পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
মার্কিন সমর্থিত যোদ্ধাদের ওপর রাশিয়া-সিরিয়ার বিমান হামলা
ইনকিলাব ডেস্ক : রাশিয়া-সমর্থিত সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ও তাদের মিত্ররা ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জেহাদিদের হটিয়ে ঐতিহাসিক নগরী পালমিরায় প্রবেশ করেছে। গত বুধবার জঙ্গিদের সঙ্গে লড়াই করতে করতে সরকারি বাহিনী পালমিরায় প্রবেশের পথ করে নেয় বলে জানিয়েছে পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। এর আগে লেবাননের শিয়া রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ পরিচালিত একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরীয় সেনাবাহিনী ও এর মিত্র বাহিনীগুলো শহরটির পশ্চিমাংশে অবস্থিত পালমিরা দুর্গ পুনরুদ্ধার করেছে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রাসাদতুল্য একটি ভবনের দখল নিয়েছে। ডিসেম্বরে আইএসের জঙ্গিরা পালমিরা পুনর্দখল করে। এই শহরের প্রাচীন অংশটি ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। ছয় বছর ধরে চলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আইএস দুইবার শহরটির দখল নেয়। ২০১৫ সালে আইএস প্রথমবার পালমিরা দখল করে। গত বছরের মার্চে সিরিয়ার সেনাবাহিনী আইএসকে হটিয়ে শহরটি পুনরুদ্ধার করেছিল, কিন্তু ডিসেম্বরে আলেপ্পো অভিযানে রত সিরীয় সেনাবাহিনীর ব্যস্ততার সুযোগে আইএস ফের শহরটি দখল করে নেয়। দখলদারিত্বের দুই পর্বেই পালমিরার প্রাচীন পুরাকীর্তিগুলো ধ্বংস করেছে বিদ্রোহীগোষ্ঠীটি। এই ধ্বংসযজ্ঞকে যুদ্ধাপরাধ অভিহিত করে এর নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত বুধবার সকালে সিরীয় সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, খুব শিগগিরই সেনাবাহিনী শহরটিতে প্রবেশ করতে শুরু করবে। সিরীয় সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা পালমিরা শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার পশ্চিমে পালমিরা ত্রিভুজ নামে পরিচিত এলাকাটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সম্প্রতি রাশিয়ার বিমান হামলার ছত্রছায়ায় সিরীয় সেনাবাহিনী দ্রুতগতিতে পালমিরার দিকে এগিয়ে যায়। গৃহযুদ্ধের পর্যবেক্ষক ব্রিটিশ-ভিত্তিক সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সরকারি বাহিনী যেকোনো মুহূর্তে পালমিরায় ঝটিকা অভিযান চালাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের বিমানগুলো সিরীয় সেনাবাহিনীর পালমিরা অভিযানে সহায়তা করছে। অপর খবরে জানানো হয়, সিরিয়ার মানবিজের একটি গ্রামে মার্কিন সমর্থিত জোটের যোদ্ধাদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া ও সিরিয়া। বুধবার এক মার্কিন সেনাবাহিনীর এক জেনারেল এ দাবি করেছেন। তিনি জানান, রুশ-সিরিয়া মনে করেছিল জায়গাটি ইসলামিক স্টেট (আইএস) যোদ্ধারা দখল করেছে রেখেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে। সিরিয়া ও ইরাকে আইএসবিরোধী যুদ্ধে মার্কিন সেনাবাহিনীর কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল স্টিফেন টাউনসেন্ড জানান, শহরটি থেকে আইএস যোদ্ধাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখানে সিরীয়-আরবজোটের সেনারা প্রবেশ করেছে। তিনি জানান, নির্দিষ্ট চ্যানেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করার রুশ-সিরীয় বিমান হামলা বন্ধ হয়। তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় মানবিজ শহরে রুশ বা সিরীয় যুদ্ধ বিমানের অভিযানের কথা অস্বীকার করেছে। একই সঙ্গে সিরিয়ায় মার্কিন সেনাবাহিনীর উপস্থিতির কথাও অস্বীকার করেছে রাশিয়া। রাশিয়া অভিযোগ করেছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিমান হামলা নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে সমন্বয় করছে না। উল্লেখ্য, সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে রাশিয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষে বিমান হামলা চালাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। সিএনএন, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।