Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মর্যাদার লড়াইয়ে জয় আবাহনীর

| প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘরোয়া ফুটবলে মর্যদার লড়াইয়ে জয় পেল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে প্রথম সাক্ষাতেই তারা হারালো সাদাকালোদের। গতকাল রাতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আবাহনী ১-০ গোলে হারায় মোহামেডানকে। বিজয়ীদের পক্ষে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন স্থানীয় ফরোয়ার্ড রুবেল মিয়া। এবারের লিগে এটা মোহামেডানের টানা তৃতীয় হার। এর আগে তারা শেখ জামাল ধানমন্ডি ও চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে হারের লজ্জা পেয়েছে।
ঘরোয়া ফুটবলের যে কোন আসরেই মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচ মানেই মর্যাদার লড়াই। এ লড়াইয়ে জিততে মাঠ এবং মাঠের বাইরে সব সময়ই থাকে টান টান উত্তেজনা। দেশের ফুটবলের যখন স্বর্ণযুগ ছিলো তখন তো এ দুই দলের ম্যাচকে ঘিরে সারাদেশেই বিরাজ করতো উৎসবমুখর পরিবেশ। এখন অবশ্য দিন বদলেছে, ফুটবলে ঘরোয়া আসরের জনপ্রিয়তা কমতে কমতে শূণ্যের কোঠায় এসে নেমেছে। আগের সেই উত্তেজনা না থাকলে মোহামেডান-আবাহনী ম্যাচকে ঘিরে কিছু ফুটবলপ্রেমীর মাঝে আগ্রহের কমতি নেই। আর সেই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো কাল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। প্রিয় দলের খেলা দেখতে এখানে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রায় তিন হাজার ফুটবলপ্রেমী দর্শক। ম্যাচ শেষে আবাহনী সমর্থকরা হাসতে হাসতে ঘরে ফিরলেও হতাশা নিয়ে স্টেডিয়াম ছাড়েন মোহামেডান সমর্থকরা।
ঢাকা আবাহনীর কাছে হারই যেন নিয়তি সাদাকালোদের। বড় ম্যাচের চাপটা সহজভাবে নিতে পারে না তারা। নইলে পুরো ৯০ মিনিট আটকে রাখার পরও অতিরিক্ত সময়ে কেন গোল হজম করতে হবে মোহামেডানকে। কেনইবা আবাহনীর গোলবারের ঠিক সামনে ডানপ্রান্ত দিয়ে তখলিসের ক্রসে পা ছোয়াতে ব্যর্থ হবেন নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এনকোচা কিংসলে চিগোজি।
দলের কোচ নেই। কেবল কোচ নয়, প্রথম একাদশে ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলিও। আগের ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ফলে এ ম্যাচেও নামতে পারেননি এমিলি। আর তাই তখলিস আহমেদ, আবদুল বাতেন কোমল এবং বিপলু আহমেদকে নিয়ে সাজানো ছিল মোহামেডানের আক্রমণভাগ। দুর্ভাগ্য তাদের, কিছু সহজ সুযোগ সৃষ্টি করলেও তা নষ্ট হয় ফিনিংশিংয়ের অভাবে।
প্রথমার্ধে অপেক্ষাকৃত ভালো খেলে মোহামেডানই। যদিও ম্যাচের ২২ মিনিটে টানা তিন কর্নার পায় আবাহনী। কিন্তু তাও কাজে লাগাতে পারেনি তারা। ২৫ মিনিটে জার্সী বিভ্রাটের কারণে খেলা বন্ধ থাকে তিন মিনিট। মোহামেডানের গোলরক্ষক মামুন খানের জার্সি নিয়ে আপত্তি জানালে বিফ পড়তেই সময় যায় তিন মিনিট। গোলশূণ্যভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ। তবে বিরতির পর যেন ঝলসে ওঠে আবাহনী। মোহামেডান রক্ষণদূর্গে তারা মুহুর্মুহ আক্রমণ চালায়। ৬২ মিনিটে প্রথমে সামাদ ইউসুফ এবং পরে শাহেদের দুর্দান্ত দু’টি শট অসাধারন দক্ষতায় রুখে দেন মোহামেডান গোলরক্ষক মামুন খান। ৭১ মিেিনট রুবেলের ক্রস এমেকার হেড বারে লেগে ফিরে আসলে ফের হতাশায় ডুবে আবাহনী শিবির। ৮০ মিনিটে মোহামেডানের কিংসলে চিগোজি মাঠে নামেন। খেলায় কিছুটা গতি আসে। এবার আক্ষেপে পুড়তে হয় মোহামেডানকে। ৮৫ মিনিটে ডানপ্রান্ত দিয়ে তখলিসের ক্রসে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন কিংসলে। অথচ বাঁম পায়ের আলতো ছোয়াতেই কিন্তু বল জড়িয়ে যেতে পারতো জালে। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে অবশ্য সফল হয় ঢাকা আবাহনী। জয়ের নায়ক রুবেল মিয়া। ডানপ্রান্ত দিয়ে নাবিব নেওয়াজ জীবনের ক্রসে আসা বলে শট করে মোহামেডানের জালে বল ফেলেন রুবেল তাতেই জয় নিশ্চিত হয় চ্যাম্পিয়নদের।
দিনের প্রথম ম্যাচে টিম বিজেএমসিকে ২-০ গোলে হারায় চট্টগ্রাম আবাহনী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আবাহনীর

১০ জানুয়ারি, ২০২২
১৪ নভেম্বর, ২০১৬
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ