নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : মোহাম্মাদ আমিরের করা ইনিংসের প্রথম বলে দ্বিতীয় সিøপে ক্যাচ ফেলে দিলেন অধিনায়ক আজহার আলী। ব্যাটসম্যান হলেন ডেভিড ওয়ার্নার। এর চড়ামূল্য দিতে হল পাকিস্তানকে। সেই ওয়ার্নার শুধু ক্যারিয়ারের দ্রুততম সেঞ্চুরি করেই থামেননি। ট্রেভিজ হেডকে নিয়ে গড়লেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে রেকর্ড ওপেনিং জুটি। বিশ্বরেকর্ডটা হাতছাড়া হয়েছে মাত্র ২ রানের জন্য। অভিষেকে শতক হাঁকান হেডও। কিন্তু ওয়ার্নারের বিস্ফোরোক ১৭৯ রানের কাছে হেডের ১২৮ রানের ইনিংসটা মামুলি মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক।
অস্ট্রেলিয়াও গড়ে ৩৬৯ রানের বিশাল সংগ্রহ। অ্যাডিলেড ওভালে যা সর্বোচ্চ। জবাবে পাক ব্যাটসম্যানদেরও ‘কিছু একটা’ করে দেখাতে হত। কিন্তু এত রান তাড়া করে তাদের যে জয়ের কোন রেকর্ডই নেই। রেকর্ড নেই বলে যে হবে না, ব্যাপারটা তেমন নয়। তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কাজটা তো আরো কঠিন। গত ৩৮ বছরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাদের বিপক্ষে প্রথম কোন পাকিস্তানি হিসাবে বাবর আজমের সেঞ্চুরিও তাই জেতাতে পারেনি। হারতে হয়েছে ৫৭ রানে। ৩ ম্যাচের টেস্টে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর এবার ওয়ানডে সিরিজটাও তাই পাকদের হারতে হলো ৪-১ ব্যবধানে। এর তোপ পড়তে পারে অধিনায়ক আজহারের ওপর।
ওয়ার্নার-হেডের ২৮৪ রানের ওপেনিং জুটি বিচ্ছিন্ন করার সুযোগ ছিল ৩৩তম ওভারে, দলীয় সংগ্রহ তখন ২০৭। কিন্তু এবার ক্যাচ মিস করেন আমির নিজে। এর আগে ৩৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা ওয়ার্নার শতক হাঁকান ৭৮ বলে। যা তার ক্যারিয়ারের দ্রæততম শতক। দ্বিশতক হাঁকানোরও সুযোগ ছিল বাঁ-হাতি ওপেনারের সামনে। ১২৮ বলে ১৯টি চার ও ৫ ছক্কায় যখন জুনায়েদ খানের বলে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অজি ইনিংসে তখনও বাকি ৭.৩ ওভার। আর ২ রান করলেই এই জুটি ভাঙত ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সনাৎ জয়সুরিয়া-উপল থারাঙ্গার গড়া প্রথম উইকেটে ২৮৬ রানের জুটির রেকর্ড। ৬ রান দুরত্বে থাকা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে শেন ওয়াটসনের ব্যক্তিগত ১৮৫* রানের রেকর্ড ইনিংসটাও তাই থাকল অক্ষত। তবে এক মৌসুমে কুমার সাঙ্গাকারার (২০১৪/১৫) সর্বোচ্চ ৬ শতকের রেকর্ডে ভাগ বসিায়েছে ওয়ার্নার।
অজিদের ইনিংসটা চারশও পেরুতে পারত, কিন্তু আর কোন ব্যাটসম্যানই বলার মত তেমন কিছু করতে পারেননি। হেডের ১৩৭ বলের ইনিংসটি ছিল ৯টি চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো। ২ উইকেট নেন জুনায়েদ খান, একটি করে আমির ও ওয়াহাব রিয়াজ। ২ উইকেট নেন হাসান আলীও, কিন্তু এজন্য তাকে করতে হয় রান খরচার সেঞ্চুরি।
জবাবে বাবর আজমের ১০৯ বলে ১০০ ও সারজিল খানের ৬৯ বলে ৭৯ রানের ইনিংসে কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে পাকিস্তান। ৪৬ রান করেন ওমর আকমল। ৫ বল বাকি থাকতে তারা গুটিয়ে যায় ৩১২ রানে। ৪২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে মিচেল স্টার্ক ছিলেন বল হাতে মুল ঘাতকের ভুমিকায়। ২ উইকেট নেন প্যাট কমিন্স। ম্যাচ সেরার পাশাপাশি সিরিজ সেরাও হন ওয়ার্নার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।