Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছোটদের সাফে বড় জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ছোটদের সাফে বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশের কিশোর ফুটবল দল। নেপালে সাফ অনুর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বৈাধনী ম্যাচে চ্যাম্পিয়নদের মতই খেলে লাল-সবুজরা উড়িয়ে দিলো শ্রীলঙ্কাকে। গতকাল কাঠমান্ডুর আনফা একাডেমিতে টুর্নামেন্টের ‘এ’ গ্রæপের প্রথম ম্যাচে ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের হ্যাটট্রিকের সুবাদে বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৫ দল ৪-০ গোলে হারায় শ্রীলঙ্কাকে। বিজয়ী দলের হয়ে ফয়সাল তিন গোল করলে অন্যটি করেন নাজমুল হোসেন। এই জয়ে সাফ অনুর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল প্রায় নিশ্চিত হলো বাংলাদেশের।
যে কোন ঘরণার ফুটবলে বাংলাদেশের জাতীয় ও যুব দল যেখানে ধারাবাহিক ব্যর্থতার মধ্যে রয়েছে, সেখানে নেপালে কিশোর দলের বড় জয় কিছুটা হলেও আশার আলো জ্বালালো। ফুটবলপ্রেমীরা অন্তত স্বান্তনা পেলেন এই ভেবে যে, বড়রা পারে না তো কি হয়েছে, ছোটদের তো আর থামিয়ে রাখা গেল না।
কাল বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলে লাল-সবুজরা। যা শেষ পর্যন্তই বজায় ছিলো। ফলে একের পর এক গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রথমার্ধেই তিন গোল পায় মোস্তফা পারভেজের শিষ্যরা। ২৮ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে এগিয়ে যান ফরোয়ার্ড ফয়সাল। বল নিয়ে শ্রীলঙ্কার বক্সে ঢুকেই আড়াআড়ি শটে গোল করেন তিনি। লঙ্কান গোলরক্ষক স›দ্বীপ কোন সুযোগই পাননি ফয়সালের শট আটকানোর (১-০)। চার মিনিট পরেই ব্যবধান দ্বিগুন করেন ফয়সাল। ম্যাচের ৩২ মিনিটে লঙ্কান বক্সের সামনে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে ছোট পাসে আবারও বল পেয়ে গড়ানো শটে প্রতিপক্ষ দলের ডিফেন্ডারদের পায়ের ফাক দিয়ে গোলরক্ষককে ফের পরাস্ত করেন সেই ফয়সাল (২-০)। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে তৃতীয় গোল পায় টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এসময় ডানপ্রান্ত থেকে কর্নার লঙ্কান ডিফেন্ডাররা আংশিক ক্লিয়ার করলেও বল পেয়ে বামপ্রান্ত দিয়ে শট করেন নাজমুল বিশ্বাস। গোলরক্ষক লাইন ও ফ্লাইট মিস করলে নাজমুলের শটের বল জালে জড়ায় (৩-০)। তিন গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেলেও গোলক্ষুধা ঠিকই থেকে যায় বাংলাদেশের। ফলে দ্বিতীয়ার্ধে আরও এক গোল আদায় করে নেয় তারা। সঙ্গে ফয়সালের হ্যাটট্রিকও। বিরতির পর বাংলাদেশ আক্রমণ ছিল চোখে পড়ার মতো। মূহুর্মূহ আক্রমণে শ্রীলঙ্কার রক্ষণদূর্গকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে তারা। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে নিজেদের বক্সে বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডকে অবৈধভাবে বাধা দেন এক লঙ্কান ডিফেন্ডার। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির নির্দেশ দেন নেপালী রেফারি। পেনাল্টি থেকে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ফায়সাল (৪-০)। ম্যাচের বাকি সময় আর কোন গোল না হওয়ায় ৪-০ ব্যবধানের বড় জয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। গ্রæপের শেষ ম্যাচটি ২২ আগষ্ট ভূটানের বিপক্ষে খেলবে লাল-সবুজরা।
২০১১ সালে নেপাল থেকে যাত্রা শুরু দক্ষিণ এশিয় দেশগুলোর কিশোর ফুটবলারদের টুর্নামেন্ট সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের। দু’বছর পর নেপালেই বসেছিলো দ্বিতীয় আসর। ২০১৫ সালে তৃতীয় আসর বসে বাংলাদেশের সিলেটে। ঘরের মাঠে তখন চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। কিশোরদের এই টুর্নামেন্ট আবার ফিরেছে হিমালয়ের দেশে। টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসরে পার্থক্য শুধু খেলোয়াড়দের বয়স। আগে ছিল অনূর্ধ্ব-১৬, এখন থেকে অনূর্ধ্ব-১৫। এএফসির গাইডলাইন অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (সাফ)। আগের তিনবারের দুইবার এ টুর্নামেন্ট আয়োজন করলেও নেপাল এখনো চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জিততে পারেনি। একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ। তিনবারই ফাইনালে খেলেছে ভারত। কাকতালীয় ভাবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা একই গ্রæপে পড়েছে প্রতিবারই। এ নিয়ে চারবারই জিতল বাংলাদেশ দল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ছোট

২৩ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ