নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
লিওনেল মেসি ও নেইমার এখন আর সতীর্থ নয়। তাতে যে তাদের ফুটবলীয় ভাষাটা থমকে যায়নি তার প্রমাণ আবারো রাখলেন বর্তমান ফুটবলের দুই মহাতারকা। পরশু উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার ৩-০ গোলের জয়ে জোড়া গোল করলেন মেসি, বাকিটাতেও রাখলেন ভূমিকা। ওদিকে নেইমারের পিএসজিও প্রতিপক্ষকে দুমড়ে-মুসড়ে জিতল ৫-০ গোলে।
ইউরোপের সবচেয়ে বড় ক্লাব ফুটবল আসরের উদ্বোধনী দিনে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি ও বায়ার্ন মিউনিখও। তবে এদিন ফুটবল ভক্তদের আগ্রহের কেন্দবিন্দুতে ছিল ক্যাম্প ন্যু। যেখানে বার্সার প্রতিপক্ষ ছিল জুভেন্টাস, যাদের কাছে হেরে গেলবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল লুইস এনকিরে বার্সাকে। এছাড়া আর্জেন্টাইন-আর্জেন্টাইনের একটা লড়াইয়ের আভাস তো ছিলই।
গঞ্জালো হিগুয়েইন, পাওলো দিবালাদের রুখে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক মার্ক টার স্টেগেন। অপরদিকে অসাধারণ মেসিতে রাতটা হয়ে থাকল কেবল বার্সাময়। বিশ্বের সেরা ফুটবলারের বিপক্ষে জিয়ানলুইজি বুফনের গোল না খাওয়ার যে গর্বিত রেকর্ড তা এদিন অতীত হয়ে গেল মাত্র দুটি জাদুকরি মুহূর্তে। ভাগ্য সহায় হলে হ্যটট্রিকটাও হয়ে যেতে পারত, কিন্তু বারপোস্টের বাধায় তা আর হয়নি।
প্রথমার্ধের বিরতিতে যাবার আগমুহূর্তেই লুইস সুয়ারেজের যোগান থেকে লক্ষ্যভেদের মাধ্যমে দলকে এগিয়ে নেন মেসি। ডি-বক্সে ঢুকেই কোণাকুনি শটে ব্ফুনকে পরাস্ত করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা। ম্যাচের ৫৬তম মিনিটে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইভান রিকটিচ। এই গোলেও সিংহভাগ অবদান মেসির। প্রতিপক্ষের রক্ষণে তান্ডব চালিয়ে নেয়া তার শট রক্ষনভাগের খেলোয়াড়ের বাঁধায় ফিরে আসলে ফিরতি বল সহজেই জাে ল পাঠিয়ে দেন ক্রোয়েশিান মিডফিল্ডার। এর ১৩ মিনিট পর আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার পাস থেকে বল পেয়ে ফের কৌণিক শটে বুফনকে বোকা বানান মেসি। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এক যুগের ক্যারিয়ারে দুবার কোয়ার্টার ফাইনাল ও ২০১৫ সালের ফাইনালে পেয়েও বুফনকে পরাস্থ করতে পারেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
এই গোলের ফলে ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে মেসির গোলসংখ্যা দাঁড়ালো ৯৯। ১০৭ গোল করে তার সামনে কেবল রিয়াল মাদ্রিদের পর্তুগিজ তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ আর্নেস্তো ভালভারদে বলেন, ‘আমরা জানতাম সে (মেসি) বল পেলে কিছু একটা হবে। অতীতে মেসির বিপক্ষে দল মাঠে নামিয়ে আমাকে যথেষ্ঠ ঘাম ঝড়াতে হয়েছে। এখন সে আমারই দলে।’ মেসির এমন ঝলকানি জুভেন্টাস কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির কাছে অবশ্য স্বাভাবীক। উল্টো শিষ্যদের দিকে অভিযোগের তীর ছুঁড়ে তিনি বলেন, তার রক্ষণভাগ মেসিকে অন্তত পাঁচবার ডি-বক্সে ঢোকার সুযোগ দিয়েছে। এতে সে খুব বেশী ঘায়েল করার সুযোগ পেয়ে গেছেন।
ওদিকে ইউরোপ সেরা হতে পিএসজির আট-ঘাঁট বেঁধে মাঠে নামার শুরুটাও হলো দুর্দান্ত। নেইমার-এমবাপেদের পেয়ে এডিনসন কাভানিও যেন হয়ে গেছেন ‘গোলমেশিন’। এদিনও জোড়া গোল করেন উরুগুয়ান স্ট্রাইকার। ৫-০ গোলের জয়ে একটি গোল করেন ও এমবাপেকে দিয়ে একটি করান নেইমার। ১৯ বছর বয়সেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দুটি ভিন্ন দলের হয়ে গোল করার রেকর্ড গড়লেন এমবাপে। বাকিটা ছিল সফরকারীদের দেওয়া স্বাগতিকদের উপহার। নতুন ‘এনএমকে’ ত্রয়ীর তান্ডবে আসরের সবচেয়ে বড় হারের লজ্জায় ডোবে স্কটিশ ক্লাবটি। ম্যাচ শেষে পিএসজি কোচ উনাই এমেরি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের দলটি মিশ্র চরিত্র প্রদর্শন করেছে। পুরো সফলতাটিই দলগত। ম্যাচের পুরো সময় জুড়ে তারা যথেষ্ট ধৈর্য ও সংযমের পরিচয় দিয়েছে। যা আমাকে সত্যিকার অর্থেই মুগ্ধ করেছে।’
অসাধারণ এই জয়ের ফলে ‘বি’ গ্রæপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেস্থান দখলে নিয়েছে পিএসজি। একই গ্রæপের জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ এদিন ৩-০ গোলে হারিয়েছে ১০ জনের আন্দারলেখটকে। তবে রাতের সবচেয়ে বড় জয়টি ছিল চেলসির। নিজেদের মাঠে এদিন তারা আসরের নবাগত কারাবাগকে হারায় ৬-০ গোলে। রোমার ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মধ্যকার ‘সি’ গ্রæপের অপর ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়।
এছাড়া ‘এ’ গ্রæপের ম্যাচে এফসি বাসেলের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় পেয়েছে হোসে মরিনহোর ম্যান ইউ। গ্রæপের অপর ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকাকে তাদেরই মাঠে ২-১ গোলে হারিয়েছে রাশিয়ান ক্লাব সিএসকেএ মস্কো।
এক নজরে ফল
বার্সেলোনা ৩-০ জুভেন্টাস
সেল্টিক ০-৫ পিএসজি
চেলসি ৬-০ কারাবাগ
ম্যান ইউ ৩-০ বাসেল
রোমা ০-০ অ্যাট. মাদ্রিদ
বেনফিকা ১-২ সিএসকেএ মস্কো
অলিম্পিয়াকস ২-৩ স্পোর্টিং লিসবন
বায়ার্ন মিউনিখ ৩-০ আন্ডারলেখট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।