নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : যাকে নিয়ে এত আয়োজন, গেল বছরে তার পরিসংখ্যানটা একটু বলে দেয়া যাক। টেস্টে তার ব্যাটিং গড় ৭৫, ওয়ানডেতে ৯২, আর টি-টোয়েন্টিতে ১০৬! গত আইপিএল মৌসুমেও মাত্র ১৬ ম্যাচে করেছিলেন প্রায় সহস্র রান। সংস্করণ যতই ছোট হয়েছে ততই চওড়া হয়েছে তার ব্যাট। নিশ্চয় বুঝেছেন তিনি হলেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এই অবিশ্বাস্য ব্যাটিং-ই তাকে তুলে এনেছে এবারের ‘উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমানাক’এর প্রচ্ছদে। যুক্তরাজ্যের এই বার্ষিক ম্যাঙ্গাজিনের বিচারে কোহলিই হলেন বর্তমানে ‘লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’।
কোহলি যে এবার ম্যাঙ্গাজিনটির প্রচ্ছদে জায়গা পাচ্ছেন তা জানা গিয়েছিল আগেই। ছবিতে দেখা যাচ্ছে ক্রিকেটের সবচেয়ে সম্ভ্রান্ত্র সংস্করণে একটি রিভার্স সুইপ খেলছেন কোহলি। অবশ্য কোহলিই প্রথম ভারতীয় নন যিনি উইজডেনের প্রচ্ছদে জায়গা পেয়েছেন। ২০০৮, ২০০৯ সালে টানা দুইবার এই মর্যাদা অর্জন করেন বীরেন্দ্র শেবাগ। পরের বছরে আসেন শচীন টেন্ডুলকার।
গত মৌসুমে ইংল্যান্ডকে ৪-০ ব্যবধানে হারায় কোহলির ভারত। এর মধ্যে মুম্বাইয়ে তার ২৩৫ রানের ইনিংসটি অনেকের মনে থাকার কথা। পুরো মৌসুমে মাত্র একটি টেস্ট হেরেছে তার দল, চারটি সিরিজই নিয়েছে দখলে। তার ব্যাটে ভর করেই ভারত দুইবার টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষে ওঠে। মাঝে কয়েকদিনের জন্য পাকিস্তানের কাছে শীর্ষস্থান হারালেও কয়েক সপ্তার ব্যবধানে আবারো তা দখলে নেয় ভারত। বছরও শেষ করে শীর্ষে থেকেই। এ কারণে পত্রিকাটি কোহলিকে বিচার করেছে ‘শচীন টেন্ডুলকারের যোগ্য উত্তরসূরি’ হিসেবে। আর ২০০৬ সালকে তারা বলেছে ‘তার স্বপ্নের বছর’।
কোহলি ছাড়াও এবারের অ্যালমানাকে জায়গা পেয়েছেন আরো দুই এশিয়ান। তারা হলেন, ইংল্যান্ডে দুই টেস্টজয়ী নায়ক মিসবাহ-উল-হক ও উইনিস খান। ব্যাট হাতে তাদের নেতৃত্বেই প্রথমবারের মতো টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষে ওঠে পাকিস্তান। সাদা পোশাকে সাধারণত আধিপত্য করতে দেখা যায় স্বাগতিকদেরই বেশি। ভারত যেমন এবারের মৌসুমে চার সিরিজের তিনটিই জিতেছে নিজেদের মাঠে। সেখানে পাকিস্তান ২০০৯ সাল থেকেই ঘরের মাঠ থেকে নির্বাসিত। এরপরও নিজেদের শক্তিমত্তার প্রমাণ দিয়ে দলটি উঠে আসে র্যাংকিংয়ের শীর্ষে। তাও আবার দুই চল্লিশোর্ধো ‘বুড়ো’র ব্যাটে ভর করে। প্রত্যাশিতভাবে তাই এই দুজন উঠে এসেছেন উইজডেনের পাতায়।
এছাড়াও অ্যালমানাকে আছেন তিনজন ক্রিকেটার। তিনজনই ইংল্যান্ডের। তারা হলেন ইংল্যান্ডের ২০১৬ সালের ব্রেকথ্রু ক্রিকেটার খেতাব পাওয়া ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ৪ ম্যাচে ১৬ গড়ে ২৬ উইকেট নেয়া ক্রিস ওকস, হ্যাটট্রিক করে মিডিলসেক্সকে গত ২৩ বছরে প্রথম কাউন্টি চ্যাম্পিয়ন্সশিপ জেতানো টবি রোনাল্ড-জন্স এবং সব ধরনের ক্রিকেট মিলে ২৭০৬ রান করা ও বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেক হওয়া বেন ডাকেট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।