২২৬ রানে এগিয়ে।
ঢাকা-বরিশাল (১ম স্তর)
ঢাকা : ৯০ ওভারে ৩০৯/২ (সাইফ ১০৬*, রাকিবুল ৪৫*)।
সিলেট-রাজশাহী (২য় স্তর)
সিলেট : ৬৮.৩ ওভারে ১২৮ (ইমতিয়াজ ৩৮; ফরহাদ রেজা ৩৩/৩, সাকলাইন ২৬/৩, মুক্তার ১২/২) ও ৫০ ওভারে ৯০/৫ (রাজিন সালেহ ৩৯, শাহানুর ২৬*; ফরহাদ রেজা ১৮/২)।
রাজশাহী : ২৭.৪ ওভারে ৭৯ (জুনায়দ ২২; সায়েম ৩২/৬, আবুল হাসান ২৪/৩)।
সিলেট ১৩৯ রানে এগিয়ে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সেঞ্চুরি

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ