গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রামে আকস্মিক পরিবহন ধর্মঘটে দুর্ভোগে পড়ে যাত্রীরা। পূর্ব ঘোষণা না দিয়ে হঠাৎ করে রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ করতে গিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে পরিবহন শ্রমিকেরা। তবে বেশিরভাগ এলাকায় এ ধর্মঘটে তেমন সাড়া পড়েনি। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন রুটে পরিবহনের সংখ্যা কম থাকলেও বিকেলের পর তা বাড়তে থাকে। দুই বাসচালককে সাজার প্রতিবাদে সারাদেশে ডাকা ধর্মঘটের অংশ হিসেবে গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে হঠাৎ করে রাস্তায় নামে পরিবহন শ্রমিকেরা। তাদের বাধার মুখে মহানগরী ও আন্তঃজেলার কিছু রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে পরিবহন শ্রমিকরা বাস থামিয়ে যাত্রীদের নেমে যেতে বাধ্য করছে। আকস্মিক এই ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। সোমবার গভীর রাতে কেন্দ্রীয়ভাবে ধর্মঘটের ডাক দেয় পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলো। তবে গতকাল সকালে এই খবর জানার পর রাস্তায় নেমে আসেন পরিবহন শ্রমিকরা।
মহানগরীর কয়েকটি রুটে এবং মহানগর থেকে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলামুখী বাস চলাচলে বাধা দেয় শ্রমিকেরা। কিছু কিছু বাসচালক ও শ্রমিকরা নিজেদের বাস বন্ধ রাখে। নগরীর বহদ্দারহাট থেকে রাহাত্তারপুল হয়ে শাহ আমানত সেতু পর্যন্ত এলাকায় পরিবহন শ্রমিকরা বাস থামিয়ে যাত্রীদের নেমে যেতে বাধ্য করেছেন বলে জানান চান্দগাঁও থানার ওসি সাইফুল ইসলাম। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে কয়েক দফা উত্তেজনার ঘটনাও ঘটে বলে তিনি জানান।
নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথা, মুরাদপুর, অক্সিজেন মোড়, বন্দর এলাকায়ও বাস থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে সকালে ধর্মঘট শুরুর পর থেকে উপজেলা থেকেও নগরীতে কোন বাস আসতে বাধা দেয় শ্রমিকেরা। দূরপাল্লার বাস চলাচলও বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন রুটে।
আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতি, চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে বাস চালানো যাচ্ছে না। চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়কপথে অন্যান্য জেলার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।