পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : কাতারের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না সউদী আরব ও তার মিত্রদেশগুলো। তাই যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে চুক্তি হওয়া সত্তে¡ও দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখছে তারা। ফলে আস্থাহীনতার বেড়াজালে ঘুরপাক খাচ্ছে কাতার সঙ্কট। এদিকে কাতার নিয়ে সৃষ্ট সংকট সমাধানে মধ্যপ্রাচ্য সফরে আছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। এর একটা যথার্থ কূটনৈতিক সমাধান খুঁজতে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। যদিও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসনের সাথে উপসাগরীয় অঞ্চলের মন্ত্রীদের বৈঠক কোনও ফলাফল ছাড়াই শেষ হয়। এরপর উভয়পক্ষের মধ্যে চলমান টানাপোড়েনের ইতি টানার চেষ্টায় তিনি আবারো কাতারে সফরে যাচ্ছেন। কাতারের ওপর সউদী আরব ও তার মিত্রদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সৃষ্ট পরিস্থিতি অবসানের উপায় বের করাই টিলারসনের এই সফরের প্রধান উদ্দেশ্য। জঙ্গিবাদে অর্থ সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়ে এরই মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার। কিন্তু সউদী আরব ও তার মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর ও বাহরাইন বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হলেও কাতারের ওপর থেকে অবরোধ তুলে নেবে না তারা। কারণ, তারা কাতারের ওপর বিশ্বাস বা আস্থা রাখতে পারছেন না। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রী নোরা আল কাবি বলেছেন, তারা এই চুক্তিটিকে খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য মনে করছেন না। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে কাতার দুবার চুক্তি করে এবং সম্পূরক আরও একটি চুক্তিও হয় যেখানে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদকে ঠেকানোর লড়াইয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছিল। কিন্তু সবই ছিল মিথ্যে প্রতিশ্রæতি। কার্যত কিছুই তারা করেনি। তাই আমরা তাদের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি। তবে এই চুক্তিকে ইতিবাচকই মনে হচ্ছে বলে জানান তিনি। কিন্তু কতটা আন্তরিকতার সঙ্গে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, তার ওপরই নির্ভর করবে সবকিছু। তবে, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে স্বাক্ষরিত এই এমওইউ অনুসারে কাতারের কর্তৃপক্ষকে সামনের দিনগুলোতে বেশকিছু কাজ একের পর এক বাস্তবায়ন করতে হবে। সন্ত্রাসবাদে সমর্থন ও অর্থায়নের অভিযোগ থাকলেও কাতার হামাস বা ইসলামিক স্টেটকে কোন ধরনের সহযোগিতার বিষয়টি প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছে। এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।