Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মুসলিম দেশগুলোকে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জিহাদে নামতে হবে-ইসলামী নেতৃবৃন্দ

সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের রক্ষায় এবং তাদের স্থায়ী বসতবাড়ি নির্ধারণে মুসলিম দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে মায়ানমার জান্তা ও সন্ত্রাসী বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে জিহাদে নামতে হবে। গতকাল পৃথক পৃথক বিবৃতিতে বিভিন্ন ইসলামী নেতৃবৃন্দ মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে যারা বাংলাদেশে এসেছে তাদের আশ্রয়সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া এবং তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য বিশ্ব মুসলমানদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইসমাঈল নূরপুরী বলেছেন, বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ হতে থাকলেও মায়ানমার সরকার আরকানের মুসলমানদের হত্যা ধর্ষণ, ঘর-বাড়ি জালিয়ে দেয়া অব্যাহত রেখে দেশ ছাড়তে বাধ্য করছে। তাই মুসলিম বিশ্বকে মায়ানমারে সৈন্য পাঠিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে যুদ্ধ নামতে হবে। তিনি মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে যারা বাংলাদেশে এসেছে তাদের আশ্রয়সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া এবং তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসার জন্য বিশ্ব মুসলমানদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। তিনি ভারত চিনকে মানবতার পক্ষে অবস্থান নেয়ার আহবান জানান। অন্যথায় বিশ্বের দরবারে দেশদুটি মানবতা বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত হবেন। বার্মার সকল পন্য ক্রয় থেকে বিরত থাকতে এবং মায়ানমারের সাথে সকল সম্পর্ক বন্ধ রাখা সময়ের দাবী। তিনি গতকাল বিকেলে কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ ও কানযরে রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে সাহায্য দেয়ার প্রাক্কালে এসব কথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন বি-বাড়ীয়া জামিআ আশরাফিয়ার প্রিন্সিপাল মুফতী দ্বীন মোহাম্মদ, পুটির কেন্দ্রীয় মসজিদের খতীব মাওলানা ইয়াকুব উসমানী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কক্সবাজার জেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা কফির উদ্দীন মানিক, হাফেজ মাওলানা শামসুল হক প্রমূখ। কর্মসূচী শেষে প্রতিনিধিদল হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা আহমদ শফীর সঙ্গে সাক্ষাত করে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিষয়ে বিভিন্ন আলোচনা করেন।
সারাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ
রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধ ও রোহিঙ্গাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ গতকাল সোমবার সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসুচি পালন করেছে। বিক্ষোভ পূর্ব জমায়েতগুলোতে জেলা নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্তর্জাতিক আদালতে বিশ্ব সন্ত্রাসী খুনি ঘাতক অং সান সু চি’র বিচার করতে হবে। এজন্য আন্তর্জাতিক আদালতে সূচির বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় পৃথক মুসলিম জাতিসংঘ গঠনের জন্য বিশ্বমুসলিম নেতৃবৃন্দের প্রতি আহŸান জানান।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মিয়ানমারে মুসলিম গণহত্যা বন্ধে সকল জেলা সদরেই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচী পালিত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ মহানগর, নরসিংদী, মাদারীপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, শরীয়তপুর, শেরপুর, গাজীপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম মহানগর, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, নোয়াখালী, কুমিল­া জেলা পূর্ব, চাঁদপুর, ল²ীপুর, ফেনী, বি-বাড়ীয়া, সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, খুলনা, ঝিনাইদহ, যশোর, নড়াইল, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, জয়পুরহাট, বগুড়া, পাবনা, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, নওগাঁ, রংপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাও, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, পঞ্চগড়, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বরগুনা জেলাসহ দেশের সকল জেলা সদরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালিত হয়। এদিকে ইসলামী আন্দোলন ঢাকা জেলার শাখার উদ্যোগে কেরাণীগঞ্জের জোড়াব্রীজে বিক্ষোভ মিছিল সেক্রেটারী আলহাজ্ব শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব সুলতান আহমদ খান, ডা. কামরুজ্জামান, হাফেজ মাওলানা জহিরুল ইসলাম, মাওলানা ইলিয়াস হোসাইন প্রমুখ।
মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, মায়ানমারে যেভাবে হত্রা নির্যাতন চালানো হচ্ছে হচ্ছে, তা পুরোপুরি জাতি নির্মূলের লক্ষ্য। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের বাঁচাতে বিশ্ববিবেককে জাগ্রত করতে হবে। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে বিশ্বজনমত গঠন এবং মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে হবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধ ও রোহিঙ্গাদের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা যে কোন মূল্যে করতে হবে। ভূ-রাজনৈতিক কারণে রোহিঙ্গাদের ওপর হামলা চলছে। বহুজাতিক কোম্পানির স্বার্থের আঘাত পড়েছে রোহিঙ্গাদের ওপর। আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারকে যা করার দরকার তাই করতে হবে।
গতকাল সকালে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া অঞ্চলে নির্যাতিত, নিগৃহীত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে সাহায্যদান তিনি এসব কথা বলেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতবৃন্দসহ কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারী মাওলানা মোহাম্মদ আলীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শরণার্থীদের খাবারের জন্য লঙ্গরখানা ও ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
ময়মনসিংহ ব্যুরো জানায়, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রতিবাদে ময়মনসিংহে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সোমবার বাদ আছর নগরীর বড় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নতুন বাজার মোড়ে গিয়ে সমাবেশ করে।
এ মিছিলে নেতৃত্বে দেন দলটির ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি মাওলানা গোলাম মাওলা ভুইয়া, দক্ষিণ জেলা শাখার আহবায়ক মাও: মামুনুর রশিদ, আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মাও. রফিকুল ইসলাম মন্ডল, সাইফুল্লাহ, মুকুল হোসেন, মাও.আনোয়ার হোসেন. মনির উদ্দিন, মাও. সাদী প্রমুখ।এর আগে ময়মনসিংহ থিয়েটার এসোসিয়েশনের উদ্যোগে সোমবার বিকেলে নগরীর শহীদ ফিরোজ জাহাঙ্গীর চত্বরে একই দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। এ সময় সংগঠনের আহŸায়ক শাহাদাৎ হোসেন খান হিলুর সভাপতিত্বে ও আজাহার হাবলুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এড. মোয়াজ্জেম হোসন বাবুল, কবি মোশাররাফ করিম, নাট্যব্যক্তিত্ব এড. আবুল কাশেম প্রমূখ।
যশোর ব্যুরো জানায়, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যার প্রতিবাদে যশোরে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শহরের চিত্রামোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধের দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ডিএম শাহিদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারু, সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাস, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু, সুর বিতানের সভাপতি আবু সালেহ তোতা।
নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের হত্যা ও বিতাড়নের প্রতিবাদে গতকাল বাদ আছর নোয়াখালী জেলা শহরের আলেম ওলামা ও মুসল্লীরা বিক্ষোভ মিছিল করে ।
পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল গতকাল সোমবার বিকেলে পটিয়ার শান্তিরহাট চত্বরে সাংবাদিক মওলানা শফকত হোসেন চাটগামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। ইসলামী আন্দোলন নেতা মুহাদ্দিস আল্লামা হাফেজ ফরিদ আহমদ আনসারী, শিক্ষাবিদ ড. বেলাল নূর আজিজী, সংঙ্গীত স¤্রাট আসহাব উদ্দিন আল আজাদ, ইসলামী আন্দোলন নেতা মওলানা এবিএম অলি উল্লাহ, জেলা সেক্রেটারী হুমায়ুন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গোয়ালন্দ ( রাজবাড়ী ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, মায়ানমারের মুসলমানদের উপর পাশবিক অত্যাচার গণধর্ষণ ও নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন রাজবাড়ী জেলা শাখা। সমাবেশে বক্তৃতা করেন ইসলামী আন্দোলন রাজবাড়ী জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব নুর মোহাম্মদ, সাধারন সম্পাদক গোলাম কবির মাসুম, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আয়ুব আনসারি, মুফতি শামছুল হুদা প্রমুখ।
আরাকানে স্বতন্ত্র এলাকা তৈরিতে মিয়ানমারকে বাধ্য করুন
রোহিঙ্গা মুসলমানদের অস্তিত্ব রক্ষায় এগিয়ে আসুন
Ñছারছীনা পীর ছাহেব
বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর আমীর ছারছীনার পীর ছাহেব আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (মা.জি.আ.) এক বিবৃতিতে বিপন্ন রোহিঙ্গা মুসলমানদের অস্তিত্ব রক্ষা ও তাদের নিরাপদে নিজ এলাকা আরাকানের নিজস্ব এলাকায় প্রত্যাবর্তন ও বসবাসের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘ, সকল মানবাধিকার সংস্থা, ওআইসিসহ বিশ^ নেতৃবৃন্দের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে পীর ছাহেব বলেন, আমাদের পাশর্^বর্তী দেশ মিয়ানমারের আরাকান এলাকায় রোহিঙ্গা মুসলমান জনগোষ্ঠীর ওপর সে দেশের সরকার ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় বৌদ্ধ ধর্মান্ধরা যে পৈশাচিক অত্যাচার, নিপীড়ন ও গণহত্যা চালাচ্ছে তা অত্যন্ত ঘৃণ্য ও নজিরবিহীন। বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, হত্যা, লুটতরাজ, নারী শিশু নির্বিশেষে নিরীহ মানুষদের নিজ বাড়িঘর ও শত শত বছর ধরে বসবাসস্থল থেকে উচ্ছেদের যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে তা মানবাধিকার দলনের এক জঘন্য পৈশাচিকতার দৃষ্টান্ত। এই নিষ্ঠুরতা বন্ধের জন্য যে পদক্ষেপ নেয়া জরুরি বিশ^ সংস্থা ও শান্তির ধ্বজাধারীরা তা করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে একা এই পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব নয়। তবুও মানবতার খাতিরে আমাদের সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক সকল সংগঠন ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহŸান জানিয়ে তিনি নি¤œলিখিত প্রস্তাব দেন।
জাতিসংঘ, ওআইসিসহ শান্তিকামী বিশে^র নেতৃবৃন্দ এগিয়ে আসুন। বাস্তুহারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রয়োজনীয় আশ্রয়স্থল, খাদ্য ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন। রোহিঙ্গা মুসলমানরা যাতে তাদের নিজ বাসস্থানে স্বাধীনভাবে মর্যাদার সাথে নিরাপদে শান্তিতে বসবাস করতে পারে, বাস্তুহারারা নিজ বাড়িঘরে ফিরে যেতে পারে তার নিশ্চয়তা বিধান করুন। মিয়ানমারের ঐ এলাকায় মুসলমানদের স্বতন্ত্র এলাকা তৈরি করে দেয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারকে বাধ্য করুন।
পীর ছাহেব বাংলাদেশ জমইয়তে হিযবুল্লাহর নেতা-কর্মীদের নি¤েœাল্লিখিত নির্দেশ দেন।
সরকার অনুমোদিত পন্থায় আশ্রয়হীন, খাদ্যহীন, অসুস্থ রোহিঙ্গা মুসলমানরা যত দিন না নিজ নিজ বাড়িঘরে নিরাপদে ফিরে যেতে পারছে ততদিন তাদের আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসার প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তায় এগিয়ে যান। গণসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণভাবে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় শহর ও রাজধানীতে মানববন্ধনের ব্যবস্থা করুন। নিয়মিতভাবে দোয়ায়ে হাসবুনাল্লাহ ও দরূদে সাইফুল্লাহ পড়ে রোহিঙ্গা মুসলমান ভাইবোনদের জন্য দোয়া ও মুনাজাত অব্যাহত রাখুন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসলামী নেতৃবৃন্দ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ