নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : আট জাতির এশিয়ান ইমার্জিং কাপ ক্রিকেটের আসর বাংলাদেশে বসছে। ভেন্যু থাকছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার। এর মাধ্যমে আবারো ক্রিকেট উৎসবে মেতে উঠবে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম। অনুর্ধ্ব-২৩ আয়োজনের আসরটির কিছু ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম জয়ের স্মৃতিধন্য এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের ভূগর্ভস্থ ড্রেনেজ সিস্টেমের সংস্কার কাজ চলছে বিধায় বিকল্প ভেন্যু এম এ আজিজ স্টেডিয়াম ও জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামকে বেছে নিয়েছে বিসিবি। জহুর আহমদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় বিধায় এ মাঠটি সবসময় খেলার উপযোগী থাকে। এটির তত্ত্ববধানে রয়েছে বিসিবি। কিন্তু সিজেকেএস’র তত্ত্ববধানে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ঘরোয়া ফুটবল, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলাধুলা। এসব খেলাধুলার কারণে মাঠ হয়ে যায় নষ্ট। সম্প্রতি শেষ হয়েছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কারণে সিজেকেএস’র ঘরোয়া খেলাধুলা অতীতে বহুবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। স¤প্রতি শেষ হয়ে যাওয়া শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাব টুর্নামেন্টের পর আটটি দলের আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় এবং ৪১টি ওয়ার্ড নিয়ে মেয়র কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এ মাঠে। তারপরও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো দল এখানে আসবে তা মানতেই হচ্ছে সবার।
২০০৫ সালে এম এ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট জয় পাওয়ার পর এখান থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ নির্বাসিত হয়ে চলে যায় জহুর আহমদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে। তখন থেকে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের মাঠে আর কোন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়নি, হয়েছে বেশকিছু প্র্যাকটিস ম্যাচ। সেই ম্যাচগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে গিয়ে বিসিবি এ মাঠের সংস্কার ও আনুষাঙ্গিক কাজের পেছনে অনেক টাকা খরচ করেছে। এবারের এশিয়ান ইমার্জিং কাপ ক্রিকেট আসরের মাঠ সংস্কারসহ অন্যান্য কাজে বিসিবিকে করতে হচ্ছে খরচ। সেই থেকে আজ অবধি বিসিবি এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে মাঠ সংস্কারসহ অন্যান্য কাজে খরচ করেই যাচ্ছে। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাব টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পরপরই এম এ আজিজ স্টেডিয়াম মাঠ চলে যায় ক্রিকেট বোর্ডের নিয়ন্ত্রণে। ফুটবলারদের বুটের দাপড়ানিতে নষ্ট হয়ে যাওয়া মাঠকে সংস্কারসহ চলছে সবকিছুর প্রস্তুতি। ক্রিকেট উপযোগী মাঠ করতে যে সময়টুকু পেয়েছে তাতে তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি থাকায় মাঠ সবুজ ঘাসে পরিণত হয়েছে।
এশিয়ার চার টেস্ট প্লেয়িং দেশের অনুর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে আফগানিস্তান, হংকং, নেপাল ও মালয়েশিয়া জাতীয় দল এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। তবে চার অনুধর্ব-২৩ দলের চারজন করে মোট জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। এতে করে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ১২জন ক্রিকেটারকে চট্টগ্রামবাসী দেখতে পারবে। এ টুর্নামেন্টের খেলা এম এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এবং কক্সবাজারের দু’টি অর্থাৎ চারটি মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। সম্ভাব্য তারিখ অনুযায়ী ১ এপ্রিল দু’টি সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। তার মধ্যে এম এ আজিজ ও জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। দিবারাত্রির ফাইনাল ম্যাচ হবে ৩ এপ্রিল জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। দলগুলো চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার আসবে ২৫ মার্চ এবং ২৭ মার্চ থেকে শুরু হবে ম্যাচ। দুই গ্রুপে বিভক্ত এ-গ্রুপের ভারত, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও মালয়েশিয়ার ম্যাচগুলো চট্টগ্রামে এবং বি-গ্রুপে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল ও হংকংয়ের ম্যাচগুলো হবে কক্সবাজারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।