পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বন্দর নগরী চট্টগ্রাম হালিশহর থানার আচার্য্য পাড়ায় মুসলমানদের গরু কোরবানি করতে স্থানীয় হিন্দু সন্ত্রাসী কর্তৃক বাধা দেয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ করেছেন সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ-এর সভাপতি মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার এবং হক্কানী ত্বরিকত ফেডারেশন এর চেয়ারম্যন কাজী আহমদুর রহমান, জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাও: আহমদ আবদুল কাইয়ুম।
গতকাল পৃথক বিবৃতিতে তারা বলেন, উল্লিখিত এলাকায় ঈদের দিন গরু কোরবানি করতে গেলে স্থানীয় হিন্দু সন্ত্রাসী আশীষ কুমার নাথ, শান্তুনু কুমার, বেনু কুমার, কানু আচার্যরা মুসলমানদের বাধা দিয়ে বলে, ‘এ এলাকা আমাদের বাপ দাদার, এ এলাকায় গরু জবাই হলে গর্দান ফেলে দেয়া হবে’।
হিন্দু সম্প্রদায়ের এ হুমকির পর আচার্য পাড়ার মুসলিম পরিবারসমূহ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। এ ব্যাপারে গতকাল (১৫/০৯/২০১৬) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী মুসলিম পরিবারের পক্ষ হতে মোহাম্মদ মোজাম্মেল হাওলাদার (৬৫) এ বিষয়ে হালিশহর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ (অভিযোগ নম্বর-১৫৯৯/১৬) দায়ের করেন।
অভিযোগকারী মোহাম্মদ মোজাম্মেল হাওলাদার বলেন, ঈদের দিন সকাল ১০টায় আশীষ কুমার নাথ, শান্তুনু কুমার, বেনু কুমার, কানু আচার্য তাদের সরকারি রাস্তায় গরু জবাই করতে বাধা দেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং গরু জবাই করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বলেÑ রাস্তা তাদের, সেখানে গরু জবাই করা যাবে না।
এলাকাবাসী জানান, প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয়া সত্ত্বেও তাৎক্ষণিক এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি হালিশহর থানার ওসি প্রণব চৌধুরী, এমনকি জিডি নিতেও রাজী হয়নি থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে হিন্দু সম্প্রাদায়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দেয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।