Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৭৫ শতাংশ তরুণের চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা নেই

ইউনিসেফ ও দ্য এডুকেশন কমিশনের গবেষণা প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

বিশ্বের ৯২টি দেশের ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশেরই চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা নেই। বিশ্ব যুব দক্ষতা দিবসকে সামনে রেখে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ইউনিসেফ ও দ্য এডুকেশন কমিশনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

শৈশব ও তারুণ্যে দক্ষতা বিকাশের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, সব বয়সের শিশু ও যুবকদের মধ্যেই দক্ষতা নিম্ন স্তরের। নিম্ন আয়ের দেশগুলোর যুবকদের উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের সম্ভাবনা কম, বিশেষ করে ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের সুযোগ, সম্মানজনক কাজ ও উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে থাকা যুবকের উচ্চ হার এবং মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরে দক্ষতা কম অর্জনের কারণে বিশ্বব্যাপী দেশগুলো দক্ষতা সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। ফলে বেশিরভাগ যুবক বর্তমান সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কর্মক্ষেত্রে অংশ নিতে অপ্রস্তুত।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, নিম্ন আয়ের প্রতি ৩ দেশের একটিতে ৮৫ শতাংশেরও বেশি যুবক মাধ্যমিক স্তর, ডিজিটাল ও চাকরির জন্য নির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জনের বাইরে রয়েছে। ৭৭টি দেশের তথ্য অনুযায়ী ৩ থেকে ৫ বছর বয়সীদের মধ্যে তিন-চতুর্থাংশেরও কম শিশু ৪টি ডোমেনের সাক্ষরতা, শারীরিক, সামাজিক ও শেখার মধ্যে অন্তত ৩টিতে বিকাশের পথে রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর বেশিরভাগ ১০ বছর বা তা তার কাছাকাছি বয়সের শিশু সাধারণ পাঠ্য পড়তে ও বুঝতে পারে না। এই মৌলিক দক্ষতার অভাব তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা ও দক্ষতা বিকাশে অন্তরায় হয়ে উঠছে।
বিশ্বব্যাপী শিক্ষা ও দক্ষতা সংকট মোকাবিলায় জরুরি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ ও দ্য এডুকেশন কমিশন।
প্রতিটি শিশুর মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য এবং তাদের ঝরে পড়ার ঝুঁকি রোধ করতে প্রতিটি দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ ও দ্য এডুকেশন কমিশন।
ইউনিসেফের শিক্ষা পরিচালক রবার্ট জেনকিন্স বলেন, অনুপ্রাণিত ও দক্ষ শিশু ও তরুণদের একটি প্রজন্ম সমৃদ্ধি, অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক সাফল্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অথচ, শিক্ষা ব্যবস্থার কারণে বিশ্বজুড়ে বেশিরভাগ শিশু ও যুবক অক্ষরজ্ঞানহীন, নিরুৎসাহিত ও অদক্ষ হয়ে রয়েছে।
দ্য এডুকেশন কমিশনের নির্বাহী পরিচালক লিসবেট স্টিয়ার বলেন, তরুণদের সফল হওয়ার সর্বোত্তম সুযোগ দিতে এবং মহামারির কারণে শিক্ষায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে হবে। আমাদের তাদেরকে সামগ্রিকভাবে সহায়তা করতে হবে। শিশু ও যুবকরা কোন ক্ষেত্রে দক্ষতা বিকাশের চেষ্টা করছে তা জানা দরকার এবং তাদের অগ্রগতি নিয়মিত দেখতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউনিসেফ ও দ্য এডুকেশন কমিশন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ