Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিসিসিআই’র দুঃসময়ে পাশে বিসিবি

| প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : অর্থনৈতিক অবকাঠামোগত দিক থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসিতে) বড় পরিবর্তনের আভাষ ছিল, সেখানে আয় বেড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। তবে ভারতের আয় কমে যাওয়ায় তার প্রভাব বাংরাদেশের ক্রিকেটেও পড়বে বলে অশঙ্কা করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এমপি। এমাসের শেষে আইসিসির পরবর্তি বোর্ড সভা। সেখানেই নীতিগতভাবে সিন্ধান্ত নেয়া হবে অর্থনৈতিক ভাগ-বাটোয়ারার। তার আগে বিসিসিআই সিওএ চিফ ভিনোদ রাহির সঙ্গে গতকাল দিল্লীতে দেখা করেছেন পাপন। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজের শঙ্কা জানিয়ে বলেন, ‘বিসিসিআই এর দুর্বল হওয়া মানে, বাংলাদেশেরও দুর্বল হওয়া। সকলে মিলে একটি গ্রহণযোগ্য মধ্যম পথ খোঁজার চেষ্টা করছি। আমরা কেউই চাইনা কোন সদস্যদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হোক। বিশেষকরে ভারত, যারা আমাদের সবসময় সহযোগীতা করেছে।’
‘বিগ-থ্রি’ নীতিতে ২০১৫ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আইসিসি’র সম্ভাব্য আয়ের ভাগ বণ্টনের একটা বর্ণনা দেয়া হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, আগামী ৮ বছরে আইসিসি’র আয়ের ২৭.৪ শতাংশই যাবে বিসিসিআই, ইসিবি ও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছে। তবে সম্প্রতী দুবাইয়ে আইসিসি’র বোর্ডসভায় নীতিগতভাবে নতুন সংবিধান পাস করা হয়, যদিও এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ভারত। প্রথমে তারা ভোটাভুটি পিছিয়ে এপ্রিলে নিতে চেয়েছিল। তাতে সফল না হয়ে ভারত বিপক্ষে ভোট দেয়, তারা সমর্থন পায় শুধু শ্রীলংকার। সবসময় ভারতের সঙ্গী হিসেবে থাকা বাংলাদেশ এবার পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছিলো। বিসিবি সভাপতি আইসিসি’র ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হিসেবে নতুন সংবিধান তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে এর বিপক্ষে ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না। নতুন বণ্টননীতিতে আগের প্রাক্কলিত আয়ের চেয়ে বিসিসিআই কম পাবে, কিন্তু এটাও তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। যদিও ভারতের আশা ছিল, যেকোনো মডেলেই তারা ৪০ কোটি ডলারের কাছাকাছি আয় করবে। কিন্তু অংকটা ২৯ কোটি ডলারে নেমে যাওয়ায় ধাক্কা খেয়েছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বাজারের দেশটি। এ ব্যপারটিই পোড়াচ্ছে বিসিবি সভাপতিকে। রেভিনিউয়ের সুষম বণ্টনের পক্ষে নিজের অবস্থান পরিস্কার করে পাপন বলেন, ‘শ্রীনিবাসনের (সাবেক আইসিসি হেড) আমলে যখন সিদ্ধান্তটি নেয়া হয় আমি তখন এর পক্ষের একজন ছিলাম এবং “বিগ থ্রি” প্রতিষ্ঠিত হয়। দেখুন, আমি এটা বিশ্বাস করি যে সুষম বণ্টন অত্যান্ত জরুরী কিন্তু তার মানে এই নয় যে আরেকজনের (ভারতের) ভাগ ছিনিয়ে নিতে হবে। না, আমরা এমনটা চাই না।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিসিবি


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ