মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত কয়েক দশকের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় ইউনিসের তাণ্ডবে ইউরোপজুড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ১৬ জনে। ঝড়ের কারণে ইউরোপের লাখ লাখ বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে এবং পরিবহন ব্যবস্থাপনায় বিশৃঙ্খলতা দেখা দিয়েছে। গত শুক্রবার শক্তিশালী এই ঝড় যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপর অন্যান্য দেশে আঘাত হানে। শনিবার প্রাথমিকভাবে নিহতের সংখ্যা ৯ জন বলে জানানো হলেও রোববার তা ১৬ বলে নিশ্চিত করা হয়। ব্রিটেন ছাড়াও বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, পোল্যান্ড এবং আইরিশ রিপাবলিকে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। মূলত শক্তিশালী বাতাসের কারণে গাছ উপড়ে পড়ে এবং ধ্বংসাবশেষ উড়ে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া ঝড়ের আঘাতে বিপর্যস্ত এসব দেশের লাখ লাখ বাড়ি-ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে এবং পরিবহন নেটওয়ার্ক বিশৃঙ্খল হয়ে পড়েছে।
ডাচ কোস্টগার্ড জানিয়েছে, শক্তিশালী এই ঝড়ের কারণে উত্তর সাগরে তাদের ২৬টি খালি শিপিং কন্টেইনার হারিয়ে গেছে এবং তারা সেগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। হারিয়ে যাওয়া এসব কন্টেইনার খুঁজতে হেলিকপ্টার এবং জরুরি টোয়িং জাহাজ ব্যবহারের কথাও জানিয়েছে তারা।
ঝড়ের সময় বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় ১২০ মাইলেরও (প্রায় ২০০ কিলোমিটার) বেশি। বিবিসি বলছে, ঝড় ইউনিসের তাণ্ডবে নেদারল্যান্ডসে চারজন নিহত হয়েছেন। মূলত ঝড়ো বাতাসের কারণে গাড় পড়ে তারা নিহত হন। এছাড়া পোল্যান্ডে নিহত হয়েছেন আরও চারজন।
এদিকে ইংল্যান্ডের একটি সড়কেই নিহত হয়েছেন তিনজন। এছাড়া জার্মানিতে দুইজন এবং বেলজিয়ামে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যাও দুই। অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডের ওয়েক্সফোর্ড কাউন্টিতে ৬০ বছরের বেশি বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ঝড়ে উপড়ে পড়া গাছের আঘাতে তিনি প্রাণ হারান। এছাড়া ঝড় সম্পর্কিত নানা সড়ক দুর্ঘটনায় ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছেন। এর পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের একটি ফুটবল স্টেডিয়ামের ছাদের কিছু অংশ উড়ে গেছে।
ইউনিসের কারণে বেলজিয়াম, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যে উচ্চগতির ট্রেন চলাচল বাতিল করা হয়। অন্যদিকে জার্মানির একটি রেল অপারেটর জানিয়েছে, ঝড়ের কারণে ১ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি রেলওয়ে ট্র্যাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঝড়ের তাণ্ডবে দেশটির প্রায় ২০ লাখ মানুষ বিদ্যুতহীন হয়ে পড়ে। ব্রিটিশ এনার্জি নেটওয়ার্ক এসোসিয়েশন প্রায় ১২ লাখ মানুষের জন্য বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করেছে তবে শনিবার পর্যন্ত দুই লাখ ২৬ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন ছিল। এদের বেশিরভাগই ব্রিটেনের দক্ষিণাঞ্চলের বাসিন্দা। অবশ্য, দেশটির পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ ওয়েলসের বহু মানুষ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
ব্রিটিশ আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, আটলান্টিক মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইউনিস শুক্রবার অ্যাজোরস দ্বীপপুঞ্জ এলাকা হয়ে ইউরোপের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলে আছড়ে পড়ে। লন্ডনে প্রচণ্ড বাতাসের কারণে বিনোদনকেন্দ্র ও টু অ্যারেনা’র ছাদের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইউনিসকে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্যে ৪৩৬টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়। ওয়েলস, কর্নওয়েল, ডেভন, সামারসেট, উইল্টশায়ার, হ্যাম্পশায়ার, ডোরসেট ও ব্রিস্টলে শত শত স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দেশজুড়ে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ডেভন বন্দরে জাহাজ চলাচল আপাতত সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।