পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও চুক্তি অমান্য করে এখনো রাসায়নিক অস্ত্র বানানোর প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকার। আর আসাদের মিত্র ইরান ও রাশিয়া এ বিষয়টি অবগত। পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে এ বিষয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের পাশের দুমার ও বারজেহ কেন্দ্র এবং হামা প্রদেশের মাসইয়াফ শহরের ১টি কেন্দ্রে রাসায়নিক যুদ্ধাস্ত্র বানানোর গবেষণা কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সিরিয়ার সরকার। ৩টি কেন্দ্রই দেশটির সরকারি সায়েন্টিফিক স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের (এসএসআরসি) শাখা হিসেবে কাজ করে। বিষয়টি মিত্র ইরান ও রাশিয়াকে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। সিরিয়া সরকারের এ উদ্যোগ ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। চুক্তি অনুযায়ী, সিরিয়া সরকার দেশটির হাতে থাকা রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করে ফেলতে প্রতিশ্রæতিবদ্ধ হয়। নতুন করে এ সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেয়। জাতিসংঘের আওতাধীন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্গানাইজেশন ফর দ্য প্রোহিবিশন অব কেমিকেল উইপনস (ওপিসিডব্লিউ) অধীনে সিরিয়ার হাতে থাকা সব রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার গ্যারান্টি নেয় রাশিয়া। সবশেষ গত মাসে দেশটির বেসামরিক মানুষের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করার অভিযোগ ওঠে বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে। এ হামলায় মারা যান শিশুসহ অন্তত ৯০ জন। এ হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ। ঘোষণা দিয়েছে তদন্তের। তবে বাশার আল আসাদ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আসাদের পক্ষ নিয়েছে মিত্র ইরান ও রাশিয়া। হামলার জবাবে সিরিয়ার সরকার নিয়স্ত্রিত বিমান ঘাঁটিতে পরপর ৫৯টি অত্যাধুনিক টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলাকে কেন্দ্র করে মস্কোর সঙ্গে বিরোধে জড়ায় ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন হামলাকে আগ্রাসন হিসেবে চিহ্নিত করেছে ক্রেমলিন। অন্যদিকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের কাছে এখনো কয়েকশ টন প্রাণঘাতী রাসায়নিক অস্ত্র মজুত আছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সাবেক অস্ত্র গবেষণা বিষয়ক প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাহের আল-সাকাত। তার মতে, এ ইস্যুতে আসাদ জাতিসংঘের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।