পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : গত সোমবার মন্ত্রীপরিশোধ বৈঠকে এবং গত রোববার রাজধানীতে বিএফইউজে ও ডিইউজে’র যৌথসভায় প্রধানমন্ত্রী তার তিন বাম মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন ও আসাদুজ্জামান নূর-এর নাম উল্লেখ করে বলেছেন, তারা যদি আমার মূর্তির বিপক্ষের অবস্থানকে এবং হেফাজতের সাথে রাষ্ট্রীয় প্রধান হিসেবে তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনাকে সমর্থন না করেন তবে মন্তব্যের পূর্বেই তাদের পদত্যাগ করা দরকার ছিল। গতকাল বিভিন্ন ইসলামী নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে সাধুবাদ জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, উল্লেখিত তিন বামমন্ত্রী বরাবরই ইসলাম ও বর্তমান সরকার বিরোধী বক্তব্য দিয়ে আসছে। এই তিন মন্ত্রী রাষ্ট্রধর্মের বিরুদ্ধে, হিন্দুত্ববাদী পাঠ্যসুচী এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার পক্ষে উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। সর্বশেষ তারা সুপ্রিমকোর্টে মূর্তি স্থাপন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানের বিরোধিতা করেছেন। তাদেরই প্রশ্রয়ে একটি মহল থেকে ইসলাম ও রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটাক্ষ করা হচ্ছে। এভাবে তারা সরকারের বিরুদ্ধে এবং দেশের ইসলামী জনতার সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে কথা বলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে উল্লেখিত তিন মন্ত্রীসহ তাদের সমর্থিত মন্ত্রীদের মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার করতে হবে। একই সাথে উচিত এই তিনমন্ত্রীর সমর্থনপুষ্ট বাম-রাম নেতাদের সাথে সরকারের সম্পর্ক ছিন্ন করা।
ঢাকা মহানগর জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, মহানগর সেক্রেটারী মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, ইসলামিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্টের আহŸায়ক শাহ সুফী সৈয়দ আব্দুল হান্নান আল হাদী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ গতকাল এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দলমত নির্বিশেষে দেশের ১৬ কোটি মানুষেরই প্রধানমন্ত্রী। সেই কারণেই সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি মর্যাদা দেওয়া প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের কর্তব্য। নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার কর্তব্য পালনে সজাগ বলে আমরা মনে করি। সরকার থেকে শাহরিয়ার কবির, সুলতানা কামাল ও ইমরান এইচ সকারসহ বাম নাস্তিকদের বহিষ্কার করলে এদেশের ইসলামী জনতা সরকারের ইসলাম বিষয়ক সকল কার্যকলাপকে আন্তরিকভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনুযায়ী ইসলামের সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার কায়েম করেন তবে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তাকে সমর্থন করবে। তারা বলেন, ইহুদি-খ্রিস্টানদের অর্থ সাহায্যে ও পরিকল্পনায় প্রতিষ্ঠিত আইএস ও জঙ্গি কার্যকলাপ যা ইসলামী ভাব-মর্যাদা নষ্ট করার জন্য করা হচ্ছে তা নির্মূল করতে প্রধানমন্ত্রীকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবে। কাজেই সরকারের উচিত হাতে গোনা কিছু সংখ্যক বাম-রাম নাস্তিকদের পক্ষে নয়, দেশের জনগণের পক্ষে অবস্থান নেয়া। একই সাথে ঘুষ, দুর্নীতি নির্মূলের জন্য শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।