Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মাঠ-উইকেট বদলাচ্ছে, ভাগ্য বদলাবে তো?

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০২২, ১২:১৫ এএম

মেয়েদের এশিয়া কাপে প্রথম পাঁচদিনে ৯টি ম্যাচ রাখা হয়েছিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড দুইয়ে। প্রতিটি ম্যাচেই উইকেটে দেখা গেছে স্পিনারদের দাপট। বল নিচু হয়েছে, মন্থর গতিতে ভুগেছেন ব্যাটাররা। উইকেট নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ একে মাহমুদ ইমন। আগের দিন উইকেট নিয়ে হতাশা জানাতে গিয়ে বাংলাদেশ কোচ বলেছিলেন, ‘এটা যেহেতু আমার নিজের জেলা। আমি লোকাল ক্রিকেটেও এরকম উইকেট দেখিনি।’ পাকিস্তানি ব্যাটাররা ম্যাচ জেতার পরও বলেছেন উইকেট নয় টি-টোয়েন্টির জন্য আদর্শ। বাকি দলগুলোর অভিযোগ না থাকলেও বিস্ময় আড়াল করেননি কেউ। আম্পায়ার্স রিপোর্টে উইকেটের বিষয়টি উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ দল। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) কাছেও উইকেট নিয়ে নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা জানানো হয়েছে। মাহমুদ জানিয়েছেন, টুর্নামেন্ট-সংশ্লিষ্টরা নাকি তাদের সামনের ম্যাচগুলোয় ভালো উইকেট দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে।
আজ থেকে খেলা হবে গ্রাউন্ড এক-এ, যেটি ম‚ল মাঠ হিসেবেও পরিচিত। এদিন এই মাঠে আছে দুই ম্যাচ। সকাল ৯টায় পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে থাইল্যান্ড। দুপুর দেড়টায় খেলবে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া। খেলা হবে চার নম্বর উইকেটে।
ফাইনাল পর্যন্ত বাকি ১৫ ম্যাচই হবে এই গ্রাউন্ডে। বড় চিন্তার জায়গায় তাই থাকছে উইকেট। উইকেট নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা উপরের মহলকে জানিয়েছে তারা, তাদেরকে নাকি আশ্বস্তও করা হয়েছে। তবে টুর্নামেন্ট চলাকালীন অল্প সময়ে আহামরি বদলের সম্ভাবনা নেই। সিলেটে দুটি মাঠ, অনুশীলন উইকেট মিলিয়ে ৩৮টি উইকেট দেখভাল করেন ভারতীয় কিউরেটর সঞ্জীব আগারওয়াল। এতগুলো উইকেট একজনের পক্ষে সামলানো কঠিন। তাই বড় ইভেন্ট থাকলে তাকে সহায়তা করতে আসেন চট্টগ্রামের ভারতীয় কিউরেটর প্রবীণ হিঙ্গানিকার। সর্বশেষ বিপিএলেও সহায়তা করতে এসেছিলেন তিনি। কথা অনুযায়ী এবারও এসেছেন, টুর্নামেন্টের বাকি সময়ে থাকবেন। এক নম্বর গ্রাউন্ডের সবকিছু সামলাবেন তিনিই। গতকাল সকাল থেকেই মাঠকর্মীদের নিয়ে উইকেট পরিচর্যা করতে দেখা যায় তাকে। তখন দুই নম্বর মাঠে মালয়েশিয়া-সংযুক্ত আরব আমিরাতের ম্যাচে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন সঞ্জিব।
গ্রাউন্ড দুইয়ের উইকেট থেকে ম‚ল মাঠের উইকেট কিছুটা ভালো হতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। তবে স্পিনারদের দাপট কমার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বিশেষ করে সকালের ম্যাচগুলোতে মন্থর গতি ও নিচু বাউন্স দেখা মিলতে পারে। বেলা বাড়লে উইকেটের আচরণ এমনিতেই কিছুটা ভালোর দিকে যায়। মালয়েশিয়া ও ভারতের বিপক্ষে পরের দুই ম্যাচ দুপুরে হওয়ায় কিছুটা ভালো উইকেটের প্রত্যাশা বাংলাদেশ দলের। দলের অনুশীলন শেষে এই প্রত্যাশাই জানান বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি স্পিনার সানজিদা আক্তার মেঘলা, ‘সকালে যখন খেলি, বৃষ্টি ও কুয়াশা থাকে। মাঠে ফিল্ড আরেকটু গ্রেসি থাকে। সেক্ষেত্রে লাঞ্চের পর যখন আমরা খেলবো, উইকেট আলাদা থাকবে, রোদ থাকবে। আশা করা যায় তখন উইকেট একটু ফ্ল্যাট হবে।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাঠ-উইকেট
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ