Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কষ্টের জয়ে শুরু চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ সংস্করণের পর্দা উঠলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের জয়ের মধ্যদিয়ে। তবে কষ্টের জয়েই এবারের লিগ শুরু করলো আবাহনী। গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে আবাহনী ২-১ গোলে হারায় নবাগত নোফেল স্পোর্টিং ক্লাবকে। বিজয়ী দলের হয়ে ফরোয়ার্ড রুবেল মিয়া ও বদলি ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ শিতল একটি করে গোল করেন। নোফেলের পক্ষে একমাত্র গোলটি আসে ডিফেন্ডার কামরুল ইসলামের পা থেকে। 

চ্যাম্পিয়নদের মত শুরুটা হয়নি ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের। বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে তীব্র প্রতিদ্ব›িদ্বতার মুখোমুখী হতে হয় তাদের। শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লেও বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা হারে হারে টের পেয়েছে ছোট দলের কারিশমা। নোফেল স্পোর্টিং তাদের বুঝিয়ে দিয়েছে ফুটবলে শেষ কথা বলে কিছু নেই। শুধু মাত্র অভিজ্ঞতার কারণে আবাহনীর কাছে তিন পয়েন্ট জমা দিতে হয়েছে নবাগতদের। তা না হলে চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্টে ঠিকই ভাগ বসাতো তারা। তবে শেষ ভালো যার সব ভালো তার, এই কথাটির সত্যতা প্রমাণ করতে পেরে খুশি আবাহনীর পর্তুগীজ কোচ ম্যারিও ল্যামোস। প্রতিদ্ব›িদ্বতার মুখে পড়লেও ম্যাচ জিততে পারায় খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি। ম্যাাচ শেষে ম্যারিও ল্যামোস বলেন,‘অবশেষে ছেলেরা জয় এনে দিতে পেরেছে। উফ, কি যে হচ্ছিল মনের মধ্যে। ভালো খেলেছে তারা। আমি খুব খুশী।’
কাল ম্যাচের শুরু থেকে শেষ অবদি দুর্দান্ত খেলেছে দু’দলই। তবে শুরুতেই গোল করে নিজেদের নিরাপদে রাখে আবাহনী। ম্যাচের ৮ মিনিটে সতীর্থের থ্রো থেকে বক্সে বল পান আবাহনী মিডফিল্ডার সোহেল রানা। তার বাড়িয়ে দেয়া বল বুঝে নিয়ে বক্সের ভিতরে প্রবেশ করে আলতো শটে গোল করেন রুবেল মিয়া (১-০)। নোফেলের গোলরক্ষক আপেল মাহমুদের চেয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুৃই করার ছিল না। এগিয়ে যাওয়ার পর যেখানে ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া থাকার কথা আবাহনীর সেখানে নোফেলের ফুটবলাররা গোল শোধে মরিয়া হয়ে ওঠে। যার ফলও পায় তারা প্রথমার্ধেই। ম্যাচের ৩৯ মিনিটে বক্সের সামনে থেকে শট নেন নোফেলের মিডফিল্ডার জমির উদ্দিন। কিন্তু বল সরাসরি চলে যায় আবাহনীর গোলরক্ষক সুলতান আহমেদ শাকিলের গ্রিপে। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে (৪৫+২ মিনিট) আবাহনীর জালে বল জড়িয়ে চমক দেখায় নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। এসময় ডানপ্রান্ত দিয়ে নোফেলের এক খেলোয়াড়ের লম্বা থ্রো ফিস্ট করতে যান গোলরক্ষক শাকিল। কিন্তু বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন তিনি। জটলার মধ্যে বল পেয়ে বাঁ পায়ের জোড়ালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন নোফেলের ডিফেন্ডার কামরুল ইসলাম (১-১)। সমতায় ফিরে উল্লাসে মেতে ওঠে পেরে নোফেলের ফুটবলাররা।
সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দু’দল। তবে দ্বিতীয়ার্ধেও ঢাকা আবাহনীর সঙ্গে সমান তালেই লড়তে থাকে নোফেল স্পোর্টিং। কিন্তু তাদের প্রত্যেকটি আক্রমণই রুখে দিয়েছেন চ্যাম্পিয়নদের ডিফেন্ডাররা। ম্যাচ যখন গড়িয়ে যাচ্ছিলো নিশ্চিত ড্র’র দিকে তখনি আবাহনী শিবিরে স্বস্তি ফেরান বদলি ফরোয়ার্ড শিতল। ৮৭ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে রুবেল মিয়ার ক্রস পোস্টের খুব কাছ থেকেই শুয়ে পড়ে হেড নেন তিনি। বেশ ক’বারের প্রচেষ্টাতেও শিতলের হেডের বল লুফে নিতে পারেননি নোফেলের গোলরক্ষক আপেল মাহমুদ। বল গোল লাইন অতিক্রম করে গেলে জয় সূচক গোলটি পায় আবাহনী (২-১)। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বতর্মান চ্যাম্পিয়নরা।
একই ভেন্যুতে রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আরেক নবাগত বসুন্ধরা কিংস ১-০ গোলে হারায় বর্তমান রানার্সআপ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে। বিজয়ী দলের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মার্কোস জয় সূচক গোলটি করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আবাহনীর

১০ জানুয়ারি, ২০২২
১৪ নভেম্বর, ২০১৬
২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ