নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : বেতন কাঠামো নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে বিরোধের সমাধান হওয়ার আশায় অনুশীলনে যোগ দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা। কিন্তু অনুশীলনের চারদিনেও হয়নি বাস্তব কোনো অগ্রগতি। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে তাই নিজেদের প্রত্যাহার করে নিলেন ক্রিকেটাররা। ব্রিজবেনে অনুশীলন ক্যাম্পে গতকাল এই সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা। এই দলের নেতৃত্বে উসমান খাওয়াজা, সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অগ্রণী ভুমিকা ছিল ট্রাভিস হেড ও গেøন ম্যাক্সওয়েলের মত জাতীয় ক্রিকেটারদেরও।
গত রোববার নিজেদের মধ্যে সভা শেষে ক্রিকেটাররা জানিয়েছিল, ‘এ’ দলের ক্যাম্পে তারা যোগ দেবেন। তবে কোনো সমঝোতায় না পৌঁছালে সফরে যাবেন না। এই কদিন আলোচনা চললেও কোনো পক্ষই নিজেদের অবস্থান থেকে ছাড় দিতে রাজি হয়নি।
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসিএ) প্রধান নির্বাহী অ্যালেস্টার নিকলসন হতাশা নিয়েই জানান সফর থেকে ক্রিকেটারদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার খবর, ‘বিরোধ সমাধানে যেহেতু কোনো অগ্রগতি হয়নি, অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা গভীর হতাশা নিয়ে জানাচ্ছে যে তারা দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবে না। দুইশর বেশি পুরুষ ও নারী ক্রিকেটার, যারা এখন চাকরিবিহীন, তাদের সমর্থনে ও গত রোববার এসিএর নির্বাহী কমিটির সভার সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় এই সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘এ’ দলের ক্রিকেটাররা বৃহত্তর স্বার্থের জন্য নিজেদের চাওয়াকে বলি দিয়েছে। স্বার্থহীন এই সিদ্ধান্তই দেখিয়ে দিচ্ছে দলটির শক্তি ও সবার প্রতি দায়বদ্ধতা। ক্রিকেটাররা ভীষণ হতাশ যে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার আচরণই তাদের বাধ্য করেছে এই সিদ্ধান্ত নিতে।’
এই কদিনের আলোচনার সময়ও তৃতীয় কোনো পক্ষের মধ্যস্থতা নিতে রাজি হয়নি বোর্ড। প্রস্তাবিত চুক্তির শর্ত শিথিলেও দেয়নি কোনো ছাড়। কিন্তু তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়া সমস্যা সমাধানের পথও আপাতত দেখা যাচ্ছে না। ক্রিকেটাররা আগের মতোই দাবি করছেন, বোর্ডের প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড যেন মধ্যস্থতা করেন।
ক্রিকেটারদের সিদ্ধান্তে হতাশ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই সফরের সম্ভাব্য খরচ তৃণমূল ক্রিকেটে ব্যয় হবে। ২৩০ ক্রিকেটারের চাকরিবিহীন এই সময়ের বেতনও টাকাও তৃণমূলে ব্যয় করা কথা জানিয়েছিল বোর্ড। আলোচনা অবশ্য চালু রাখার কথা জানিয়েছে বোর্ড, আবারও ক্রিকেটারদের আহবান জানিয়েছে ছাড় দেওয়ার।
সফর বাতিলের সিদ্ধান্তে হতাশ ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হারুণ লরগাত বলছেন, বাস্তবতাও অনুধাবন করছেন তারা, ‘এটি নিয়ে আমাদের কিছুই করার নেই। যেটাই হোক, সেটির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে আমাদের। আমরা বিকল্প নিয়ে ভাবছি। বিকল্প কিছু আয়োজন করা খুব কঠিন কিছু নয়। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটারদের সঙ্গে সমঝোতায় কাজ করে যাচ্ছে, আরা সেটিকে সম্মান করি। অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ না এলে সেটি আমাদের মেনে নিতেই হবে।’
এই সফরের পর অস্ট্রেলিয়ার পরবর্তী সফর অগাস্টে বাংলাদেশে দুই টেস্টের সিরিজ। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতে ওয়ানডে সিরিজ। নভেম্বরে দেশের মাটিতে অ্যাশেজ। দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী গ্রেগ হান্ট জানিয়েছেন, অ্যাশেজও হুমকিতে থাকলে প্রয়োজনে হস্তক্ষেপ করতে তারা প্রস্তুত।
মন্ত্রীর এই বক্তব্যই অস্ট্রেলিয়া দলের বাংলাদেশ সফরের ব্যপারে আশা দেখাচ্ছে বিসিবিকে। অগাস্ট-সেপ্টেম্বরের বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে কিছু না বললেও একটি ‘হয়ত’ কিন্তু থেকেই যাচ্ছে! তবে এখনই এ নিয়ে না ভেবে, সিরিজের জন্য নিজেদের কাজটুকু সেরে রাখার দিকেই মনোযোগ দিচ্ছে বিসিবি, ‘বিষয়টা অনেক দূরের ব্যাপার। অগাস্টের মাঝামাঝি সময়ে তাদের আসার কথা। সে বিষয়ে মন্তব্য করার সময় এখন নয়। কদিনের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার পর্যবেক্ষক দল আসবে। তারা এসে কথা বলবে। আমরা আশা করছি অস্ট্রেলিয়া দল ঠিক সময়েই আসবে। আমরা বিকল্প কিছু ভাবছি না, ভাবার কোনো অবকাশও নেই।’
সিরিজকে সামনে রেখে আগামী সোমবার ফিটনেস ক্যাম্প দিয়ে প্রস্তুতি শুরু করবে বাংলাদেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।