Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিরিয়ায় ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে ইসলামিক স্টেট

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:৪৬ পিএম

মার্কিন হামলায় নিহত হয়েছিল দুই ছেলে। তারপর ধরা পড়ে বোন। তুর্কি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয় স্ত্রীও। ইসলামিক স্টেটের নিহত প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির বংশ কার্যত বিলুপ্তির পথে। কিন্তু তা বলে সংগঠনটি যে ভেঙে পড়েছে এমনটা নয়। সম্প্রতি সিরিয়ায় এক কারাগারে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন সদস্যকে মুক্ত করেছে ইসলামিক স্টেট বলে জানা গেছে।

ব্রিটেন ভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সিরিয়ার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত হাসাখ প্রদেশে কুর্দ মিলিশিয়াদের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি কারাগারে হামলা চালায় ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা। বিস্ফোরক বোঝাই ট্রাক নিয়ে আত্মঘাতী হামলার পর আইএস-এর একটি বাহিনী ঢুকে পড়ে জেলটিতে। রক্ষীদের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষের পর বেশ কয়েকজন কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদীকে মুক্ত করতে সক্ষম হয় তারা। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন কুর্দ রক্ষী আহত হয়েছে বলেও খবর। মানবাধিকার সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, রক্ষীদের মদত করতে কারাগার চত্বরে বিমান হামলা চালায় আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের বিমানবাহিনী।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালেই সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট পরাজিত হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে সেদেশ থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। যদিও বাইডেন জামানাতেও সিরিয়ায় মার্কিন ফৌজ রয়েছে। সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক যৌথবাহিনীতে রয়েছে প্রায় ২ হাজার মার্কিন সেনা। শুধু আইএস নয়, আসাদপন্থী মিলিশিয়াদের সঙ্গেও লড়াই হয়েছে মার্কিন ফৌজের। একের পর এক মার্কিন বোমারু বিমান ও ক্রুজ মিসাইল হামলায় গুঁড়িয়ে গিয়েছে অধিকাংশ জঙ্গিঘাঁটি। সিরিয়ায় আইএস-এর গড় রাকা ও ইদলিব শহরও প্রায় বিধ্বস্ত। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে জমি খুইয়ে বেকায়দায় সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে শক্তিক্ষয় হলেও এখনও যথেষ্ট প্রভাবশালী আইএস।

বলে রাখা ভাল, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সমর্থনে রয়েছে রাশিয়া ও ইরান। পালটা বিদ্রোহী বাহিনী ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট’কে মদত দিচ্ছে আমেরিকা। ইসলামিক স্টেটের পতনের পর সিরিয়ায় শরণার্থীদের রক্ষা ও কুর্দ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে সিরিয়ার একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তুরস্ক। একই সঙ্গে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের উপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। এহেন জটিল পরিস্থিতিতে সেদেশে আবারও আইএস-এর প্রভাব বৃদ্ধি অশনি সংকেত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র: রয়টার্স, এপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিরিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ