পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজিব হত্যার রায়ে ইমামদের বয়ানের বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের মহানগর সভাপতি মাওলানা মওদুরুল ইসলাম আফেন্দি। গতকাল পৃথক পৃথক বিবৃতিতে তারা বলেন, রায়ে ইমামগণের বয়ানের বিষয়ে বিচারিক আদালতের নিয়ন্ত্রণের চিন্তা জঙ্গিবাদ বন্ধে ইতিবাচক হবে না। বরং জঙ্গিবাদের বিষয়সহ আনুসাংগিক বিষয়ে কোরআন হাদিসের শিক্ষা ব্যবস্থা বাধ্যতামুলক হলে জঙ্গিবাদে কেউ জান্নাত খুজবে না।
ইসলামী আন্দোলন
রাজীব হত্যার বিচারের রায়ে ইমামদের বয়ানের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। আজ এক বিবৃতিতে মহাসচিব বলেছেন, ইমাম-খতীবদের বয়ানের বিষয়ে বিচারিক আদালতের নিয়ন্ত্রণের চিন্তা জঙ্গিও সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে ইতিবাচক হবে না। ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করার ব্যবস্থা নিলে দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থাকবে না। মহাসচিব বলেন, ইমাম ও খতীবগণ দেশের আইন লঙ্ঘণ করে বক্তব্য দেন না। বরং ঘরে-বাইরে জঙ্গিবাদের কুফল সম্পর্কে মুসল্লিদের উদ্ধুদ্ধ করে বয়ান করে থাকেন তিনি বলেন, চলমান সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দেশের ওলামায়ে কেরাম, পীর-মাশায়েখ ও মসজিদের ইমাম-খতীবগণ সবসময়ই সোচ্চার ভুমিকা পালন করে জাতিকে সোচ্চার করে আসছেন। ইসলাম, দেশ ও মানবতার পক্ষে দেশের সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম ও খতীবগণ ঐকান্তিক ভাবে কাজ করে আসছেন। জঙ্গিবাদের সাথে কোন ওলামায়ে কেরাম ও ইসলামী নেতৃবৃন্দের সম্পর্ক নেই। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিষয়ে কুরআন-হাদিস ভিত্তিক বয়ান জুমার খুৎবায় দিয়ে চলেছেন। চলমান পরিস্থিতি ও ইসলামের বিভিন্ন বিধি-বিধান সম্পর্কে খতীবগণ জুমার খুৎবায় বয়ান করে থাকেন। সুদ-ঘুষ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি, নারী অপহরণ-নারী ধর্ষণ ও ইভটিজিংসহ বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে গণসচেতনায় মসজিদের ইমাম-খতীবগণ অত্যন্ত জোরালো ভাবে দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করে থাকেন।
আজ এক বিবৃতিতে মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ আরও বলেন, আইন করে বা সরকার যদি ইমাম-খতীবদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন তাহলে এটা কল্যাণকর হবে না। তিনি বলেন, ইমামদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা না করে শিক্ষার সকলস্তরে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী কুরআন-হাদিস ভিত্তিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করলে সরলমনা মুসলমান যুবকরা জঙ্গিবাদে ধাবিত হবে না। এ যাবৎ যত জঙ্গি গ্রেফতার হয়েছে তাদের সাথে মসজিদের ইমাম খতীবগণের সম্পর্ক প্রমাণিত হয়নি।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মহানগর
শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাত্যতামূলক করলে শিক্ষার্থীরা বিপথগামী হবে না ইন্শাআল্লাহ। ইমাম ও খতীব সাহেবগণ জুমার বয়ানে যেভাবে কুরআন হাদিসের আলোকে শান্তি-স¤প্রীতি ও মানুষের জান-মালেরর নিরাপত্তার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন ঠিক সেভাবে স্কুল, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে যদি যুক্তি-তর্ক দিয়ে কুরআন হাদিস বুঝানো হয় তাহলে আশা করা যায় যে, শিক্ষার্থীরা ইসলামকে সঠিকরূপে পালন করতে সক্ষম হবে। গতকাল এক বিবৃতিতে ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী এ কথা বলেন। তিনি বলেন নিখোঁজ হওয়ার পূর্বে যখন একজন শিক্ষার্থীর মাথায় একথা ঢুকবে যে, এভাবে মাতা-পিতাকে কষ্ট দেওয়াকে ইসলাম মোটেও সমর্থন করে না। তখন সে মাতা পিতাকে কখনোই আর এভাবে কাঁদাবে না। এ প্রসঙ্গে কুরআন-হাদিসের দলীল প্রমাণগুলো স্পষ্ট করে তাদের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। তাদেরকে বুঝাতে হবে যে, ইসলামের জিহাদ আর প্রচলিত জঙ্গিবাদ এক জিনিস নয়। হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর কোন সাহাবিই এ পথে অগ্রসর হননি। মাওলানা আফেন্দী আরো বলেন- ইমাম ও খতীবদের বয়ানে নজরদারী করার কিছুই নেই। তাঁরা বরং সব সময়ই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন যার অন্তরে ইসলামের সৌন্দর্য সম্পর্কে এবং মানুষের জান-মালের ক্ষতি সম্পর্কে কুরআন হাদিসের কঠোর হুঁশিয়ারি বার্তা সম্বন্ধে কোন ধারণাই নেই তাকে ভুল বুঝিয়ে বিপথে নেওয়া খুবই সহজ। আর তাই অভিভাবক ও রাষ্ট্রের কর্তব্য হলো সর্বাগ্রে শিক্ষার্থীকে শিক্ষার সর্বস্তরে কুরআন হাদিস ভালভাবে অনুধাবন করার ব্যবস্থা করা। নজরদারির ফল ইতিবাচক হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।