নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হলো ক্রিকেট রোমান্টিকদের কাছে সবচেয়ে কাঙ্খিত। আর সেটা যদি হয় আইসিসিরই কোন ইভেন্টের ফাইনাল তাহলে তো সোনায়-সোহাগা। তেমনি এক ম্যাচের সাক্ষি হতে অপেক্ষান প্রহর গুনছে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব।
২০১০ সালের পর আইসিসির বেস্ট টিম ভারত। এসময় সাতটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে চারবারই তারা খেলেছে ফাইনালে। এবারেরটা জিতলে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষেও উঠবে তারা। পক্ষান্তরে সরফরাজরা যদি চ্যাম্পিয়ন হন তাহলে উপরি হিসেবে শ্রীলঙ্কার পর বাংলাদেশকেও টপকে ছয়ে উঠবে পাকিস্তান।
যদিও দুই বৈরী প্রতিদেশী দেশের মধ্যকার ক্রিকেট উত্তেজনা ইদানিংকালে আর পাওয়া যায় না। যেটুকু পাওয়া যায় তা মাঠের বাইরে। মাঠের লড়াইয়ে একতরফাভাবেই ভারতের আধিপত্য। আইসিসি অনুষ্ঠিত টুর্নার্মেন্টে তো সেটা আরো একপেশে। তবে দুর্বল হলেও নামটি যেহেতু পাকিস্তান তাই একটু ধন্দ থেকেই যায়। কারণ একটিÑ ঐ যে, তাদের নামের পাশে লেগে থাকা ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ শব্দটি।
এমনিতে পাকিস্তানের এই দলে প্রতিভার অভাব নেই। অভাব যা তা হলো ধারাহীকতার। প্রতিভা আর ধারাবাহীকতার সমন্বয়ে তারা কি করতে পারে তার প্রমাণ তারা রেখেছে চলমান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। আসরের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর প্রত্যবর্তনের বিষ্ময় জাগিয়ে ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। যে পাকিস্তান সবার কাছে একেবারেই অচেনা। আর এই অচেনা পাকিস্তানকেই বিরাট কোহলির ভয়। বদলে যাওয়া এই পাকিস্তানকে ভারত অধিনায়ক বলেছেন ‘ম্যাগনিফিসেন্ট’। বাংলাদেশকে ৯ উইকেটে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে কোহলি বলেন, ‘যেভাবে তারা নিজেদের ঘুরিয়ে দাঁড় করিয়েছে তা সত্যিই অসাধারণ।’
অন্যতম খর্বশক্তির দল হিসেবে আসর শুরু করেছিল পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে শোচনীয় পরাজয়ের পর সেটা আরো স্পষ্ট হয়। এরপর দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে আসরের টপ ফেভারিট ও ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষ দল দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সেমিফাইনালে আরেক ফেভারিট ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে তারা। গ্রæপ পর্বে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের আট নম্বরে থেকে আসর শুরু করা দলটির অন্য জয়টি ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেই মিনোজ দলটিই আগামীকাল ওভালের ফাইনালে খেলবে ভারতের বিপক্ষে। তাদের এই ঘুরে দাঁড়ানোর অভাবনীয় গল্পে বিষ্মিত কোহলিও, ‘যেভাবে তারা জিতেছে তাতে প্রতিপক্ষের তুলনায় তাদেরকে অনেক শক্তিশালী মনে হয়েছে। তারা কি করতে পারে তা দলগতভাবে মাঠে দেখিয়েছে।’
তবে ফাইনাল বলেই এটাকে ভিন্ন চোখে দেখছেন কোহলি, ‘ফাইনালে প্রতিপক্ষ যেই হোক না কেন তা সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং কারণ তখন আপনি ভাবতে শুরু করবেন এটা বড় একটা ম্যাচ, তখনই আপনার চিন্তাধারায় পরিবর্তন আসবে।’ তবে এই অবস্থা কাটিয়ে কিভাবে জয় ছিনিয়ে আনতে হয় সেটা ভালোই জানা আগের ম্যাচেই দ্রæততম (১৭৫ ইনি.) আট হাজারী ক্লাবে প্রবেশ করা ফিনিশার মাস্টার, ‘এখন আমরা যেটা করতে যাচ্ছি তা হল, তাদের শক্তি ও দুর্বলতার জায়গা জেনে আগের ম্যাচের পুনরাবৃত্তি করা।’
সেমিফাইনালে একসময় বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১৫৮। এমন সময় দারুণ দক্ষতার পরিচয় দেন কোহলি। হঠাৎই অনিয়মিত বোলার আনেন আক্রমণে। দুই সেট ব্যাটসম্যান তামিম (৭০) ও মুশফিককে (৬১) থামান সেই অনিয়মিত বোলার কেদার যাদবকে দিয়েই। কোহলি যেটাকে বলছেন উপরি পাওনা হিসেবে, ‘একজন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান থাকায় আমরা জানতাম প্রতি ওভারে দুই অথবা তিনটি ডট বল করা সম্ভব। এই পরিকল্পনাটা পুরো ম্যাচের চিত্রই পাল্টে দেয়।’, বলেন কোহলি।
উভয় দলের পিছনের ম্যাচগুলোর দিকে তাকালে চোখে পড়বে আরো একটা বিষয়। পাকিস্তানের প্রতিটা জয়ে ছিল যেমন ছিল বোলারদের আধিপত্য তেমনি ভারতের জয়ে ছিল ব্যাটসম্যানদের প্রতাপ। ফাইনালের লড়াইটা তাই হতে যাচ্ছে আসরের সেরা বোলার ও ব্যাটসম্যানদের মধ্যে।
খাতা-কলমে শক্তির বিচারে এগিয়ে থেকেই মাঠে নামবেন কোহলিরা। ২০১০ সালের পর আইসিসির বেস্ট টিম ভারত। এসময় সাতটি ইভেন্টে অংশ নিয়ে চারবারই তারা খেলেছে ফাইনালে। এবারেরটা জিতলে ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের শীর্ষেও উঠবে তারা। পক্ষান্তরে সরফরাজরা যদি চ্যাম্পিয়ন হন তাহলে উপরি হিসেবে শ্রীলঙ্কার পর বাংলাদেশকেও টপকে ছয়ে উঠবে পাকিস্তান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।