Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সকাল থেকে গভীর রাত জমজমাট বেচাকেনা

খুলনা

ডি এম রেজা সোহাগ, খুলনা থেকে | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০২২, ১২:১৮ এএম

ঈদকে সামনে রেখে খুলনা মহানগীরর মার্কেটগুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। নিউমার্কেট, ডাকবাংলো শহীদ সোহরাওয়ার্দী মার্কেট, এস এম এ রব শপিং কমপ্লেক্স, খুলনা শপিং কমপ্লেক্স, খুলনা বিপনী বিতান, কাজী নজরুল ইসলাম মার্কেট, জব্বার মার্কেট ও নিক্সন মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ভ্যাপসা গরম উপেক্ষা করে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতারা কেনাকাটা করছেন।
রমজানের প্রথমদিকে কেনাবেচা তেমন একটা না থাকলেও ১৫ রোজার পর থেকে বিক্রি বেড়েছে। ক্রেতাদের সমাগমে দোকানীরাও খুশি। ঈদের বাজারে পুরুষ ক্রেতাদের জিন্স প্যান্ট, গ্যাবার্ডিন প্যান্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়ার চাহিদা রয়েছে। মেয়েরা কিনছেন নানা ডিজাইনের থ্রি পিস ও শাড়ি। নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম আলিফ জানান, শাড়ির জগতে এবার যুক্ত হয়েছে নতুন চমক। কাশ্মীরি সিল্ক, বেনারসি সিল্ক, মসলিন, জয়পুরা, খাজি জর্জেট, গাদোয়াল, কান্ডিবন দোলা কাতান, সামার কাতান, মহিশুর সিল্ক, সালতানাত কাতান ও ফারিয়া। কাপড়ের মান ও ডিজাইন ভেদে দাম নির্ভর করে। ৩ হাজার থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। এগুলোর মধ্যে দোলা, ফারিয়া ও মহিশুর সিল্ক এর চাহিদা বেশি।
নগরীর ডাকবাংলা এলাকার কয়েকটি শাড়ির দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় চলচ্চিত্র পুষ্পার নাম অনুসারে বিক্রি হচ্ছে পুষ্পা শাড়ি। পাতলা জর্জেটের উপর সিল্কের সুতার ছোট ছোট ফুল দেয়া এক ধরনের শাড়িকেই পুষ্পা শাড়ি বলে বিক্রি করা হচ্ছে। শাড়ি হাউজের বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানান, পুষ্পা বেশি দামের শাড়ি নয়। দুই থেকে শুরু করে চার হাজার টাকার মধ্যে ভালো মানের এই ধরণের শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি আরো জানান, স¤প্রতি ‘পুষ্পা’ নামে ভারতে মুক্তি পাওয়া একটি সিনেমায় নায়িকা চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন তিনি জর্জেটের একটি লাল শাড়ি পরে নেচেছেন। তাই কেউ পুষ্পা শাড়ি চাইলে ওই শাড়িটির মতো দেখতে পাতলা জর্জেটের শাড়িকে পুষ্পা নামে বিক্রি করছেন।
নগরীর ডাকবাংলা সুপার মার্কেট বাচ্চাদের কাপড়ের মার্কেট বলে সমাধিক পরিচিত। সেখানে সাজানো হয়েছে বাচ্চাদের বাহারি পোশাক। বাচ্চাদের জন্য রয়েছে লেহেঙ্গা, স্কার্ট ও গাউন। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় গাউন। মানভেদে গাউন বিক্রি করা হচ্ছে ১৭০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে।
শিশুকণ্যা থেকে কিশোরী সবার মধ্যে এবার ‘কাঁচা বাদাম’ নামের একটি কামিজের বিপুল চাহিদার কথা জানালেন খুলনা শপিং কমপ্লেক্সের রাজ ইসলাম রাজু। তিনি বলেন, দোকানে শুধু কামিজ বিক্রি করি। অধিকাংশ কিশোরী ও তরুণী কামিজ কিনতে এলেই কাঁচা বাদামের নাম বলছেন। আসলে এই নামের কোনো ব্র্যান্ড নেই বা এই নামে কোনো পোশাকও নেই।
তিনি আরো জানান, ক্রেতাদের আগ্রহের কারণে বাধ্য হয়ে তারা নিজেরাই একটি পোশাককে ‘কাঁচা বাদাম’ বলে ডাকছেন। আর মজার ব্যাপার হলো নতুন নামকরণের পর পোশাকটি বিক্রিও হচ্ছে। আবার এমনও অনেকে আছেন যারা ফেসবুক থেকে ছবি সংগ্রহ করে দেখিয়ে বলছেন, এটাই কাঁচা বাদাম। দোকানীরাও সেই রকমের জামা বের করে কাঁচা বাদাম হিসেবেই তাদের কাছে বিক্রি করছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদবাজার

২৬ এপ্রিল, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ