পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আয় ও তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা জনসংখ্যা উভয়ই ৩০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, রাজস্ব হ্রাস পাওয়ার খিলাফতের উপর তাদের দীর্ঘস্থায়ী শাসনের প্রতি হুমকি সৃষ্টি হয়েছে। খবর রয়টারস।
বিশ্লেষক কোম্পানি আইএইচএস বলে, আইএসের রাজস্বের পরিমাণ গত বছরের মাঝামাঝি নাগাদ ছিল মাসিক ৮ কোটি ডলার। এবার মার্চ মাসে তা হ্রাস পেয়ে ৫ কোটি ৬০ লাখ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ঐ সময় তেলের উৎপাদন ছিল দৈনিক ৩৩ হাজার ব্যারেল। মার্চে তা নেমে এসেছে দৈনিক ২১ হাজার ব্যারেলে। এর প্রধান কারণ মার্কিন বিমান হামলায় তেল উৎপাদন ক্ষেত্রগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া।
আইএইচএসের সিনিয়র বিশ্লেষক লুডোভিকো কার্লিনো এক রিপোর্টে বলেন, ইসলামিক স্টেট এ অঞ্চলে এখনো একটি শক্তি। কিন্তু এ রাজস্ব হ্রাসের পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ এবং তা জিহাদি গ্রুপটির জন্য দীর্ঘ মেয়াদী ভিত্তিতে তাদের খিলাফত পরিচালনার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে।
আইএসের নিয়ন্ত্রণে ২০১৪ সালে যে ভূখ- ছিল, এখন পর্যন্ত তার ২২ শতাংশ তারা হারিয়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার জনসংখ্যা ৯০ লাখ থেকে ৬০ লাখে নেমে এসেছে।
আইএইচএসের সিনিয়র বিশ্লেষক কলাম্ব স্ট্রাক বলেন, কর দেয়র মত অল্প লোক ও ব্যবসায়িক কর্মকা- আছে। অন্যদিকে বাজেয়াপ্ত করার মত সম্পদ ও জমির পরিমাণও তাই।
আইএসের রাজস্বের ৫০ শতাংশ আসে কর ও বাজেয়াপ্তকরণ থেকে, ৪৩ শতাংশ আসে তেল থেকে এবং বাকিটা আসে মাদক পাচার, বিদ্যুৎ বিক্রি ও দান থেকে।
আইএইচএস বলে, গ্রুপটি টাকার বিনিময়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্তদের মুক্তি দিচ্ছে। এটা তাদের আর্থিক সংকটের পরিচয় দেয়। তারা স্যাটেলাইট ডিশ স্থাপন বা শহর ত্যাগে ইচ্ছুকদের কাছ থেকেও কর আদায় করছে। পবিত্র কোরআন বিষয়ে প্রশ্নের ভুল উত্তর দিলে জরিমানা আদায় করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।