পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফক্স নিউজ.কম : সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই যুক্তরাষ্ট্র ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখেন না। ভয়েস অব আমেরিকা (ভোয়া) আফগান সার্ভিসের সাথে ১৯ এপ্রিল এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, দায়েশ (আইএস) ও আমেরিকার মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য দেখি না। সাক্ষাতকারে কারজাই বিশেষ করে গত ১৩ এপ্রিল নানগারহার প্রদেশের আচিন জেলায় আইএসের ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের জিবিইউ-৪৩ ম্যাসিভ অর্ডন্যান্স এয়ার বøাস্ট (এমওএবি) বোমা নিক্ষেপের নিন্দা করেন। তিনি বলেন, ‘মাদার অব অল বোম্বস’ হামলা আইএসকে নির্মূল করতে তেমন কাজে আসেনি। উল্লেখ্য, এ বোমা হামলায় ৯৫ জন নিহত হয়।
কারজাই বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আফগানিস্তানে এ বোমা হামলার পরও দায়েশকে নির্র্মূল করতে পারেনি। তিনি আরো বলেন, তারা আফগানিস্তানে একটি আণবিক বোমা ফেলেছে। মাদার অব অল বোম্বস ও একটি আণবিক বোমার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তিনি বলেন, আমি দায়েশকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারের যন্ত্র মনে করি।
কারজাই ২০০১ সালে মার্কিন সমর্থনে আফগনিস্তানে ক্ষমতায় আসেন এবং ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। তখন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার মাখামাখি সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ক্ষমতা ছাড়ার পর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠেছে। তিনি তালেবানের সাথে আফগানিস্তানকে অস্থিতিশীল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেন। ২০১৪ সালে ওবামা আকস্মিকভাবে বাগরাম সামরিক বিমান ঘাঁটিতে যাত্রা বিরতি করলে কারজাই তার সাথে সাক্ষাত করতে অস্বীকার করেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কারজাইর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। যুক্তরাষ্ট্র ও মানবাধিকার গ্রæপগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে তালেবানকে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ আনে। তবে মস্কো বলে, তালেবানের সাথে তাদের যোগাযোগ আছে, কিন্তু তারা তাদের কোনো অস্ত্র দেয়নি।
সম্প্রতি মস্কোর মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানের ভবিষ্যত বিষয়ে আলোচনায় যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র অস্বীকার করায় কারজাই নাখোশ হন। রাশিয়া উদ্দেশ্য নিয়ে উদ্বেগের কারণে যুক্তরাষ্ট্র এতে যোগ দেয়নি। ভোয়ার সাথে সাক্ষাতকারে কারজাই আফগানিস্তানে শান্তি আনতে আন্তরিক নয় বলে যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেন।
তিনি বলেন, রাশিয়া তালেবানের সাথে বৈঠক করে, যুক্তরাষ্ট্রও করে। নরওয়ে, জার্মানি ও অন্যান্য দেশগুলোও তাদের সাথে বৈঠক করে। তালেবানের সাথে রাশিয়ার বৈঠক করার অধিকার আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।