পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের মুখে সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে দ্রুত ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে দেশটিকে রাজি করতে তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার সাভার সেনানিবাসে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সেনানিবাসে কম্বাইনড মিলিটারি পুলিশ সেন্টার অ্যান্ড স্কুল উদ্বোধন করতে সেখানে যান তিনি।
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের জন্য বোঝা আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার সেখান থেকে ছয় থেকে সাত লাখের মতো শরণার্থী আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়েছে। মানবিক কারণেই আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চালাচ্ছি। যাতে এই মানুষগুলি তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে পারে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের প্রতি আমাদের আহ্বান তারা যেন তাদের নাগরিকদের দ্রুত ফেরত নিয়ে যায়।
রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ, শরণার্থী শিবিরে নিরাপত্তা ও খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে সশস্ত্র বাহিনী, বেসামরিক প্রশাসন, বিজিবি, র্যাব পুলিশ এবং সাধারণ জনগণের ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি ও সংসদ সদস্যরা সকলেই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি। জাতিসংঘে আমার যে ভাষণ, সেখানে আমি পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করেছি।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে সমগ্র বিশ্ববাসী আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে এবং আমাদেরকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।
সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়-পররাষ্ট্র নীতির এই দিকটি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশসহ সব দেশের সঙ্গে আমরা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়নের নেয়া সরকারের নানা পদক্ষেপও তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে যে সমস্যাগুলো ছিল, সেগুলো একে একে আমরা তা দূর করছি। বিদ্যুতের জন্য সমস্যা ছিল। ইতিমধ্যে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছে। আজকে দেশের ৮০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যে ১৫ হাজার ৮২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছি।’ ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো ঘর অন্ধকারে থাকবে না বলেও আশার কথা বলেন তিনি।
গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছি। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মেট্রোরেল, আন্তঃদেশীয় রেল প্রকল্প, এলএনজি টার্মিনালসহ বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’
ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল হয়েছে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমগ্র বাংলাদেশে আমরা ইন্টারনেট চালু করতে সক্ষম হয়েছি এবং সাধারণ মানুষ তার সুফল পাচ্ছে।’
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উদ্বোধনের প্রস্তুতি, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, নিজ অর্থায়নে পদ্মাসেতুর কাজের কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আগামীতে এই দেশ যাতে আরও এগিয়ে যায় তার জন্য যা যা করণীয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আরও এগিয়ে যাবে মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অর্থনীতি আজ মজবুত। এই অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে এবং এর সুফল বাংলাদেশের জনগণই পাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।