প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার : অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন বিশিষ্ট অভিনেতা শহীদুজ্জামান সেলিম। এ নিয়ে প্রচার-প্রচারণায় বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। কেন নির্বাচন করছেন? নির্বাচিত হলে শিল্পীদের জন্য কী কাজ করবেন? এমন প্রশ্নের সূত্র ধরে তার সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়। বললেন, প্রায় সাত-আট বছর ধরে অভিনয় শিল্পী সংঘ স্থবির হয়ে পড়েছিল। এর কোনো কার্যকারিতা ছিল না। ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে মনে হয়েছে, এভাবে একটি সংগঠন নিশ্চল হয়ে থাকতে পারে না। শিল্পীদের একতা ও সংঘবদ্ধ হওয়া নিয়ে যে সংগঠন গঠিত হয়েছিল, তার পুনর্জাগরণ জরুরি। এ চিন্তা থেকে কয়েক মাস আগে আমিই প্রথম সংগঠনটিকে কার্যকর করার উদ্যোগ নিই। সকলকে ডেকে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবহিত করি। প্রত্যেকেই সংঘের পুনরুজ্জীবনের বিষয়টি অনুধাবন করেন এবং আগ্রহী হয়ে উঠেন। আমরা একটি নির্বাচন হওয়া উচিত বলে তাগিদ অনুভব করি। কারণ সংগঠনটির জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হয়নি। বরাবরই সিলেকশন পদ্ধতিতে কমিটি গঠিত হয়ে আসছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মিডিয়ার বড় বড় ব্যক্তিত্বতরা নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে সংগঠন গতিশীল হওয়ার জন্য যে ধরনের কার্যক্রম প্রয়োজন ছিল, তা অনুপস্থিত ছিল। আসলে সিলেকশন হলে যে কোনো প্রার্থীর মধ্যেই দায়বদ্ধতার জায়গাটি দুর্বল হয়ে পড়ে। নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হলে নেতৃত্বের মধ্যে যেমন দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হয়, তেমনি সংগঠন গতিশীল করতে উদ্যোগ থাকে। জবাবদিহিতার সংস্কৃতিও গড়ে উঠে। বিগত কমিটির মধ্যে সংগঠনের মধ্যে এ ধরনের সংস্কৃতি পরিলক্ষিত হয়নি। তাই সবাইকে সংগঠনের অংশীদারভুক্ত করে গতিশীল করতেই আমি উদ্যোগ নিয়েছি এবং নির্বাচন করছি। সেলিম বলেন, সংগঠনটি নিয়ে আমার নিজস্ব কিছু চিন্তা-ভাবনা ও পরিকল্পনা রয়েছে। সংগঠনের সদস্যদের আত্মমর্যাদার বিষয়টি পরিস্কারভাবে তুলে ধরা প্রয়োজন। অনেক নতুন নতুন শিল্পী আসছে, তারা যে যার মতো কাজ করছে। অনেকটা উদ্দেশ্যহীন। তাদের বুঝতে হবে, মিডিয়ায় কাজ করতে গেলে একটি সম্মানজনক ধারা অবলম্বন করতে হয়। অবশ্য তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। কারণ তাদের যে ওরিয়েন্টেশন বা গ্রæমিং প্রয়োজন, তা যথাযথভাবে পাচ্ছে না। আমরা যারা সিনিয়র শিল্পী তারাও খুব একটা নজর দিচ্ছি না। অথচ একই অঙ্গনে ব্রাদারহুড বা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে শিল্পীদের মধ্যেও এক ধরনের দায়বোধ জন্মায়। প্রত্যেকেই বুঝতে পারে সে কে, কি এবং কীভাবে তাকে মিডিয়ায় কাজ করতে হবে। এতে একটা শৃঙ্খলাবোধের সৃষ্টি হয়। সিনিয়র শিল্পীরা যেমন জুনিয়রদের প্রতি ¯েœহশীল ও গাইড করতে পারবে, তেমনি জুনিয়ররাও কীভাবে লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে তা অবগত হতে পারবে। এতে পারস্পরিক একটা সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে। এখন এ বিষয়টি মিডিয়ায় খুবই কম কাজ করছে। এর কারণ সঠিক নেতৃত্ব না থাকা। যে নেতৃত্ববোধ থেকে অভিনয় সংঘ গঠিত হয়েছিল, তা সঠিক ও যথাযথভাবে কাজ করতে পারেনি। এখন সময়ের প্রয়োজনেই সংগঠনটি কার্যকর করা দরকার। এমনভাবে গড়ে তোলা উচিত, যাতে এটি শিল্পীদের জন্য একটি রাডার বা দিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করতে পারে। আমার লক্ষ্যও তাই। আমরা লক্ষ্য করেছি, অনেক নতুনদের কিছু বিতর্কিত কর্মকাÐের কারণে পুরো মিডিয়ার প্রতি মানুষের একধরনের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দেখা যায়। অথচ যার দ্বারা বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তাকে যদি একটি দায়বদ্ধ হওয়ার জায়গা এবং সঠিকভাবে চলার পথ করে দেয়া যেত, তবে সে সচেতন হতে পারতো। অভিনয় শিল্পী সংঘ এ জায়গাটি তৈরি করতে পারেনি। এটা বড় ধরনের একটা ত্রæটি। নির্বাচিত হলে আমি এসব ত্রæটি দূর করতে উদ্যোগ নেব। আবার মিডিয়াকে অপব্যবহার করার প্রবণতা রোধকল্পে অভিনয় শিল্পী সংঘ যাতে একটি প্রতিকারমূলক সংঘে পরিণত হয়, তার উদ্যোগ নেব। সবার আগে প্রয়োজন আমাদের একটি পরিপূর্ণ গঠনতন্ত্র। এ গঠনতন্ত্র তৈরি করা প্রয়োজন। যদি কার্যকর গঠনতন্ত্রই না থাকে, তবে কোনো সংগঠনই চলতে পারে না। শিল্পী সংঘের যে গঠনতন্ত্র রয়েছে, তা আমার কাছে পূর্ণাঙ্গ মনে হয়নি। তাই একটি পূর্ণাঙ্গ গঠনতন্ত্র তৈরিতে আমি উদ্যোগ নেব। সেলিম বলেন, শিল্পীদের আত্মমর্যাদার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমার চেষ্টা থাকবে সিনিয়র-জুনিয়র শিল্পীদের আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে এবং তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম চালু করা। এছাড়া আমার আরও কিছু চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। নির্বাচিত হতে পারলে অভিনয় শিল্পী সংঘকে একটি শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে আমার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।