Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ছুটির দিনে ঈদবাজারে উপচেপড়া ভিড়

| প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : নিজের বা প্রিয়জনের জন্য নতুন পোশাক বিশেষ করে ঈদুল ফিতরে না হলে চলে? ঈদের আগে বিপনিবিতানগুলোতে কেনাকাটা চলছে পুরো দমে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল গতকাল শুক্রবার। রোজার আগে মূলত কেনাকাটার জন্য এটাই সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তাই কেনাবেচাও চলছে দেদারসে।
বিক্রেতারা বলেন, প্রথম রমজান থেকে দশ রমজান পর্যন্ত বিক্রি খুব একটা হয়নি। দোকানদারদের অসহায়ের মতো ক্রেতার আশায় বসে থাকতে হয়েছে। গতকাল তাদের অনেক ভালো বিক্রি হয়েছে বলেও তারা জানিয়েছেন।
বিপণি বিতানগুলোর পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে অস্থায়ী ঈদবাজার। খোলা হয়েছে বুটিক হাউস। শামিয়ানা টানিয়ে অস্থায়ী বাজার নির্মাণ করে নিউ মার্কেট, গুলিস্থান ও বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি চলছে ঈদ পণ্যের। অলিগলিতেও বসেছে ভাসমান দোকান
ঢাকা নগরীর চারপাশে এখন কেনাকাটার আমেজ। স্বচ্ছন্দে কেনাকাটা করছেন মানুষ। বিপণিবিতানের দোকানের ভেতরে আছে পছন্দের পণ্যের সমাহার, বাইরে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা। সকাল থেকে শুরু করে অনেক রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। ঈদের কেনাকাটায় সরকারি ছুটির দিনও হয়ে উঠছে নগরের বাসিন্দাদের কাছে কর্মব্যস্ত দিন। যানজট, ভ্যাপসা গরম, কখনো গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি আর যানবাহন সঙ্কট- এসব কিছুকে পাশ কাটিয়েই চলছে কেনাকাটা।
আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষের গ্রামে থাকা প্রিয়জনদের কাছে ফিরে যাওয়া। গ্রামে ফেরার আগে কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন তারা। কেনাকাটার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ক্রেতা ও বিক্রেতা কেউ কারো প্রতি বেশি সময় দিতে রাজি নন। বাজারে ক্রেতাদের ঘোরাঘুরিও কমে আসছে। পছন্দের পণ্যটি কিনে ঘরে ফেরাই মূল লক্ষ্য।
বসুন্ধরা শপিং মল, যমুনা ফিউচার পার্ক, মৌচাক মার্কেট, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি, চাঁদনী চক, ফার্মভিউ সুপার মার্কেট, পলওয়েল সুপার মার্কেট, ইস্টার্ন প্লাজা, নিউ মার্কেট, বেইলি রোড, টুইন টাওয়ার্স, বিশাল সেন্টার, ডিসিসি মার্কেট গুলশান ইত্যাদিতে বিক্রেতারা শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিক্রিবাট্টায় ব্যস্ত ছিলেন। আড়ং, অঞ্জনস, দরজিবাড়ি, ওয়েসটেক্স, বাংলার মেলা, লুবনান রিচম্যান, প্রবর্তনা, সাদাকালো, কে ক্রাফট, বসন, দেশাল, দেশি দশ, ভূষণ, টেক্সমার্ট, মেলা, চৈতী, ইনফিনিটি, রঙ, নিত্যউপহার, নাবিলা, বিবিআনা, নিপুণ কুমুদিনী, যাত্রা, নাগরদোলা এবং শাহরুখস কালেকশন ইত্যাদি দেশি পণ্যের শপিং আউটলেটগুলোতে ঘুরেও একই চিত্র দেখা যায়। এসব বিপণিবিতান ক্রেতা ও দর্শনার্থীর পদভারে মুখরিত ছিল। তাদের কেনাকাটা, বাজারে ঘুরাফেরা আর অনেক বিপণিবিতানে সন্ধ্যার পর আলোর ঝলকানির ভাষা ছিল- অনাবিল আনন্দের ঈদ আসছে। মৌচাক, আনারকলি ও কর্ণফুলী মার্কেট পরিচিত মধ্যবিত্তদের বাজার হিসেবে। সেগুলোতে মধ্যবিত্তদের শাড়ি, তৈরি পোশাক বেশি বিক্রি হতে দেখা যায় শুক্রবারে। ছেলেদের পোশাক-আশাকও বিক্রি হয় বেশ। বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা আফরিন সুলতানার সঙ্গে কথা হয় কর্ণফুলী শপিং সেন্টারের নিচে। তিনি জানান, অনেক ঘুরেফিরে তার এবং শাশুড়ির জন্য তিনটি শাড়ি কিনেছেন। গতবারের চেয়ে এবার দাম বেড়েছে। ছোটদের পোশাকেরও দাম বেশি।
নিউ মার্কেটের চাঁদনী চক মার্কেটে পাঞ্জাবি, শাড়ি, থ্রি-পিস, ফতুয়া এবং শিশুদের পোশাকের প্রতিই এখন পর্যন্ত বেশি আগ্রহ দেখায় ক্রেতারা। নিজের পছন্দের রঙের মধ্যে ছেলেরা যেমন বাছাই করছেন ভিসকোস বা কাতানের পাঞ্জাবি, তেমনি মেয়েরাও পছন্দ করছেন লম্বাটে জামার মধ্যে হরেক রকমের নকশার কামিজ বা কুর্তা। অনেক তরুণী সালোয়ার কামিজের চেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন লেগিংস চুড়িদারের প্রতি। তবে ঈদ গরমে হওয়ায় সব বয়সের বেশিরভাগ ক্রেতার আগ্রহ সুতির কাপড়ের প্রতি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদবাজার

২৬ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ