পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী নগর ভবনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের একটি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালকের কার্যালয়ে হামলা হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক মো. গোলাম ইয়াজদানীকে মারধর করার পাশাপাশি ভাঙচুর হয়েছে তার কক্ষ। গতকাল রোববার প্রকাশ্যে দিবালোকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, প্রকল্পের কাজ না পেয়ে একদল ঠিকাদার এ হামলা চালায়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা অ্যাকশনে যাব। আক্রান্ত প্রকল্প পরিচালক বলেছেন, কাজ না দেয়ায় একদল ঠিকাদার তার ওপর এই হামলা চালিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিটি কর্পোরেশনের অস্থায়ী কার্যালয় ভবনের চারতলায় প্রকল্প পরিচালকের কক্ষে এই হামলা হয়। এই সময় প্রকল্প পরিচালকের টেবিল ও নামফলক ভেঙে ফেলা হয়। গোলাম ইয়াজদানী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতায় নগরীর বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়নে নেওয়া আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পরিচালক হিসেবে গত বছরের ১৪ আগস্ট তাকে নিয়োগ দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ। সকালে নগরীর আন্দরকিল্লায় পুরোনো নগর ভবনে সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ সভা ছিল।
সভা শেষে বেলা পৌনে ৪টায় টাইগারপাসে অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়ে নিজের দপ্তরে যান প্রকল্প পরিচালক গোলাম ইয়াজদানী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, কার্যালয়ে বসার পরপরই অনুমতি ছাড়া প্রায় ২০-২৫ জন ঠিকাদার তার কক্ষে ঢুকে পড়েন। কথা বলার এক পর্যায়ে অতর্কিতভাবে তার ওপর হামলে পড়েন ঠিকাদারেরা। এ সময় তারা উপর্যুপরি কিলঘুষি মারতে থাকেন। অফিস সহকারী তিলক দে তাকে রক্ষা করতে গেলে তিনিও মারধরের শিকার হন। প্রায় ১০ মিনিটের মতো মারধরের পর হামলাকারীরা সেখান থেকে চলে যান। প্রকল্পের কাজ না পাওয়া ঠিকাদাররা এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন গোলাম ইয়াজদানী।
সিটি কর্পোরেশনের প্রকল্প পরিচালকের দপ্তরের অফিস সহকারী তিলক দে বলেন, ঠিকাদাররা অনুমতি ছাড়াই ঢুকে পড়েন। প্রথমে ভালো করে কথা বললেও হঠাৎ করে স্যারের ওপর হামলে পড়েন। রক্ষা করতে গেলে আমাকে কিলঘুষি দেন। তবে দ্রæত সটকে পড়েন। খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পর নগর ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। কারা এ হামলায় জড়িত তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। চসিক মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম সাংবাদিকদের বলেন, কয়েকজন ঠিকাদার আমাদের প্রকল্প পরিচালকের দপ্তরে হামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
ক্ষুব্ধ মেয়র : নগর ভবনে হামলা ঘটনায় তাৎক্ষণিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রকল্প পরিচালককে মারধর করেছেন, চিল্লাচিল্লি করেছেন। টিভি, গøাস ভেঙে ফেলেছেন। আমরা অবশ্যই অ্যাকশনে যাচ্ছি। সিসি ক্যামেরার পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে কারা ছিলেন। ছবি বের করছি। যে ছেলেটার নেতৃত্বে এসেছে তার নাম সাহাবুদ্দিন। স্বচ্ছতার মাধ্যমে টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। এরা হয়তো মনে করেছে বিভিন্নভাবে কাজ ভাগিয়ে নেয়ার সুযোগ আছে। আমি আগেও বলেছি স্বচ্ছতার মধ্যে দিয়ে কাজ করা হবে। প্রকল্প পরিচালক ভয়-ভীতিতে মাথানত করেন না। ওরা হয়তো নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় কাজ পাননি। কেউ যদি ক্ষুব্ধ হয়, অভিযোগটা আমার কাছে আনতে পারতো। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় যদি কাজ না পান, সেখানে প্রকল্প পরিচালক কাজ দিতে পারেন না। নিয়ম অনুসরণ করে যদি কেউ কাজ পেয়ে থাকেন, তাহলে করার কি আছে। কারচুপি করার কোনো সুযোগও নেই। মামার বাড়ির আবদার না যে, আমাকে কাজ দিতে হবে। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার ব্যঘাত ঘটছে কি-না সেটাই প্রশ্ন। জড়িতরা চসিকের ঠিকাদার হলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। সব বিভাগে চিঠি দেব যাতে কাজ না পান। একজন অফিসারকে নিজের চেম্বারে এসে মারধর, হাত তোলার যে উদ্যত দেখিয়েছে আমরা মামলা করবো। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।