পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : যাত্রীবাহী বাসে গুলি চালিয়ে ২৯ নাগরিককে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় প্রতিবেশী দেশ লিবিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে মিসরের বিমান বাহিনী। গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর মিসরীয় জঙ্গি বিমানগুলো লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় দের্নার কয়েকটি শিবিরে ছয়বার আঘাত হানে বলে জানিয়েছে মিসরীয় সামরিক সূত্রগুলো। দের্নার ওই শিবিরগুলোতে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এবং এরাই বাসে গুলি চালিয়ে তাদের নাগরিকদের হত্যা করেছে বলে দাবি কায়রোর। এই বিমান হামলার কয়েক ঘন্টা আগে গত শুক্রবার সকালে মিসরের মধ্যাঞ্চলীয় মিনিয়া প্রদেশে খ্রিস্টান তীর্থযাত্রীদের বহনকারী কয়েকটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ২৯ জনকে হত্যা ও ২৪ জনকে আহত করে মুখোশ পরা বন্দুকধারীরা। ওই দিন রাতে টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তা আল সিসি জানিয়েছেন, তিনি লিবিয়ার জঙ্গি শিবিরগুলো হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। ভাষণে সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেওয়া রাষ্ট্রগুলোকে শায়েস্তা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, আজ যে সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে তা পাশ কাটিয়ে যাওয়া হবে না। যেখানে সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এখন সেই শিবিরগুলোতে হামলা চালাচ্ছি আমরা। তিনি বলেন, মিসরের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর জন্য যে সব শিবিরে লোকজনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সেগুলো দেশের ভিতরে অথবা বাইরে যেখানেই হোক সেগুলোতে ফের হামলা চালাতে দ্বিধা করবে না মিসর। মিসরীয় সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হামলায় জড়িত বন্দুকধারীদের লিবিয়ার ওই ক্যাম্পগুলোতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, এটা নির্ণীত হওয়ার পরই সেখানে অভিযান চালানো হয় এবং অভিযানটি চলমান আছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে লিবিয়ার হামলার আগে মিসরীয় জঙ্গি বিমানের পাইলটদের দেওয়া ব্রিফিং ও বিমান ঘাঁটি থেকে জঙ্গি বিমানগুলোর উড্ডয়নের ফুটেজ দেখানো হয়েছে। পূর্ব লিবিয়াভিত্তিক বাহিনীগুলো জানিয়েছে, মিসরের নেতৃত্বাধীন ওই বিমান হামলায় তারাও অংশ নিয়েছে এবং আল কায়েদার সঙ্গে সম্পর্কিত জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর বেশ কয়েকটি অবস্থানে হামলাগুলো চালানো হয়েছে। পরে ওই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে স্থল অভিযানও চালানো হবে বলে জানিয়েছে তারা। দের্নার এক বাসিন্দা টেলিফোনে বার্তা সংস্থাকে চারটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ শোনার কথা জানিয়ে বলেছেন, জঙ্গিগোষ্ঠী মজলিশ ই শুরার শিবিরগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে। ইন্টারনেটে পোস্ট করার এক ভিডিও বার্তায় মজলিশ ই শুরার মুখপাত্র মোহাম্মেদ আল মনসৌরি দাবি করেছেন, মিসরীয় বিমানগুলোর হামলায় তাদের কোনো শিবির ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বরং বেসামরিক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।