নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : একজন সর্বকালের সেরাদের একজন, অন্যজন দেশসেরা। ছোট বেলা থেকে যাকে আদর্শ হিসেবে মেনে আসছেন সেই কোর্টনি ওয়ালশকেই ছাড়িয়ে গেলেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সোনালী প্রজন্মের শেষ এক্সপ্রেস বোলার কোর্টনি ওয়ালশ। ১৯৮৪ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। এছাড়াও, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ২২টি টেস্টে। নব্বই দশকে কার্টলি অ্যামব্রোসের সাথে গড়েছিলেন ভয়ংকর উদ্বোধনী জুটি। ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত টেস্টে সর্বাধিক উইকেট ৫১৯টি তার দখলে ছিল।
এই কিংবদন্তী বোলার একদিনের ক্রিকেটেও ছিলেন সফল, ২০৫টি ম্যাচ খেলে ২২৭টি উইকেট লাভ করেন। ক্যারিয়ার সেরা ১ রানে ৫ উইকেট। এখন আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান বোলিং কোচের দায়িত্বে। তাঁর একনিষ্ঠ ছাত্রদের একজন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
মাশরাফি বিন মর্তুজা একটা স্বপ্নের নাম। যে মানুষ শত প্রতিবন্ধকতা মাড়িয়ে শুধু স্বপ্ন দেখেন লাল সবুজের বিজয়ের। মর্তুজা বাংলাদেশের সফলতম পেস বোলারদের একজন। আক্রমণাত্মক, গতিময় বোলিং দিয়ে অনূর্ধ-১৯ দলে থাকতেই তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সাবেক ফাস্ট বোলার অ্যান্ডি রবার্টসের নজর কেড়েছিলেন, যিনি কিনা তখন দলটির অস্থায়ী বোলিং কোচের দায়িত্বে ছিলেন। রবার্টসের পরামর্শে মাশরাফিকে বাংলাদেশ ‘এ’ দলে নেয়া হয়।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে একটিমাত্র ম্যাচ খেলেই মাশরাফি জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পান। তারপর হয়ে যান ইতিহাসের অংশ। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গতির বোলার হিসেবে পথ শুরু। ইনজুরির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ফিরে এসেছেন বারবার। বাংলাদেশে বেশিরভাগ জয়ের শুরুটা তার হাত ধরে এসেছে। এখন দলের অধিনায়ক অনেক কিছুই তাঁকে সামলাতে হয়। শত কাজের মাঝে তাঁর দায়িত্ব ভোলেননি, গতি কমলেও নিখুঁত লাইন লেন্থ বল করে চলেছেন এখনও। ওয়ানতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকও তিনি।
এ দিন তিনি খেলে ফেললেন ক্যারিয়ারের ১৭৪তম ওয়ানডে ম্যাচ। ৬.৩ ওভার বল করে ১৮ রানের বিনিময়ে দুই উইকেট পেয়েছেন। আর এই দুই উইকেট দিয়েই পিছনে ফেলেছেন বোলিং গুরু কোর্টনি ওয়ালসকে। ওয়ানডেতে ওয়ালসের ২২৭ উইকেট টপকিয়ে মাশরাফি পৌছে গেছেন ২২৮ উইকেটের ল্যান্ডমার্কে। বাংলাদেশের বোলিং ডিপার্টমেন্টের সবচেয়ে অভিজ্ঞ বোলার মাশরাফি, তাঁকে অনুসরণ করেই চলছে এই প্রজন্মের তাসকিন, রুবেল, মুস্তাফিজরা।
তার উপস্থিতি টাইগার শিবিরে আলাদা রঙ ছড়ায়। দলকে সবসময় নিজের সেরাটা দিতে গেছেন মাশরাফি। যদিও ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে যে গতিতে বল করতেন সেই গতি এখন নেই। তারপরেও সবচেয়ে কিপটে বোলারদের তালিকায় আছেন মাশরাফি।
২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে এখন পর্যন্ত ক্রিকেটারদের বোলিং ইকোনোমি নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকায় দুই নাম্বারে অবস্থান করছেন মাশরাফি। কাকতালীয়ভাবে মাশরাফির জার্সি নাম্বারও দুই। কমপক্ষে ২৫ টি ম্যাচ ও ১৫০ ওভার বোলিং করা বোলারদের মধ্যে এই তালিকা করা হয়। সেখানে শীর্ষে আছেন আফগানিস্তানের দাওলাত জাদরান।
একই সাথে বিশ্বকাপের পর সেরা উইকেট প্রাপ্তির গড় বোলারদের আলাদা একটা তালিকা করা হয়। সেখানে তিনে আছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।
দাওলাত জাদরান- ২৩.৫২
কাগিসো রাবাদা- ২৫.২৯
মাশরাফি বিন মুর্তজা- ২৭.৩৪
সুরাঙ্গা লাকমল- ২৮.৪৫
ক্রিস ওয়কস- ৩০.৫৫
সেরা ইকোনোমিক্যাল বোলাররা
দাওলাত জাদরান- ৪.৯৪ (২৬ ইনিংস, ২০৯.২ ওভার)
মাশরাফি বিন মুর্তজা- ৫.০২ (২৫ ইনিংস, ২০৬.৪ ওভার)
কাগিসো রাবাদা- ৫.১১ (৩৩ ইনিংস, ২৮২.১ ওভার)
ক্রিস ওয়কস- ৫.১৮ (২৭ ইনিংস, ২২৪ ওভার)
সুরাঙ্গা লাকমল- ৫.৩৮ (২৫ ইনিংস, ১৭৪.২ ওভার)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।