Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একাদশ সংসদ নির্বাচন মাধবপুর-চুনারুঘাট আসনে প্রার্থীরা আগাম মাঠে

| প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : বসন্ত এলে যেমন কোকিলের ডাক শোনা যায় তেমনি কোনো নির্বাচন এলে প্রার্থীদের আনাগোনা নির্বাচনী মাঠে বৃদ্ধি পায়। নিজেকে একজন যোগ্য প্রার্থী জানান দিতে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দেন। ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর- চুনারুঘাট) আসনে আওয়ামী লীগ বিএনপি প্রধান দুটি দলের প্রার্থীরা আগে বাগেই মাঠে নেমে পড়েছেন। বিভিন্ন দিবসে তারা ব্যানার পোস্টার দিয়ে তাদের নির্বাচনী প্রচারণার আগাম ঘোষণা দিচ্ছেন। এ আসনে টানা ৬ বার সংসদ সদস্য ছিলেন সমাজ কল্যাণমন্ত্রী ভাষা সৈনিক মরহুম এনামুল হক মোস্তফা শহীদ। কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে এ আসনে মনোনীত হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এডভোকেট মাহবুব আলী। তিনি সততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে এ আসনে জনপ্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি প্রতি সপ্তাহেই মাধবপুর চুনারুঘাটে বিভিন্ন স্থানে সভা সমিতিতে উপস্থিত হয়ে নিজেকে আরো শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছেন। তবে এ আসন থেকে সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর পুত্র নিজামুল হক রানা তার বাবার জনপ্রিয়তা ও পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে তিনি এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে তৃণমূল ও আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায়ে কাজ করছেন। ঈদ ও পূজায় নির্বাচন করার অভিপ্রায় নিয়ে মাঠে ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন।
নিজামুল হক রানা দাবি করেন এ দুই উপজেলায় তার বাবার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী ও সুহৃদ রয়েছেন। এ আসনের প্রতিটি জনপদে তার বাবার বিচরণ ছিল। অনেক উন্নয়ন কর্মকান্ডে তার বাবার স্মৃতি এখন সমুজ্জ্বল। তার যুক্তি হচ্ছে চুনারুঘাট উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হলে নৌকা বরাবর বিজয়ী হন। কিন্তু মাধবপুর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে প্রার্থী হলে এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ তুলনামূলকভাবে ভোট কম পায়। অন্যদিকে এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে মাঠ পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর চুনারুঘাটের বাসিন্দা তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
গত ইউপি নির্বাচনে তিনি নৌকার প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন। তার দাবি দলের সবুজ সংকেত পেয়েই তিনি মাঠে রয়েছেন। এদিকে বিএনপির মধ্যেও হঠাৎ করে নির্বাচনীমুখী হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মোঃ ফয়সল দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতিতে নীরব থাকলেও হঠাৎ করে সরব হয়ে উঠেছেন। বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন কেন্দ্রের নির্দেশেই সৈয়দ মোঃ ফয়সল রাজনৈতিক মাঠে ফিরে এসেছেন। সম্প্রতি তিনি বির্ভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তবে কোন কারনে তিনি প্রার্থী হতে না পারলে তার সহোদর উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির সহ সভাপতি সৈয়দ মোঃ শাহজাহান বিএনপির বিকল্প প্রার্থী হিসাবে প্রস্তুত রয়েছেন। এ ছাড়া সৈয়দ মোঃ শাহজাহান মনোনয়ন না পেলে চুনারুঘাটের বাসিন্দা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী শাম্মি আক্তার এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হবার সম্ভাবনা রয়েছে। এ আসন থেকে নির্বাচনী মাঠে লড়াই করতে তিনি কোমর বেঁধেই মাঠে রয়েছেন।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী হতে বিভিন্ন স্থানে তোরন, পোস্টার, ব্যানারে জনসম্মুখে আসছেন জাতীয় পার্র্টির কেন্দ্রিয় নেতা আতিকুর রহমান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: একাদশ

১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
১৮ জানুয়ারি, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ