Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাগরিক অস্থিরতা বৃদ্ধির আশঙ্কা

পশ্চিম মিয়ানমারে ত্রাণকর্মীদের প্রতি জাতিসংঘের সতর্কতা

| প্রকাশের সময় : ১২ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : অস্থির রাখাইন রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের কাছ থেকে ক্রমবর্ধমান বৈরিতা ও আসন্ন বিক্ষোভ নিয়ে পশ্চিম মিয়ানমারের ত্রাণকর্মীদের সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। বৌদ্ধদের একটি বড় অংশ মনে করছে কিছু মানবাধিকার সংস্থা রোহিঙ্গা মুসলিমদের সমর্থন করছে। রাখাইন রাজ্যে কর্মরত জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থাগুলোর (আইএনজিও) ৩০০ বা তার বেশি কর্মীর কাছে পাঠানো একটি সতর্কতামূলক নিরাপত্তা বিজ্ঞপ্তি রয়টার্সের কাছে পৌঁছে। গত বুধবার বিজ্ঞপ্তিতে নাগরিক অস্থিরতা বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া এরই মধ্যে সহিংসতায় জর্জরিত রাজ্যটিতে অবস্থিত ত্রাণ সংস্থাগুলোর দপ্তরে বিক্ষোভের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। মিয়ানমারে জাতিসংঘের রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটরের দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারির কথা নিশ্চিত করা হয়েছে। নিয়মিত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা অনুশীলনের অংশ হিসেবে এটি পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। বৃহত্তর মুসলিম স¤প্রদায়কে সমর্থন সত্তে¡ও রাখাইন রাজ্যে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো মুসলিম জঙ্গিদের সমর্থন করছে বলে ধারণা রয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামাজিক গণমাধ্যমে বিতর্ক ও কিছু কট্টরপন্থীদের সহিংসতা ঘটানোর ইঙ্গিত আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। গুজব ও ভুল তথ্য জাতিসংঘ এবং আইএনজিওগুলোর বিরুদ্ধে ইন্ধন জোগাতে ব্যবহার করা হতে থাকবে। একই সঙ্গে এগুলো উদ্বেগ ও শত্রুতা বাড়িয়ে তুলবে। বরাবরের মতো নজরদারি বাড়ানো এবং যেকোনো নিরাপত্তা-সংক্রান্ত তথ্য তাত্ক্ষণিক ভাবে জানাতে বলা হয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান বসবাস করছে। কিন্তু তাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হয়েছে। এমনকি রোহিঙ্গা মুসলমানদের চলাচল ও মৌলিক সেবাপ্রাপ্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। ২০১২ সালে রাজ্যটিতে ভয়াবহ সহিংসতার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাস করছে। ত্রাণ সংস্থাগুলো শিবিরে বসবাসকারী উদ্বাস্তু রোহিঙ্গাদের মৌলিক সেবা দিয়ে আসছে। গত অক্টোবরে জঙ্গিরা নয় সীমান্ত পুলিশকে হত্যা করলে অঞ্চলটিতে আবার সহিংসতা শুরু হয়। জঙ্গি দমনের নামে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে রাজ্যটিতে ব্যাপক মাত্রায় হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এদিকে এ বিষয়সহ অন্যান্য নিপীড়ন-সংক্রান্ত তদন্ত পরিচালনার জন্য জাতিসংঘের অনুসন্ধানী দলের ভিসার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন দেশটির নেতা অং সান সু চি। এর পর চলতি জুলাইয়ে উত্তর রাখাইন রাজ্যের মংদুর কাছাকাছি পর্বতে সাত বৌদ্ধকে হত্যার খবরে অঞ্চলটিতে উত্তেজনা আবার বৃদ্ধি পায়। সরকারের মতে, এ হত্যাকাÐের পেছনে মুসলিম চরমপন্থীরা জড়িত রয়েছে। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নাগরিক

১৫ জুন, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ