পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সরবরাহ কম, মুরগির খাবারের দামবৃদ্ধি, বৃষ্টি ও বাড়তি পরিবহন ভাড়ার অজুহাতে বেড়ে যাওয়া ডিমের দাম এখনও কমেনি। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে। বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। অন্যদিক পাড়া মহল্লার দোকানে একই ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকা লাল ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। আর পাড়া মহল্লায় বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
একইভাবে দেশি ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা ডজন। প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২০০ টাকা। এছাড়া, কোয়েল পাখির ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। শুধু ডিমই নয়; একই বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে সবজির দাম। বাজারে ৬০ টাকা কেজির নিচে পেঁপে আর কাচকলা ছাড়া কোনো সবজিই মিলছে না। তবে সবজির সরবরাহ রয়েছে পর্যাপ্ত। বাড়তি দামে সবজি কিনতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষ। বাজারে এসে অল্প পরিমাণে সবজি কিনে বাসায় ফিরছেন অনেকে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
সবজির বাজারে বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কাকরোল ৭০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, গোল বেগুন ৮০ টাকা আর চিকন বেগুন ৭০ টাকায় বিক্রি করছেন দোকানিরা। সবজির এই উত্তাপ লেগেছে শাকেও। প্রতি আঁটি লাল শাক ২৫ টাকা, ডাটা শাক ২৫ টাকা আর পুই শাক বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। এছাড়াও প্রতি পিস লাউ ৬০-৭০ টাকা আর জালি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আসা এক ব্যাংক কর্মকর্তা আবিদুর রহমান বলেন, যুদ্ধের অজুহাতে সবকিছুর দাম বাড়ানো হলেও এখন সব কিছুর দাম কমছে। কিন্তু ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশে। সবজির দাম এতো বেড়েছে, এখন সবজি খাওয়ার অভ্যাস ছাড়ার উপক্রম হচ্ছে।
গৃহিনী রিতা নাহার বলেন, বাজারে শাকেরও বাড়তি দাম। আবার আঁটিতে পরিমাণেও কম। আঁটিগুলো এমন যে এক আঁটিতে চারজনের পরিবারে একবেলাও হয় না। দুই আঁটি নেওয়া লাগে। শাক কিনতেই ১০০ টাকার মতো খরচ হয়ে যায়। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি গরুর গোশত ৭০০ টাকা আর খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা দরে।
ব্রয়লার মুরগির কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ টাকা। এছাড়া লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা কেজি এবং সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ডিমের বাড়তি দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে আব্দুল আলেম নামের এক দোকানি জানান, ডিমের দাম আবার বাড়তে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়েছে। দাম বাড়ায় বিক্রিও কিছুটা কমেছে।
শাক-সবজির মতো মাছের দামও বাড়তি বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০ টাকা, রুই ২৫০ টাকা, পাঙাশ ১৬০ টাকা, সিলভার কার্প ১৪০ টাকা, শিং মাছ আকার ভেদে ৫০০-৭৫০ টাকা এবং চিংড়ি মাছ ৬০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের খুচরা বাজারে আটাশ চালের কেজি ৬০ টাকা, মিনিকেট ৭০-৭৫ টাকা, গুটি স্বর্ণা ৫৫ টাকা, স্বর্ণ ৫০ টাকা, নাজিরশাইল ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি মোটা ডালের কেজি ১১০ টাকা, চিকন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। এছাড়া পেঁয়াজের কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, রসুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা আর আদা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।