পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক : সাপ্তাহিক ব্যবধানে দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে সূচকে উর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসের তিন দিনই বেড়েছে সূচক। আর এ বৃদ্ধির হারও তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি। এরই অংশ হিসেবে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে লেনদেনের গতি সামান্য কমেছে।
পুঁজিবাজারের উন্নয়নের প্রতি সরকার গুরুত্বারোপ করেছে। গত কয়েক বছরে পুঁজিবাজারে যে সংস্কার করা হয়েছে এর মাধ্যমে বাজারের ভিত্তি তৈরি হয়েছে। সেটাকে কেন্দ্র করে আগামী দিনগুলোতে বাজারের উন্নয়ন ঘটবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। পাশাপাশি নানামুখী ইতিবাচক পদক্ষেপের কারণে দেশের চাইতে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বেশি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে সক্রিয় হয়েছেন। যার কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বিদেশী লেনদেন। এছাড়াও দ্বিতীয় প্রান্তিকে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। যা বিনিয়োগকারীদের উৎফুল্ল করে তুলছে। যার প্রভাবে সাপ্তাহিক বাজারে সূচক বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, কয়েকদিন টানা পতন থাকলেও সপ্তাহের শেষ তিন কার্যদিবসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার। ফলে বিনিয়োগকারীদের মনোবল ফিরে এসেছে। প্রাতিষ্ঠানিকদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরাও বাজারে সক্রিয় ছিলেন। তাই বাজার নিয়ে অযথা টেনশন না করে ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগের পরামর্শও দিয়েছেন তারা।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সাপ্তাহিক ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩৬.৬৪ পয়েন্ট বা ০.৭৯ শতাংশ ও ডিএসইএক্স শরিয়াহ সূচক ৮.২৫ পয়েন্ট বা ০.৭৪ শতাংশ বেড়েছে। আর ডিএসই ৩০ সূচক ৬.৩৩ পয়েন্ট বা ০.৩৬ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩২৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৫টি কোম্পানির, কমেছে ১২৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টি কোম্পানির।
এদিকে সূচক বাড়লেও গত সপ্তাহে আর্থিক লেনদেন কমেছে। এর আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ২৭.৬৬ শতাংশ লেনদেন কমেছে। গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৪৩৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। যা গত সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে হয়েছে ২ হাজার ১৮৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহের ৫ কার্যদিবসে এ লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ১৯ কোটি ১০ লাখ টাকার।
গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৩.৯৩ শতাংশ ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১.৮৫ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১০.৯২ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ৩.৩০ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ২৬ হাজার ১০ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ কোটি টাকায়। অর্থাৎ গত সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ০.৬৭ শতাংশ।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ১৪৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার। প্রধান সূচক বেড়েছে দশমিক ৬২ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৮০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪১টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১১৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। আর আগের সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৯৭ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার। সার্বিক সূচক কমেছিল ১ দশমিক ০১ শতাংশ। -ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।