Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিন দিনেই জিতল উত্তর-দক্ষিণ

সানজামুলের ইনিংসে ৯ উইকেট, রাজ্জাকের ৬টি

| প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : চাইলে সোহরাওয়ার্দী শুভর উপর ক্ষোভ প্রকাশ করতেই পারেন সানজামুল ইসলাম। তার কারণেই তো রেকর্ডটা করা হল না উত্তরাঞ্চল লেগ স্পিনারের! মধ্যাঞ্চলের ওপেনার আব্দুল মাজিদকে রান আউট করেন শুভ। বাকি ৯ উইকেটের সবকটি একাই তুলে নেন সানজামুল! নুরুল হাসানের লড়াকু শতকের পরেও তাই ইনিংস ও ৫০ রানে হারল মধ্যাঞ্চল।
চতুর্থ দিনে গড়ায়নি সিলেটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ম্যাচও। রুবেল-মুস্তাফিজে দ্বিতীয় দিনেই অবশ্য এই আভাস দিয়ে রেখেছিল দক্ষিণ। কাল পশ্চিমকে ইনিংস ও ৪৪ রানের হার উপহার দিলেন আব্দুর রাজ্জাক। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১ উইকেট পাওয়ার ক্ষোভ এই স্পিনার মেটালের এবার ৬ উইকেট নিয়ে।
ফলো অনে পড়া পূর্বাঞ্চলকে দ্বিতীয় দিন শেষে ইনিংস হার এড়াতে করতে হত ১৮৫ রান, পুঁজি বলতে ছিল মাত্র ৫ উইকেট। অধিনায়ক অলক (৪৮) কাপালি ও আবুল হাসানের (৬৪) ব্যাটে ইনিংস হার এড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল তারা। কিন্তু রাজ্জাকের ঘূর্ণিতে তারা গুটিয়ে যায় ২১৫ রানে। ৪৪ রানে ৬ উইকেট নেন জাতীয় দলে উপেক্ষিত থাকা রাজ্জাক। ম্যাচে মোট ৮৭ রানে ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও জাতীয় দলের একসময়ের অপরিহার্য এই স্পিনার।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামেও ছিল স্পিনারদের প্রতাপ। তৃতীয় দিনে মধ্যাঞ্চলের ১৭ উইকেট তুলে নেন দক্ষিণাঞ্চলের বোলাররা। আগের দিন ১২০ রানে তিন উইকেট হারালেও লড়াইয়ের অভাস দিয়ে রেখেছিলেন তরুণ ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান (৫৩*)। শেষ পর্যন্ত লড়াইটা একাই চালাতে হল তাকে। তার ৯৩ রানের কল্যাণেই প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানের সম্মানজনক স্কোর দাঁড়করায় মধ্যাঞ্চল। ৩৮ রানে ৪ উইকেট নেন ফরহাদ রেজা, দ্বিতীয় ইনিংসের নায়ক সানজামুল নেন ৬৪ রানে ৩টি। ফলোঅনে পড়ে মধ্যাঞ্চলকে পড়তে হয় সানজামুলের সেই ঘূর্ণির দ্ব›েদ্ব। একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে বুক চিতিয়ে লড়েন ভারত সফরে উপেক্ষিত থাকা উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তাকেও হার মানতে হয় ব্যক্তিগত ১১৩ রানে। দলও গুটিয়ে যায় ২১৯ রানে। ৮৫ রানের খরচায় ৯ উইকেট নেন সানজামুল। মোট ১২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরাও তিনি। এর আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৯ উইকেট নেয়ার কীর্তি আছে কেবল মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক ও সাকলাইন সজীবের। রাজ্জাক এই কীর্তি গড়েন দুইবার। ৮২ রানে ৯ উইকেট নিয়ে উত্তরাঞ্চল-মধ্যাঞ্চল
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৫০২। মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৬১.১ ওভারে ২৩৩ (শামসুর ১১, মাজিদ ৯, সাইফ ৯৩, মার্শাল ২৭, তাইবুর ১৬, নুরুল ৩৭, শুভাগত ১, তানবীর ০, শাহাদাত ২৬, শহিদুল ৫, সাব্বির ৩*; রেজা ৪/৩৮, আরাফাত ২/৪৮, আরিফুল ০/১৮, সানজামুল ৩/৬৪, শুভ ০/৬৩)।
মধ্যাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৫৭.৪ ওভারে ২১৯ (শামসুর ১, মাজিদ ৪, সাইফ ৯, তাইবুর ৪, মার্শাল ৩২, নুরুল ১১৩, শুভাগত ৬, তানবীর ১, শাহাদাত ১৫, শহিদুল ১৮, সাব্বির ১০*; আরাফাত ০/৩৬, সানজামুল ৯/৮৫, রেজা ০/১৮, শুভ ০/৫৭, আরিফুল ০/১৯)।
ফল: উত্তরাঞ্চল ইনিংস ও ৫০ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা: সানজামুল ইসলাম।

দক্ষিণাঞ্চল-পূর্বাঞ্চল
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৪০৩। পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১৪৪।
পূর্বাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৭৭.৩ ওভারে ২১৫ (ইরফান ২৭, মারুফ ০, জাকির ১২, তাসামুল ৪, ইয়াসির ১৬, কাপালী ৪৮, শাহানুর ৭, হাসান ৬৪, সাকলাইন ২৬, এবাদত ০, খালেদ ০*; মুস্তাফিজ ০/২৩, রুবেল ১/৫৮, সোহাগ ২/৬৬, রাজ্জাক ৬/৪৪)।
ফল: দক্ষিণাঞ্চল ইনিংস ও ৪৪ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: আব্দুর রাজ্জাক।
সেরা বোলিং রেকর্ডটা সজীবের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উইকেট

১৬ জানুয়ারি, ২০২২
১৮ অক্টোবর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ