নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
একটি অধ্যায়ের শেষের শুরু
স্পোর্টস ডেস্ক : ক্যারিবীয় সফরটা ভালোই কাটছে পাকিস্তানের। টি-টোয়েন্টি সিরিজটা সরফরাজ আহমেদের দল জিতে নিয়েছে ৩-১ ব্যবধানে। আর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয়ী পাকিস্তান। ওই দুটি সিরিজে ছিলেন না ইউনিস খান ও মিসবাহ-উল-হক। থাকার কথাও না। কারণ ইউনিস-মিসবাহ দুজনই তো ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ছেড়েছেন আগেই। পাকিস্তানের অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার বিদায় বলে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটাই তাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের শেষ সিরিজ। যার শেষের শুরুটা হচ্ছে আজ কিংস্টনের সাবিনা পার্কে। শুধুই কি একটা সিরিজের শেষ, আজ যে একটি অধ্যায়েরই শেষের শুরু হতে যাচ্ছে!
এরপর আর পাকিস্তান জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যাবে না মিসবাহ-ইউনিসকে। বিদায়টা নিশ্চয়ই রাঙাতে চাইবেন তারা। এবার শেষ টেস্ট সিরিজের শুরুর অপেক্ষায় মিসবাহ-ইউনিস। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দ্বিতীয় টেস্ট বারবাডোজে; শুরু ৩০ এপ্রিল। আর মিসবাহ-ইউনিসের বিদায়ী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ডমিনিকায়, ১০মে।
তবে এই ক্যারিয়ারের শেষ সিরিজটি স্মরণীয় করে রাখার উপলক্ষ আছে এদের একজনের-ইউনিস খান। শহীদ আফ্রিদির মতো জনপ্রিয়তা নেই তার, নেই ইমরান খান-ওয়াসিম আকরামদের মতো দাপট। নিজের যা ক্ষমতা আছে, তাতে বিশ্বাস রেখে নীরবে-নিভৃতে কাজ করে গেছেন ইউনিস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৭টি বছর পার করার পর চলে এসেছেন অস্ত লগ্নেও। ইতিমধ্যে দিয়ে দিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা। আগেই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া এই ব্যাটসম্যান যাওয়ার আগে রেখে যাচ্ছেন অসংখ্য সুখকর মুহূর্ত।
বিদায়ের আগে ইউনিস দাঁড়িয়ে নতুন মাইলফলকের সামনে। আর ২৩ রান করলেই প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে টেস্টে ১০,০০০ রানের ক্লাবে নাম লেখাবেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষে অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া ইউনিস মাইলফকটা ছুঁয়ে ফেলতে পারেন আজ থেকে শুরু হওয়া কিংস্টন টেস্টেই। যাওয়ার আগে যে ১০,০০০ রানটা পূরণ করতে চান, সেটা অবসরের ঘোষণা দেওয়ার সময়ই জানিয়েছিলেন তিনি।
২০০০ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা ইউনিস নিজেকে প্রমাণ করেছেন ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনে সেঞ্চুরি করে। টেস্ট খেলুড়ে সব দেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি আছে তার, যার মধ্যে দুটো ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন তিনি ভারত ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী ইউনিসের ব্যাটিং গড়টাও অসাধারণ, তার ৫৩.০৬ গড় ১০ বা তার বেশি টেস্ট খেলা যে কোনও পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানকে ছাড়িয়ে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার পরও পাকিস্তানের ক্রিকেটের জন্য কাজ করতে চান ইউনিস। আর অবসরের পর তরুণ ক্রিকেটারদের চোখে নিজেকে দেখেতে চান ‘আদর্শ’ হিসেবে। ইউনিসের বক্তব্য, ‘যখন আমি অবসর নেব, ড্রেসিংরুমে থাকব না, তখন যেন তরুণ ক্রিকেটাররা আমাকে আদর্শ হিসেবে মনে রাখে। তারা যেন আমাকে মনে রাখে একজন খেলোয়াড় ও ব্যাটসম্যান হিসেবে, যে সবসময় নিজের দেশের জন্য খেলেছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।