পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একসময়ে বাংলার শষ্য ভান্ডার খ্যাত ছিল বরিশাল। বর্তমানে কৃষি ব্যবস্থা ও ফসল আবাদে এসেছে নানা বৈচিত্র্য। বেড়েছে ফসল উৎপাদন। যার ফলে আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায়ও আসছে ইতিবাচক পরিবর্তন। বৃহত্তর বরিশালের ৬ জেলা, যা এখন দক্ষিণাঞ্চল হিসেবে পরিচিত, সেখানে কৃষি ব্যবস্থা বলতে শুধু ধানই বোঝাত। বরিশালের বালাম চালের খ্যাতি ছিল উপমহাদেশে মানুষের মুখে মুখে। শিল্পীর গানেও এ কথা উঠে এসেছে বার বার।
বরিশালের কৃষি ব্যবস্থায় ফল ও ফসল উৎপাদনে বৈচিত্র্য এসেছে। ইতোমধ্যে ‘মাচান পদ্ধতি’, ‘সারজন পদ্ধতি’ সহ নানা আধুনিক ও লাগসই প্রযুক্তিতে দক্ষিণাঞ্চলে শাক-সবজিসহ ধানের চারা বীজ পর্যন্ত উৎপাদিত হতে শুরু করেছে।
দেশে উৎপাদিত মিষ্টি আলুর প্রায় ৬০ ভাগই আবাদ ও উৎপাদন হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলে। মুগ ডালেরও সিংহভাগই এ অঞ্চলে আবাদ হচ্ছে। এমনকি গম আবাদেও দক্ষিণাঞ্চল ক্রমে সৃমদ্ধ হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিককালে তরমুজ আবাদে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করেছে। চলতি মৌসুমে ৬ জেলায় প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে সাড়ে ৩ লাখ টনের মত তরমুজ উৎপাদনের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত ‘বারি আম-১১’ নামের বারোমাসি নতুন জাতের আমের আবাদ ক্রমশ বাড়ছে। পিরোজপুরের আটঘর-কুড়িআনা ও ঝালকাঠির ভিমরুলী এলাকার প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে প্রতিবছর অন্তত ২৫ হাজার টন পেয়ারা উৎপাদন হচ্ছে। এসব পেয়ারা দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে পার্শ্ববর্তী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরাতেও চালান হচ্ছে। এ এলাকার আমড়ার সুখ্যাতিও দীর্ঘদিনের। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যেও বরিশালের আমড়ার কদর রয়েছে।
সাম্প্রতিককালে দেশের বিভিন্ন এলাকায় মাল্টার চাষ ও উৎপাদন হতে শুরু করেছে। যার চারা-কলম সরবরাহ হচ্ছে বরিশালের বানরীপাড়া ও পিরোজপুরের নেছারাবাদ থেকে। সম্প্রতিককালে দক্ষিণাঞ্চলে সীমিত আকারে স্ট্রবেরিরও সফল আবাদ হতে শুরু করেছে।
দক্ষিণাঞ্চলে এবার প্রায় ৪৬ হাজার হেক্টরে মসলা জাতীয় ফসলেরও আবাদ হচ্ছে। যার মধ্যে মরিচ আবাদ হচ্ছে প্রায় ৪০ হাজার হেক্টরে। এছাড়াও সাড়ে ৬ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে পেঁয়াজ, রসুন, ধনিয়া, আদা, কালোজিরা ও হলুদের আবাদ হতে যাচ্ছে। তবে পেঁয়াজ ও রসুনের আবাদ সম্প্রসারণের আরো যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত উন্নত জাত ও উচ্চ ফলনশীল বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে সব ধরনের কৃষি পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির সুযোগকেও কাজে লাগানোর পরামর্র্শ দিয়েছেন কৃষিবিদরা। এ লক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের (ডিএই) জেলা থেকে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের যথাযথ দায়িত্ব পালনের ওপরও গুরুত্বারোপ করেছেন কৃষিবিদরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।