পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে শিক্ষকদের ওপর ধারাবাহিক হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল-ইউনিসেফ। এসব ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে সংস্থাটি বলেছে, শিক্ষকদের সুরক্ষতি না রাখতে পারলে শিশুরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।
গত ২৫ জুন সাভারের আশুলিয়ায় হাজী ইউনুস আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল আহসান জিতু ক্রিকেট খেলার স্টাম্প দিয়ে কলেজ শাখার শিক্ষক উৎপল কুমারের মাথায় আঘাত করে। এ ঘটনার এক দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিক্ষক উৎপল কুমার। পরে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী জিতুকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। অন্যদিকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে গত ১৮ জুন নড়াইল সদর উপজেলায় মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে স্থানীয় প্রশাসনের সামনেই জুতার মালা পরিয়ে দেয় স্থানীয় লোকজন।
এই দুই ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন এসব প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‹বাংলাদেশে শিক্ষকদের ওপর সাম্প্রতিক ধারাবাহিক হামলার ঘটনায় ইউনিসেফ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ইউনিসেফ এসব হামলার নিন্দা জানায় এবং এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। পাশাপাশি, আমরা শিক্ষকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার আহ্বান জানাই।
ইউনিসেফের দেওয়া বিবৃতিতে শিক্ষকদের সুরক্ষার দিকে জোর দেওয়া হয়। বলা হয়, এ সুরক্ষা দরকার শিশুদের জন্যই। শেলডন ইয়েট বলেন, ‘শিশুদের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু এই কাজটি পালন করার জন্য– শিক্ষার্থীদের গঠনমূলক চিন্তা করতে শেখানো, তাদের পরিপূর্ণ সম্ভাবনা অনুযায়ী ও ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য—শিক্ষকদের কোনো ধরনের ভীতি ছাড়াই শেখাতে সক্ষম হতে হবে।’
ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রধান শেলডন ইয়েট বলেন, ‘শিক্ষকদের ওপর হামলা মানে শিক্ষার ওপর হামলা। আমরা যদি শিক্ষকদের সহিংসতা থেকে সুরক্ষিত রাখতে ব্যর্থ হই, তাহলে শেষ পর্যন্ত শিশুরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।