Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

ফিরিয়ে দাও ঐতিহ্যবাহী সোনাদীঘির স্বরূপ

| প্রকাশের সময় : ২৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাজশাহী ব্যুরো : ফিরিয়ে দাও ঐতিহ্যবাহী সোনাদীঘির স্বরূপ। দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করে এর অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনা হোক। এমন দাবি নিয়েই গতকাল নগরীর বিভিন্ন পেশার মানুষ সমবেত হয়েছিল সোনাদীঘির মোড়ে মনিচত্বর এলাকায়। আল্টিমেটাম দেয়া হয় একমাসের মধ্যেই দখলমুক্ত করতে হবে। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক এর ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও রাজশাহী নাগরিক সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক শামসুদ্দিন। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, শিক্ষক নেতা শফিকুর রহমান বাদশা, মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি কল্পনা রায়, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি রিয়াজ আহমেদ খান, জনউদ্যোগের ফেলো জুলফিকার আহমেদ গোলাপ, সাংবাদিক মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম, বাংলাদেশ রেশম শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি লিয়াকত আলী, পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম টুকু, সাংস্কৃতিক কর্মী মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত বক্তরা মানববন্ধন থেকে সোনাদীঘি ও ভুবনমোহন পার্ক রক্ষাসহ ১০দফা দাবি জানান। রাজশাহী মহানগরীর কিছু ঐতিহ্যের মধ্যে সোনাদীঘি ও ভুবনমোহন পার্ক। এই স্থাপনাগুলো দীর্ঘদিন ধরে দখল হয়ে আছে।
জানা যায়, ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেন নগর আওয়ামী লীগর সভাপতি এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি নগরীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত সোনাদীঘি সংস্কার করে আগের ঐতিহ্যে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেন। সোনাদীঘিকে ঘিরে অত্যাধুনিক কিছু পরিকল্পনা ঘোষণা করে নগরবাসীকে স্বপ্নও দেখিয়েছিলেন তিনি। আশেপাশের ব্যবসায়ীরা জানান, এনা প্রোপার্টিজ সিটি সেন্টারের নির্মাণকাজ করতে গিয়ে প্রথমে সোনাদীঘির পশ্চিমপাড়ের কিছু অংশ কৌশলে ভরাট করেন। এরপর তারা সেখানে বাঁশের খুঁটি ও বেড়া দিয়ে দীঘির ভেতরের অংশ বেঁধে বালু ফেলা শুরু করে। তখন দূর থেকে বেড়াটি দেখলে মনে হতো সোনাদীঘিকে রক্ষা করতেই এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন সেই বালুর ওপরই ভবন নির্মাণের জন্য পাইলিং করে পিলার বসানো হয়েছে। দখল করা জায়গা পরিদর্শন করে মানববন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফিরি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ