নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : দায়িত্বের শুরুটা হয়েছিল ভারতের কাছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইট ওয়াশের মধ্য দিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও বাংলাদেশ দল করেছে হতাশ। ২০১৪ সালের জুনে হেড কোচের দায়িত্ব নিয়ে হতাশা দিয়ে বাংলাদেশ অধ্যায় শুরু করে অন্য এক দলে পরিণত করেছেন। টানা ৬টি ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি জিতেছে বাংলাদেশ দল তার কোচিংয়ে। ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে পর্যন্ত টেস্ট সিরিজ ১-১ এ ড্র করেছে বাংলাদেশ দল তার আমলে। বাংলাদেশ দলের এই পারফরমেন্সের পুরষ্কার হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ৩ বছরের জন্য হয়েছেন চুক্তিবদ্ধ। মাসে বেতন ২২ হাজার ডলার থেকে বেড়ে ২৭ হাজার ৫০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। এই কোচের ক্ষমতা বাড়িয়ে নির্বাচক কমিটিতে রাখা হয়েছে তাকে। তার প্রেসক্রিপশনকে গুরুত্ব দিয়ে হচ্ছে অনুশীলন, নিউজিল্যান্ড সফরকে সামনে রেখে বিসিবি’র টাকায় অস্ট্রেলিয়ায় ৯ দিনের ব্যয়বহুল অনুশীলন ক্যাম্প পর্যন্ত করেছে বাংলাদেশ দল। লম্বা বহর নিয়ে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড সফরের যৌক্তিকতা নিয়ে বিসিবিকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়েছে তার কারণেই। অথচ, নিউজিল্যান্ড সফরে ৯ ম্যাচের সব ক’টি হেরেও তিনি এই সফরকে বলছেন ইতিবাচক! গতকাল নিউজিল্যান্ডে দেয়া সাক্ষাতকারে সে সন্তুষ্টির কথাই জানিয়েছেন হাতুরুসিংহেÑ ‘যেহেতু আমরা একটি ম্যাচও জিতিনি, তাই ফল হতাশার। ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট লম্বা সময় ভালো খেলতে পারিনি । তবে এই সফর থেকেও অনেক কিছু ইতিবাচক হিসেবে নিতে পারি আমরা। এ ধরনের কন্ডিশনে খেলে জয়ের সুযোগ সৃষ্টি করাও অনেক ইতিবাচক ব্যাপার। আমরা যে উন্নতি করতে পেরেছি, তাতেই আমি খুশি। যদিও ফলাফলে আমাদের অর্জনের প্রতিফলন নেই।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অফ স্পিনার মেহেদী মিরাজ অভিষেকে বাজিমাত করলেও পেস বোলার কামরুল ইসলাম রাব্বী নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সফরে সেই কামরুল ইসলাম রাব্বী টেস্ট সিরিজে সাকিবের সঙ্গে যৌথভাবে ৬ উইকেট নিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে কাটিয়েছেন ৯২ মিনিট, খেলেছেন ৬৩টি বল! দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫ রানের ইনিংস দিয়েছেন উপহার। সে কারণেই নিউজিল্যান্ড সফরে রাব্বীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনিÑ ‘ব্যাট হাতে সে তো দারুণ খেলেছে। একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানের মতো খেলেছে। হয়তো একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান ৬০ বল খেললে রান আরও বেশি করতে পারতো। সে সেটা না পারলেও অনেক সাহস দেখাতে পেরেছে।’
সিরিজে বাংলাদেশ ফিল্ডাররা ড্রপ করেছে ১৮টি ক্যাচ। তা নিয়ে অসন্তোষের কমতি নেই ভারপ্রাপ্ত টেস্ট অধিনায়ক তামীমের। ক্যাচ মিসের কারণে ফিল্ডারদের আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ছেড়েছেন হাতুরুসিংহেও- ‘আমাদের মতো দলের জন্য দেশের বাইরে ক্যাচ নেয়াটা খুব দরকার। দেশে ক্যাচ হাতছাড়া হলেও সমস্যা হয় না। শুধু ফিল্ডিংয়ের কারণে আমরা হেরেছি, তা বলবো না। তবে বাজে ফিল্ডিংয়ে কারণে আমাদের তরুণ বোলাররা বোলিংয়ের পুরষ্কার পায়নি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।