পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানসম্পন্ন শিক্ষায় মেয়ে শিশু এবং তরুণদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে ৩ কোটি ৪৭ লাখ ডলার সহায়তা দিয়েছে ইউনিসেফ।
গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি। বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট জানান, প্রতিটি শিশুর জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। কিন্তু সব স্তরে সমান সুযোগ এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে জটিল কিছু চ্যালেঞ্জ এখনো রয়ে গেছে।
যুক্তরাজ্য সরকারের সাথে ইউনিসেফের এই যৌথ উদ্যোগে স্কুলব্যবস্থার বাইরে থাকা শিশুদের ওপর বিশেষ গুরুত্বের পাশাপাশি মেয়ে শিশু, প্রতিবন্ধী শিশু এবং সুবিধাবঞ্চিত এলাকার শিশুদের জন্য শিক্ষাকে উন্নত করতে কাজ করবে। এটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে শিশুদের ভর্তি, তাদের স্কুলে ধরে রাখা এবং শিক্ষা সমাপনীর হার উন্নত করার ওপরও জোর দেবে বলে জানানো হয়।
ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকার এবং শিশু ও তাদের পিতামাতাসহ সকল অংশীদারদের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ চালিয়ে যাবে। এই সহায়তার মাধ্যমে, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জীবনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসার পাশাপাশি সকল শিশুর জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, যুক্তরাজ্য সব মেয়ে শিশুর ১২ বছরব্যাপী মানসম্মত শিক্ষার অধিকারের জন্য কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শিক্ষার উন্নতি করতে, কিশোরী মেয়েদের স্কুলে থাকতে সহায়তা করতে এবং সবচেয়ে প্রান্তিক শিশুদের মানসম্পন্ন শিক্ষায় প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ইউনিসেফ, ব্র্যাক এবং বাংলাদেশ সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পেরে আনন্দিত।
২০২১ থেকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত এই যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়নে যুক্তরাজ্য সরকারের অর্থায়ন ইউনিসেফকে সহায়তা করবে। ব্রিটিশ হাইকমিশন যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক বজায় রাখে এবং উন্নয়ন করে, সব মেয়ে শিশুর জন্য ১২ বছরব্যাপী মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা যুক্তরাজ্য সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য।
২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে যুক্তরাজ্য বিশ্বব্যাপী দেড় কোটিরও বেশি শিশুকে মানসম্মত শিক্ষা অর্জনে সহায়তা করেছে, যাদের মধ্যে ৮০ লাখ ছিল মেয়ে শিশু । ২০২৬ সাল নাগাদ, যুক্তরাজ্য বিশ্বব্যাপী আরও ৪ কোটি মেয়ে শিশুকে স্কুলে ভর্তি করার এবং ১০ বছর বয়সের মধ্যে আরও ২ কোটি মেয়ে শিশুকে পড়শোনায় সক্ষম করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।