পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
শেষ মুহূর্তে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ঈদের বাজার বেশ জমে উঠেছে। কখনো ইলশেগুঁড়ি, কখনো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ঈদবাজারের বেচাবিক্রিতে বিঘœ সৃষ্টি করলেও ক্রেতারা কিন্তু ঘরে বসে নেই। গত শনিবার সকালেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ছিল। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই ঈদের কেনাকাটায় বেরিয়ে পড়ছেন লোকজন। শিশু পোশাক ঘর, পাঞ্জাবি ও জুতার দোকানে ভিড় বেড়েছে। বৃষ্টিভেজা কর্দমাক্ত পথঘাট। এবার বিপণিবিতানগুলোতে ভারতীয় পণ্যে সয়লাব। ক্রেতাসাধারণ ভারতীয় পণ্যের দিকে ঝুঁকে পড়ায় দেশীয় পণ্য মারাত্মকভাবে মার খাচ্ছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতাসাধারণের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। পুরুষ-যুবকদের চেয়ে মহিলা ও যুবতীদের বাজারে বেশি দেখা যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ করা গেছে, মহিষালবাড়ী বাজার, গোদাগাড়ী আজাদ সুপার মার্কেট, ড্যাংপড়া বাজার, রেলগেট, প্রেমতলী, বিদিরপুর, বাজাবাড়ী বাজারে। অনেকে বাজশাহী ও চাঁপাই মার্কেটে দাম বেশির কারণে ঈদের মার্কেট করতে না পেরে ফিরে এসে স্থানীয় এসব বাজারে মার্কেট করছেন। থ্রি পিস, টু পিস, শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি, পায়জামা, শার্ট, জুতা, স্যান্ডেল, কসমেটিক ঈদসামগ্রী হিসেবে দেদার বিক্রি হচ্ছে। থাই জিন্স, ফেড জিন্স, মোবাইল গ্যাবাডিংয়ের পাশাপাশি ছেলেদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ রকি ভাই, পগলু-২, কিডসের গেঞ্জি ও টিস্যু প্যান্ট। প্রতি বছরের মতো এবারো মেয়েদের বাহারি পোশাক বাজারে এসেছে। এগুলোর নামকরণ করা হয়েছে বাংলা ও হিন্দি সিরিয়ালের আদলে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে কিরণমালা, নীলপরি, নিলাঞ্জনা, ক্ষয়াব, লাভস্টরি, অলসপুর, বালুচুরি, পাখি, আনারকলি, কটকটি, বেনসন, ঝিলিক, খুশি, আকশারা, পরি, ফুলকপি, টুপার্ট স্কার্ট, শানগান, রানী ফ্রক প্রতি। ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে শানশান, আকসারা, ঝিলিক, লেহেঙ্গা। যে দোকানেই পছন্দ হচ্ছে সেখান থেকেই কেনাকাটা সারছেন ক্রেতারা। ক্রেতারা দরদাম কষাকষি, ঘোরাঘুরি করতে চাইছেন না। শেষ মুহূর্তে এভাবে চলছে ক্রেতাদের উৎসবমুখর কেনাকাটা। ক্রেতাসাধারণের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এবার জিনিসপত্রের দাম বেশি। পছন্দ হলেই মালিকপক্ষ ইচ্ছামাফিক দাম চাচ্ছেন, কোনোভাবেই দাম কমাতে চান না। তারপরও পছন্দের জিনিস কিনতে পেরে তারা বেজায় খুশি। প্রচÐ গরম থাকায় দেশী সুতি পোশাকের চাহিদা খুব বেশি। জুতা, স্যান্ডেল, কসমেটিকসের দোকানগুলোতে বিক্রির কমতি নেই। চুরি, ফিতা, মেহেদি ছাড়া যেন ঈদ বেমানান হয়ে যায় তাই তো শেষ এগুলো বেশি বিক্র হচ্ছে। মহিশালবাড়ী বাজারে টিঅ্যান্ডটি ফ্যাশনে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। ডিজাইনে মেয়েদের শাড়ি, থ্রি পিস, ছেলেদের শার্ট, পাঞ্জাবি স্থান পেয়েছে। ঈদের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে এখানে পাওয়া যাচ্ছে জুয়েলারি, জুতা, ব্যাগসহ ফ্যাশন অনুষঙ্গ। মহিশালবাড়ী আজিজ ক্লথ স্টোরে সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। এ ধরনের দেশী-বিদেশী শাড়ি, লুঙ্গি, টু পিস, থি পিস, গজ কাপড় প্রভৃতি পাওয়া যাচ্ছে।
মহিষালবাড়ী বাজারের বিশিষ্ট কাপড় ব্যবসায়ী মো: একরামুল হক এ প্রতিবেদককে জানান, এবার কাপড়ের দাম কিছুটা বেশি হলেও বেচাকেনা ভালোই হচ্ছে। দামের ব্যাপারে ক্রেতাদের কোনো অভিযোগ নেই। পছন্দের জিনিসটি পেলেই হলো। একই মন্তব্য করেন জুতা ব্যবসায়ী কামরুল হাসান, আব্দুল ওয়াদুদ, গার্মেন্ট ব্যবসায়ী মতি, আলাউদ্দিন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।