বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী ঐক্যজোটের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, নিরীহ মানুষ হত্যা, আত্মহনন, আত্মহত্যা জিহাদ নয়। ইসলামে এর কোন স্থান নেই। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কারণ সন্ত্রাস যদি অব্যহত থাকে, তাহলে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। পবিত্র কোরআনে এটা নিষেধ হয়েছে। তারা বলেন, সাম্প্রতিককালে আমাদের দেশে যে সব নির্মমতা, নিষ্ঠুরতা, অমানবিকতা চলছে তা কোনভাবেই ইসলামী জিহাদের আওতাভুক্ত হয় না, হতে পারে না। সুতরাং যারা সন্ত্রাসী ও জঙ্গি অপতৎপরতায় জড়িয়ে পড়েছে তাদের এই ধ্বংসাত্মক তৎপরতার মূলে কাজ করছে ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতা। না জেনে মানুষ হত্যা, আত্মহত্যা, অন্যায়, অবিচার, সন্ত্রাস করে মানুষের অধিকার হরণ করলে নাশকতা ও সহিংশতায় জড়িয়ে পড়লে তারা দুনিয়া-আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে, লাঞ্ছিত হবে। জাহান্নাম হবে তাদের স্থায়ী ঠিকানা। দেশও হবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন।
গতকাল সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতি বক্তব্যে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুুল লতিফ নেজামী বলেন, নিরীহ মানুষ হত্যা, আত্মহনন, আত্মহত্যা জিহাদ নয়। ইসলামে এর কোন স্থান নেই। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মাওলানা নেজামী সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূূর্তি স্থাপনের সমালোচনা করে বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের সামনে মুর্র্র্তি স্থাপন করে এদেশের সমগ্র উলামােেয় কেরাম ও তাওহিদী জনতার ধর্মীয় অনুভূতিতে মারাত্মক আঘাত করা হয়েছে। কাজেই যতদিন এই মুর্তি অপসারণ করা না হবে, ততদিন পর্যন্ত এর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটতেই থাকবে। তিনি মঙ্গল শোভাযাত্রাকে একটি সংখ্যালগু গোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুুুষ্ঠান আখ্যায়িত করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান। সমাবেশে স্বাগত বক্তব্যে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, মানুষ হত্যা, আত্মহত্যা, অন্যায়, অবিচার, সন্ত্রাস করে মানুষের অধিকার হরণ করলে নাশকতা ও সহিংশতায় জড়িয়ে পড়লে তারা দুনিয়া-আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে, লাঞ্ছিত হবে। জান্নাতের খুশবুও পাবে না, জাহান্নাম হবে তাদের স্থায়ী ঠিকানা। তিনি বলেন, আলোচিত ঘটনায় যে ছেলেগুলো অভিযুক্ত, প্রচারিত তথ্য অনুযায়ী ওরা কিন্তু অনেক দিন থেকেই ঘরে ছিল না। ওরা বাইরে গিয়ে ওদের অপতৎপরতার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। এজন্য পরিস্থিতি সঠিকভাবে উপলব্ধি করে সঠিক প্রতিকার-ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী বলেন, অধিকাংশ জঙ্গি-সন্ত্রাসী ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ও প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি শিক্ষিত। কাজেই জঙ্গিবাদ বন্ধ করতে হলে কওমী মাদরাসা নয়, ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সরকারি নজরদারিতে আনতে হবে। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, জঙ্গিদের জন্য আলাদা জেলখানা তৈরি করুন। তাদেরকে সাধারণ কয়েদী সাথে রাখা যাবে না। জঙ্গিরা মুর্র্খ, আধা-শিক্ষিত। তাই তারা এই অন্যায় পথে পা বাড়িয়েছে। তাদেরকে এ পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে আলেমদের দ্বারা সঠিক ইসলামী শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস বলেন, সন্ত্রাসবাদের মূলে রয়েছে ধর্র্মীয় শিক্ষার অভাব। সমাজ থেকে সন্ত্রাস নিমূূর্লে শিক্ষার সকল স্তরে মৌলিকভাবে ইসলামী শিক্ষা চালু করতে হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামীর সভাপতিত্বে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নির্বাহী সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, মাওলানা আব্দুর রশিদ মজুমদার, মাওলানা আবু তাহের জেহাদী, মাওলানা যোবায়ের আহমদ, মাওলানা জসিম উদ্দিন, মাওলানা আতাউর রহমান, অধ্যাপক মাওলানা এহতেশাম সারওয়ার, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুুর রহমান, মুফতি তৈয়্যব হোসাইন, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা শেখ লোকমান হোসাইন, মাওলানা মঈনুদ্দিন রুহী মাওলানা আহলুল্লাহ ওয়াছেল, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা একেএম আশরাফুল হক, জমিয়ত নেতা মাওলানা মুহিউদ্দীন ইকরাম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।